হত্যা মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তার

হত্যা মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় হত্যা মামলা রুজুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে আসামি কিশোরগঞ্জের ৪নং আদালতে বিচারক রিয়াজুল কাউসারে কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলার মঠখলা বাজারের এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে কলেজছাত্র মো. গোলাম রাব্বীকে (২০) গ্রেপ্তার করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামি গোলাম রাব্বী উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের চরখামা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। তিনি মঠখলার হাজী জাফর আলী কলেজের এইচএসসির ২য় বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র। নিহত ইসমাইল (৪০) একই গ্রামের মৃত লিলু মিয়া ছেলে। তিনি বোনের বাড়িতে থেকে শিলপাটার খোদাইয়ে কাজ করতো।

পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি পাকুন্দিয়া উপজেলার চরখামা এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড় থেকে মো. ইসমাইল নামক এক ব্যাক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতের গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ ফেলে রেখে যায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কারও প্রতি কোনো সন্দেহ ছিল না। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহতের বড় বোন আসমা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।

পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলা রুজুর ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যার সাথে মো. গোলাম রাব্বীকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার রাতে ৯টার দিকে আসামি আদালতে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।

১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আসামি মো. গোলাম রাব্বী জানায়, অবৈধ সম্পর্ক ও আর্থিক লেনদেনসহ নানাবিধ কারণে ভিকটিমের সঙ্গে তার শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর ভিকটিম মো: ইসমাইল কুড়িখাই মেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে ভিকটিমকে কৌশলে আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ের নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় আসামি গোলাম রাব্বী। রাত অনুমান ৯টার দিকে গিয়ার নামক পানীয়র সঙ্গে গোপনে ৪ পিস ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর ভিকটিমের ঘুম চলে আসলে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ভিকটিমকে হত্যা করা হয়।

জবানবন্দি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠান আদালত। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে ঘুমের ট্যাবলেটের খালি পাতা, গিয়ার পানীয়র খালি বোতল ও অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে৷

আপনি আরও পড়তে পারেন