হারের ম্যাচেও প্রাপ্তি আছে বাংলাদেশের

হারের ম্যাচেও প্রাপ্তি আছে বাংলাদেশের

এমন হারের কোনো ব্যাখ্যা হয় না। ব্যাটিং বিভাগ যেমন ব্যর্থতার কোটা পূর্ণ করেছে, তেমনি বোলাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ১৯৪ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৭ উইকেটে হার, হাতে ছিল আরও ৭৬ বল। এমন হারের ব্যাখ্যা অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজেও দিতে চান না। তবে এই বিশাল পরাজয়ের ম্যাচেও কিছুটা প্রাপ্তি খুঁজে পেয়েছেন তামিম।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের মিশনে মাঠে নেমে এমন বাজে হারের পরেও আফিফ হোসেন আর মেহেদী হাসান মিরাজকে প্রশংসার বন্যায় ভাসান তামিম।

ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, ‘ওরা (আফিফ-মিরাজ) দুজনই ভালো ব্যাটিং করেছে। যখন ১০০ রানও কঠিন মনে হচ্ছিল, ওদের কারণেই আমরা ১৯৪ রান করতে পেরেছি। আফিফ ভালো করেছে। মিরাজ আবারও ভালো করেছে। এসব আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক।’

জোহানসবার্গে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে লড়লেন আফিফ আর মিরাজ। আফিফ অর্ধশতক হাঁকিয়ে ১০৭ বলে করেন ৭২ রান। মিরাজ ৪৯ বলে খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস। সপ্তম উইকেটে তাদের ৮৬ রানের পার্টনারশিপের কল্যাণেই স্কোর বোর্ডে ১৯৪ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। পরে প্রোটিয়ারা যে ৩ উইকেট হারায় তার একটি তুলে নেন মিরাজ, একটি আফিফ।

আফিফ-মিরাজ ব্যাটে-বলে লড়লেও ব্যর্থতার মিছিলে নাম তুলেছেন বাকিরা। ফলে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে ম্যাচ। এই হারকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না অধিনায়ক তামিম।

তামিম বলেন, ‘আমরা এই হারকে হালকাভাবে নিতে পারি না। আমরা বেশ কিছু ভুল করেছি। ওরা ভালো খেলেছে। আমরা জানতাম, ওরা প্রথম ১০ ওভারে খুব করে উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করবে। ওদের দুই বোলারই বিশ্বমানের। ওদের বিপক্ষে আমাদের ভালো খেলতে হবে, যেমনটা প্রথম ম্যাচে করেছি। পরে আমরা রান করতে পারব। মাঝের ওভারে ওদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করতে পারব। কিন্তু প্রথম ১০ ওভারে আমরা কেমন করি, এটা গুরুত্বপূর্ণ।’

তবে ঘুরে দাঁড়াতে প্রত্যয়ী তামিম, ‘মোমেন্টাম ওদের কাছে আছে নাকি নাই, এসব নিয়ে ভাবছি না। ক্রিকেট খেলায় প্রতিদিনই নতুন করে মোমেন্টাম পাওয়ার ব্যাপার থাকে। কাজেই আমি চিন্তিত না এসব নিয়ে। একটা জিনিস বলব যে, আমাদের ভালো খেলতে হবে। আমরা যদি প্রথম ম্যাচের মতো করি তাহলে আমাদের সুযোগ বেশি, এই ম্যাচের মতো করলে সুযোগ কম।’

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন