বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে নাসুমের এক ওভারেই

বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে নাসুমের এক ওভারেই

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল শেষ টি-টোয়েন্টি হেরেছে ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সের কারণে। আগে বল করতে নেমে স্বাগতিকদের ১৪ ওভার পর্যন্ত বেঁধে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। তবে ১৫তম ওভারে সব এলোমেলো করে দেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তার এক ওভারে ৫টি ছয় আর ১ চারে রেকর্ড ৩৪ রান তুলে নেন রায়ান বার্ল। এর আগে এক ওভারে এতো রান খরচের রেকর্ড নেই কোনো বাংলাদেশি বোলারারের।

নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ১৫৬ রানের পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে। ১৫৭ রান টপকাতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশ দলের ইনিংস। ফলে ১০ রানে ম্যাচ হেরে ১-২ ব্যবধানে সিরিজ হার মেনে নিতে হয় সফরকারীদের। এই হারের জন্য নাসুম আহমেদের সেই ওভারকেই কাঠগড়ায় তুললেন দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

ম্যাচ হেরে সংবাদ মাধ্যমকে মোসাদ্দেক বলছিলেন, ‘হতাশা তো অবশ্যই। প্রথম ১৪ ওভার পর্যন্ত আমরা পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিলাম। আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে- একটা খারাপ ওভারই পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছে। সেই ওভারে ২০ রান হলেও আমরা ম্যাচের মধ্যে থাকতাম। টি-টোয়েন্টিতে এত দ্রুত উইকেট হারাতে থাকলে রান তাড়া করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। টি-টোয়েন্টিতে গেলেন আর ম্যাচ জিতবেন, এই আশা করতে পারেন না। এখানে অবশ্যই ক্যালকুলেটিভ খেলা লাগবে, যেটা আমরা ব্যাটিংয়ে পারিনি। সে কারণেই আমরা ম্যাচ হেরেছি।’

বোলিংয়ে বাংলাদেশ দল ১৪-১৮ এই পাঁচ ওভারে খরচ করেছে ৭৯ রান। কিন্তু নিজেদের ব্যাটিংয়ের সময় এই ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মোটে ৪২ রান। হারের পিছনে এটাকেও দায় দিচ্ছেন মোসাদ্দেক।

মোসাদ্দেক বলেন, ‘আমরা মাঝখানের ওভারগুলোতে ছিটকে যাচ্ছি। বোলিংয়ের সময় মাঝখানের ওভারগুলোতে উইকেট বের করতে পারছি না। ব্যাটিংয়েও মাঝখানের ওভারগুলোতে যেমন ব্যাট করা দরকার সেভাবে হচ্ছে না। যার কারণে শেষদিকে আমরা চাপে পড়ে যাচ্ছি। এই জায়গায় উন্নতি করতে পারলে অবশ্যই আমরা (ব্যর্থতা থেকে) বের হয়ে আসতে পারব।’

সঙ্গে যোগ করেন মোসাদ্দেক, ‘ধারাবাহিক না থাকলে অবশ্যই এটা দুশ্চিন্তার বিষয়। টি-টোয়েন্টিতে ভালো দল হলে, আরও বেশি উন্নতি করতে হলে বা সফল হতে হলে অবশ্যই এই জায়গাগুলোতে উন্নতি করতে হবে। শুধু ২-৩ বিভাগে উন্নতি করলে হবে না। গোটা দল নিয়েই চিন্তা করতে হবে। এই বিষয়গুলোতে অবশ্যই আমাদের নজর দেওয়া উচিৎ।’

 

আপনি আরও পড়তে পারেন