ওপার বাংলার জনপ্রিয় মুখ স্বস্তিকা মুখার্জি বরাবরই ক্যারিয়ার কিংবা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সবসময় সোজাসাপটা কথা বলে থাকেন। এমনকী ব্যক্তিজীবনের প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও। এখনো মাঝে মাঝে দীর্ঘ ১৫ বছর আগের পুরনো প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। আবার সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে তোলা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন এ অভিনেত্রী।
টালিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রেমিক পুরুষ বলা হয় অভিনেতা পরমব্রতকে। ক্যারিয়ারে বিভিন্ন সময় একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এ তালিকায় স্বস্তিকাও ছিলেন। ১৫ বছর আগের সেই সম্পর্ক যদিও এখন পুরনো। পরমব্রত এখন সংগীতশিল্পী পিয়ার স্বামী। গত নভেম্বরে গায়ক অনুপম রায়ের সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন অভিনেতা।
পিয়া-পরমব্রতের বিয়ের পর তখন সোশ্যালে স্বস্তিকাকে টেনে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। কেননা, বিভিন্ন সময় পরমব্রতের সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে সাবেককে সহজ বন্ধুত্বের সম্পর্ক বলে উল্লেখ করেছেন অভিনেত্রী। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন স্বস্তিকা।
সাবেকের সঙ্গে সহজ বন্ধুত্ব নিয়ে স্বস্তিকা বলেন, অনেকে কূটচালিও করে। শুধু সোশ্যালে নয়, চারপাশেও তো অনেক আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী রয়েছে। সব জায়গায় নানা ধরনের মানুষ রয়েছে। কিন্তু তাদেরকে আমরা কখনোই জীবনে পাত্তা দেই না যে, তারা মুখের ওপর কিছু বলতে পারবে। সব আত্মীয়দের কিন্তু ভালো লাগে না। পেছনে পড়ে থাকলে কিছু কথা বলবে। আগে তারা আড়ালে বলতো, আর এখন সোশ্যালে প্রকাশ্যে বলে। কিন্তু এসবে ব্যস্ত হয়ে পড়ি না।
স্বস্তিকা এরপরই পরমব্রতের ব্যাপারে বলেন, এই তো নববর্ষের পার্টিতে সৃজিত ও পরমব্রতের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলাম, সাবেক বলে কিছুই হয় না (হাসি)। কেননা, আমরা তো বলি বিয়ের পাঁচ-ছয় বছর হলে স্বামী-স্ত্রীও ভাই-বোন হয়ে যায়। আর ১৫ বছর আগের সাবেক কি সাবেকই থেকে যাবে?
টালি তারকা বলেন, আমরা একই জায়গায় কাজ করি। ভালো-মন্দের মধ্যে আমিও মিশে আছি। অনেকদিন হলে কারও খারাপ দিক মনে থাকে না। পরম, সৃজিত যাইহোক, যখন তাদের কথা ভাবি তখন কিন্তু ভালোগুলোই মনে পড়ে। খারাপ মনে রাখলে আমাদেরই ক্ষতি। তিক্ততা জমিয়ে রেখে লাভ কী? যদি পরমের কথা ভাবি তাহলে ওর ভালো বিষয়গুলোই মনে পড়ে। এ জন্য হয়তো সে বাড়ি ফেরার সময় জড়িয়ে ধরে বলতে পারি, ভালো থাকিস।
এ অভিনেত্রী আরও বলেন, পিয়াকে আমি অনেক দিন ধরে চিনি, জানি। খুব ভালো লাগে ওকে। পরমকে বলেছিলাম, ডাকিস, তোর জন্য না হলেও পিয়ার জন্য আমি যাব। কেননা, পিয়ার স্বামী কে, সেটি জরুরি নয় আমার কাছে। আমি সে রকম কোনো মানুষ নই যে, কাউকে জড়িয়ে ধরে তাকে ভালো থাকতে বলতে পারব না। কারও ভালো চাইতে পারব না কেন, বলুন তো। আর কারও সঙ্গে তো আমার দেখাদেখি বা যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। আমাদের পেশায় সেটি সম্ভবও নয়। এমনটা হলে কতজনের সঙ্গে করব না? তাহলে তো বাড়িতে বসে থাকতে হয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
