তিতা কথা যেমন সবার ভালো লাগে না তেমনি তিতা করলাও সবার ভালো লাগে না। খেতে তিতা হলেও এই সবজিটির আছে হরেক গুণ। মেদ ঝরানোর পাশাপাশি ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হাঁপানির মতো রোগ নিরাময়ে করলার জুড়ি মেলা ভার। আর ওজন কমাতেও এর জুড়ি নেই।
বিজ্ঞান পত্রিকা ‘বিএমসি কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অলটারনেটিভ মেডিসিন’এর রিপোর্ট থেকে জানা যায়, নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ করলা খুব দ্রুত দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। করলার রস দিয়ে হেলথ ড্রিঙ্ক বানিয়ে খেলে কাজ হয় খুব তাড়াতাড়ি। করলার রস ফ্যাট সেলগুলো বার্ন করে এবং সেই জায়গায় নতুন ফ্যাট সেল তৈরি হতে বাধা দেয়।
Sony Bravia 4k Android Google TV 2022 Model- Click Here
Gree AC Price Update List | Gree Showroom Address | Gree Service Center | — Click Here
করলার জুসের গুণাগুণ
১. ১০০ গ্রাম করলায় ক্যালরি মাত্র ১৭। তাই শরীরে ক্যালরি গ্রহণ না করে দ্রুত ওজন কমাতে নিয়মিত করলার জুস খেতে পারেন।
২. স্বাদে তিতকুটে হলেও এতে আছে ভিটামিন এ, বি ও সি।
৩. করলার জুসে আছে বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইনসহ খনিজ উপাদান আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাংগানিজ ও ম্যাগনেশিয়াম।
৪. ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় করলার ভেষজগুণও রয়েছে।
৫. অগ্ন্যাশয় ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে।
৬. করলার আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
৭. দাঁত ও হাড় ভালো রাখে।
৮. দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এবং চোখের সমস্যা সমাধানে করলার বিটা ক্যারোটিন খুবই উপকারী।
৯. করলার রস কৃমিনাশক।
১০. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কীভাবে বানাবেন করলার জুস?
করলা ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট পিস করে কাটুন। বিচিগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। তেতো খেতে খুব সমস্যা হলে ব্লেন্ডারে করলার সঙ্গে অন্যান্য সবজি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য ওই মিশ্রণে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে খান। যারা লবণ খান, হালকা লবণ দিয়ে নিতে পারেন।