ময়মনসিংহের গণসমাবেশে যোগ দিতে নেতা কর্মীদের রাস্তায় রাত্রি যাপন।

ময়মনসিংহের গণসমাবেশে যোগ দিতে নেতা কর্মীদের রাস্তায় রাত্রি যাপন।
বিশেষ প্রতিনিধি:
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য গতকাল থেকেই আসতে শুরু করেছে নেতাকর্মীরা।রাতে রাস্তায় বিছানা পেতে ঘুমাতেও দেখা যাচ্ছে নেতা কর্মীদের।
জানা গেছে, স্থান নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার পর গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। যদিও পূর্বঘোষিত নির্ধারিত স্থান থেকে সরিয়ে শহরের মাসকান্দায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কাছে সার্কিট হাউস মাঠে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেয় বিএনপি।
 জানা যায়,জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এবং চলমান আন্দোলনে বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মী হত্যা, হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে এই গণসমাবেশ ডাকে বিএনপি।
আজ দুপুর দেড়টায় গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে সমাবেশে যোগ দিতে ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলা থেকে নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
 বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দরা এসে রাত যাপন করতে দেখা গেছে সমাবেশস্থলে এবং এর আশেপাশের ফুটপাতে।
কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি জিয়াউর রহমান লিমন ও হোসেনপুর পৌর ছাত্রদল এর সদস্য সচিব মোঃ রিমন মিয়া, হোসেনপুর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফসহ হোসেনপুর উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দকে দেখা গেছে বিছানা পেতে রাস্তায় অবস্থান নিতে।
নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে মানুষ ময়মনসিংহের সমাবেশে যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বক্তব্য রাখবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিভাগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক এমপি, জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি বা আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক বা সদস্য সচিব, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় একজন প্রতিনিধি ও মহানগরের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য রাখবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন