ঢাকা সিটিতে যুক্ত হচ্ছে টঙ্গি, সাভার ও কেরানীগঞ্জ

ঢাকা সিটিতে যুক্ত হচ্ছে টঙ্গি, সাভার ও কেরানীগঞ্জ

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে পার্শ্ববর্তী শহর টঙ্গী, সাভার ও কেরানীগঞ্জ। এ তথ্য জানিয়েছেন সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল হক।

সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সামরিক জাদুঘরের মাল্টিপারপাস হলে এক সেমিনারে বক্তব্য দানকালে তিনি এ কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল হক বলেন, ডিটেইল্ড এরিয়া প্লান (ড্যাপ) অনুযায়ী ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আয়তন আনুমানিক ১৫২৮ বর্গ কি.মি.। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর কর্তৃক ধারণকৃত আকাশ আলোকচিত্রের মাধ্যমে ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ১২২টি ১:৫,০০০ স্কেলের মানচিত্র প্রণয়ন করেছে। মানচিত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন আছে।

তিনি বলেন, এ মানচিত্রগুলো পুরনো বিধায় এর সাহায্যে পরিকল্পনাবিদদের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে শহরের জনসংখ্যা ও অবয়ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ঢাকা শহরের পার্শ্ববর্তী শহর টঙ্গী, সাভার ও কেরানীগঞ্জ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে। ঢাকা শহর ও তৎপার্শ্ববর্তী শহরগুলোতে শিল্পায়ন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা হতে বিপুল সংখ্যক লোক কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকায় ছুটে আসছে।

তিনি আরও বলেন, ড্যাপের সফল বাস্তবায়নের জন্য নগরীর উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত সব সংস্থা ও সর্বোপরি জনসাধারণের সমন্বিত প্রচেষ্টা  এবং উদ্যোগ একান্তভাবে প্রয়োজন। বর্তমানে ঢাকাবাসী নানা সমস্যায় জর্জরিত। যানজট ও জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য নাগরিক সমস্যায় প্রতিনিয়ত নাকাল হচ্ছে মানুষ। যত্রতত্র কলকারখানা স্থাপনের কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। নদী, খাল, জলাশয় ভরাট ও নির্বিচারে কৃষিভূমি ধ্বংস করে আবাসিক এলাকায় পরিণত করা হচ্ছে।

মো. হাবিবুল হক বলেন, ড্যাপ মূলত সমাজের সব স্তরের মানুষের চাহিদা এবং চিন্তাভাবনার একটি মিশ্র প্রতিফলন। এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের সামগ্রিক উন্নয়নে একটি সাম্যাবস্থা তৈরি হবে বলে আশা করা যায়। আর ড্যাপের সফল বাস্তবায়নের জন্য ‘আকাশ আলোকচিত্র ধারণের মাধ্যমে ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বৃহৎ স্কেলের টপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র প্রণয়ন’ প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত ডাটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি এই প্রকল্পের মানচিত্র প্রণয়ন পদ্ধতি সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেন এবং প্রকল্পের বিভিন্ন ভূ-স্থানিক তথ্য-উপাত্তের সূক্ষ্মতা ও সঠিকতা সংরক্ষণের নিমিত্তে গৃহীত পদক্ষেপের বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তিনি এসব তথ্য-উপাত্ত শিগগিরই বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অধিদপ্তরের নিজস্ব পোর্টাল থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা যাবে বলে জানান।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা এবং ভূ-স্থানিক তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারকারী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

আপনি আরও পড়তে পারেন