শোক দিবসের সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে

শোক দিবসের সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে

আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে। কারণ কোভিডের মহামারি এখনো শেষ হয়নি। সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব অনুষ্ঠান করার জন্য আমরা অনুরোধ রেখেছি। সব অনুষ্ঠানস্থলে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে, যাতে করে কোনোরকম অসুবিধা সৃষ্টি কেউ না ঘটাতে পারে।

তিনি বলেন, ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হবে এবং সেটি বলবৎ থাকবে। ধানমন্ডি লেকে আমাদের নৌ পুলিশের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ডিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে হবে। বিদেশি মিশনের কূটনীতিকরা ধানমন্ডি ও বনানীতে পুষ্পস্তবক অর্পনে যাতায়াতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবস্থা থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে দোয়া মাহফিল এবং সব অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন থেকে আয়োজিত সব অনুষ্ঠানে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠানে আর্চওয়ে ও সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে।

দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টার দিকে আমরা খেয়াল রাখব, যাতে করে না করতে পারে। এটাও আলোচনা হয়েছে ১৫ আগস্টের পরে যতগুলো নাশকতা হয়েছে, আগস্ট মাসেই হয়েছে। ২১ আগস্ট এবং ১৭ আগস্টের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। সেটাকে মাথায় রেখে যাতে এ ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে  আমাদের গোয়েন্দারা সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

ধানমন্ডি স্মৃতি জাদুঘর, বনানী কবরস্থান, টুঙ্গীপাড়াসহ দেশব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‍র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম দৃশ্যমান থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফায়ার সার্ভসের জনবল থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, জাতীয় শোক দিবসে কেউ ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোনো ধরনের গুজব না ছড়াতে পারে, সেজন্য আমরা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা, আমাদের সবাই লক্ষ্য রাখবে, গোয়েন্দারা সবসময় সচেষ্ট থাকবে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যদি কোনো ঘটনা ঘটাতে চায় আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব, যাতে করে তাদের এ প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ না হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ কোনোদিন জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি এবং দেবেও না।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন