যে কারণে কমছে না হজের বিমান ভাড়া

যে কারণে কমছে না হজের বিমান ভাড়া

নির্ধারিত কোটা পূরণ না হওয়ায় ২১ মার্চ পর্যন্ত চতুর্থ দফা নিবন্ধনের সময় বাড়ায় হজ মন্ত্রণালয়। গত ১৬ মার্চ এ সময় বাড়িয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনও অবস্থাতে নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না। কিন্তু চতুর্থ ও শেষ সময়েও নিবন্ধনের সাড়া মিলছে না।

চলতি বছর কোরবানি ও ব্যক্তিগত খরচ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে হজের প্যাকেজ ধরা হয়েছে সরকারিভাবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা আর বেসরকারিভাবে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।

জানা যায়, সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।  প্রাক-নিবন্ধন করেছেন প্রায় আড়াই লাখ হজে গমনেচ্ছু। কিন্তু এখন চূড়ান্ত নিবন্ধনে এসে হজযাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েক ধাপে সময় বৃদ্ধি করলেও প্রাক-নিবন্ধনকারী অনেকে এখন নিবন্ধনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

প্রাক-নিবন্ধন করা কয়েকজন হজযাত্রী জানান, হজে যাওয়ার জন্য র্দীঘদিন প্রাক-নিবন্ধন করে অপেক্ষায় ছিলেন তারা।  কিন্তু এত টাকা খরচ করে হজে যাওয়ার সামর্থ নেই তাদের। তাই নিবন্ধন করেও হজে যাচ্ছেন না তারা।

কর্মকর্তারা বলছেন, হজযাত্রীদের আশা ছিল হাইকোর্ট, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহলের চাপে বিমান ভাড়া হয়তো কমবে। কিন্তু রোববার বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিমানের ভাড়া কমানো বা সমন্বয় করার কোনও সুযোগ নেই।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিম বলেছেন, হজের বিমান ভাড়া আর কমানো সম্ভব নয়। যে ভাড়া ধরা হয়েছে তা একদম সর্বনিম্ন এবং একটি আদর্শ বিমান ভাড়া। আমরা যতটুকু সম্ভব কমিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এ বছর প্রথম ফ্লাইট হবে ২১ মে। ওইদিন রাত পৌনে ৪টায় বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। বিজি-৩০০১ প্রথম ফ্লাইলটি জেদ্দা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় ২২ মে সকাল সাড়ে ৭টায় অবতরণ করবে। আর ২২ জুন বিমানের প্রি-হজ ফ্লাইট শেষ হবে।

হজের বিমান ভাড়াসহ কয়েকটি বিষয় অবহিত করতে রোববার বিমানের কুর্মিটোলার বলাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে বিমানের এমডি বলেন, আমরা ৩ মাস ধরে হজের বিমান ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছি। বিমান ভাড়া নিয়ে আমাদের প্রথম প্রস্তাব ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৩৩৮ টাকা। পরে এটিকে কমিয়ে প্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাহী কমিটি এই ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এবার ভাড়া বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ট্যাক্স, ডলারের দাম ও জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি।

বিমান এমডি বলেন, হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সেখানে বিমান একটি মাত্র খাত। আমরা সর্বনিম্ন দিয়েছি। এরপর আমাদের আর কিছু করার নেই।

বিমান ভাড়া নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলে এমডি বলেন, হজের বিমান ভাড়া সায়েন্টিফিক উপায়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা নিয়ে অযৌক্তিক, অনুমাননির্ভর অর্ধসত্য বলার সুযোগ নেই। হজযাত্রীরা আমাদেরও যাত্রী, তাদের সেবা দেওয়া আমাদের সর্বপ্রথম দায়িত্ব।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি ২৭ জুন (৯ জিলহজ) হজ অনুষ্ঠিত হবে। এখন হজের নিবন্ধন চলছে। ২১ মার্চ পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধন করা যাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন