হেরে গেলেও জনগণের পাশে আছি : মাহি

হেরে গেলেও জনগণের পাশে আছি : মাহি

বর্তমানে দেশেজুড়ে চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

 

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এদিন সকালেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন এই নায়িকা।

 

কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন মাহি। এ সময় কেন্দ্রের নানান বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন তিনি।

 

গণমাধ্যমে মাহি বলেন, ভোটারদের সবার সঙ্গে কথা বলছি, তারা উৎসব মুখর পরিবেশে আছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো দেখা যাচ্ছে। বাইরে আরও মানুষ অপেক্ষা করছেন। তবে মেয়েদের উপস্থিতিই বেশি দেখতে পাচ্ছি। এখন বেলা যতো বাড়বে ততো বেশি বোঝা যাবে।

 

ভোটকেন্দ্র থেকে কোনো অভিযোগ পাচ্ছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে চিত্রনায়িকা বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ তো আছেই। যেমন— বাইরে স্লোগান দিচ্ছে, ভোট চাচ্ছে। কেন্দ্রের ভেতরে গিয়েও ভোট চেয়েছে এমন অভিযোগও রয়েছে। আমি সেখানকার অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছি। পাশাপাশি এলয়াকায় ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়গুলো তো আছেই। তবে যতোটা সম্ভব হচ্ছে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।

 

কেন্দ্রের কিছু অভিযোগ জানিয়ে মাহি বলেন, কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যেমন— অনেক এজেন্টদের পাঁচ মিনিট দেরি হওয়ায় কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে পারেননি। আবার কোথাও কোথাও শুনলাম যে, একবার বের হলে আর ঢুকতে দিচ্ছে না। বাকিটা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যাবে।

 

নির্বাচনে জয় মাহি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক কেন আমি মেনে নেব। পাশাপাশি আল্লাহ না করুক আমি যদি ফেলও করি, আগামীকালকে এলাকাজুড়ে শোডাউন করব।

 

কারণ, আমার এলাকার জনগণদের আমি জানান দিতে চাই, নির্বাচনে পাশ করলেও আপনাদের সঙ্গে থাকতাম। হেরে গেলেও আপনাদের পাশে আছি আমি।

 

ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য।

 

এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।

 

এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।

 

এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।

আপনি আরও পড়তে পারেন