এই আন্টির নামে কি ২০ কোটি টাকার মামলা করা উচিত, প্রশ্ন মাহির

এই আন্টির নামে কি ২০ কোটি টাকার মামলা করা উচিত, প্রশ্ন মাহির

হাওয়া সিনেমা মুক্তির প্রায় একমাস। তবুও কমেনি সিনেমাটির দর্শক প্রিয়তা। বরং দর্শক চাহিদায় এখনো হল সংখ্যা বেড়েই চলেছে সিনেমাটির। কিন্তু এর মধ্যেও ‘হাওয়া’র নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন পড়েছেন বিপাকে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ মামলার বাদী বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সমালোচনা করেছেন অনেকে। সিনেমা ও সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ফেসবুক লাইভে এসে প্রতিবাদ জানালেন আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।

এক উদাহরণ টেনে মাহি বলেন, আমি এক আন্টির বাসায় বেড়াতে এসেছি। এখানে এই পাখিটা আছে, এটি একটি ময়না পাখি। ও এখনো কথা বলা শিখেনি, খুব ছোট। যেটি বলার জন্য এই লাইভ করছি, তা হলে কি এই আন্টির নামে ২০ কোটি টাকার মামলা হবে? কী করা উচিত? আন্টি যে এই ময়না পাখিটা পুষছেন, তার নামে কি ২০ কোটি টাকার মামলা করা উচিত? দেশের কোটি কোটি বাসায় এরকম ময়না পাখি, বিভিন্ন পশুপাখি পালা হয়। যদি সবার নামে মামলা না হয়, তা হলে কেন ‘হাওয়া’র নির্মাতার বিরুদ্ধে মামলা করা হলো? আজব একটা কারণে মামলাটি করা হলো, আমি জানি না এর মধ্যে কী আছে।

এর পর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে পরিবর্তন আনার দাবি জানান এ নায়িকা। বলেন, জানি না এই আইনে কী আছে; যদি থাকে তা হলে বলব— এই আইনে পরিবর্তন আনা উচিত। আমার এরকম অনেক সিনেমা আছে, যেখানে আমরা পাখি খাঁচায় বন্দি দেখিয়েছি। তা হলে কি সেই সিনেমার বিরুদ্ধেও মামলা হবে? এটি তো একটি চিন্তার বিষয়। যে বা যারা এ মামলা করেছেন, এগুলো করবেন না। এরকম একটা মামলা দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি, এত সুন্দর একটা সিনেমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে, এটি আসলে আমার খুব খারাপ লাগছে।

ভালো সিনেমার পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে হাওয়া ও পরাণ সিনেমা দেখার আমন্ত্রণ জানান মাহি। অগ্নি খ্যাত নায়িকা বলেন, চলুন সবাই মিলে হাওয়া দেখতে যাই। পরাণ দেখতে যাই। ভালো সিনেমার পাশে থাকি, ভালো সিনেমাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করি। এরকম নিচ থেকে পা টেনে না ধরি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই হাওয়া সিনেমাটি মুক্তি পায়। মুক্তির পর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত চলচ্চিত্রটির রিভিউতে জানা যায়, এই চলচ্চিত্রে একটি পাখিকে হত্যা করে চিবিয়ে খেয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। রিভিউ প্রকাশের পর হাওয়া চলচ্চিত্রে একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখা ও এক পর্যায়ে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানোর মাধ্যমে বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। গত ১৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ‘হাওয়া’র পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।

 

https://www.youtube.com/watch?v=VutNuHYafok

আপনি আরও পড়তে পারেন