কী খান মেসি নেইমার এমবাপ্পেরা..?

কী খান মেসি নেইমার এমবাপ্পেরা..?

চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল। ফুটবলপ্রেমী কোটি কোটি দর্শকের চোখ তার প্রিয় দল আর খেলোয়াড়ের দিকে। বিশ্বকাপে শুরু হয় বিভিন্ন দল, দেশ ও তারকা ফুটবলারদের প্রতি ভক্তদের উপচেপড়া ভালোবাসা এবং অন্ধ সমর্থন প্রকাশে অভিনব সব প্রচেষ্টা। অনেকের আগ্রহ খেলোয়াড়দের জীবনযাপন-খাদ্যাভ্যাস নিয়েও।

বাংলাদেশ তথা বিশ্বের প্রায় সবার আগ্রহ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। আর ব্রাজিলকে সমর্থনের মূল কারণ নেইমার। আর আর্জেন্টিনাকে সমর্থনের নেপথ্যে লিওনেল মেসি।

মেসির খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানা গেছে, এক সময় কোমল পানীয় ও ফাস্টফুড ছিল মেসির প্রিয় খাবারের তালিকায়। তবে ২০১৪ সালে গিউলিয়ানো পোজার নামক এক আর্জেন্টাইন পুষ্টিবিদের নির্দেশনায় তিনি তার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনেন। পোজার তাকে একটি ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শ দিয়েছিলেন। যাতে পানি, অলিভ অয়েল, আস্ত শস্যদানা, তাজা ফল ও শাকসবজিসহ ৫টি প্রধান খাবার অন্তর্ভুক্ত থাকে। এটি মেসির খাদ্যতালিকার ভিত্তি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল।

ব্রাজিলের জাতীয় দল এবং বার্সেলোনা ও পিএসজির মতো ক্লাবে খেলে মাঠে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে লাখো মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন নেইমার।

কিন্তু নেইমার যখন বার্সায় যোগ দেন, তখন তার লিকলিকে শরীর দেখে ডায়েটেশিয়ানরা তার পারফরম্যান্স নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। নেইমারের খাদ্যতালিকা তিন ভাগে বিভক্ত– কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও চর্বি । এ ছাড়া আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্টস।

ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে এখন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ও মেসির উত্তরাধিকারী হওয়ার পথে। এমবাপ্পে প্রতিদিন ৬টি স্বাস্থ্যকর খাবার খান। তার খাদ্যতালিকায় প্রচুর রঙিন খাবারের সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন থাকে। বেনজেমার মতো এমবাপ্পেও মাংস খাওয়ার পরিমাণকে ন্যূনতম মাত্রায় সীমাবদ্ধ রেখেছেন।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন