বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়ে হাথুরুর যত অভিযোগ

বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়ে হাথুরুর যত অভিযোগ

সবার অভিযোগ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে। আর লঙ্কান এই কোচের অভিযোগ বাংলাদেশ ক্রিকেটের নানাদিক কেন্দ্র করে। বিশ্বকাপের পর থেকে অনেকটা চুপচাপই ছিলেন টাইগার ক্রিকেটের কোচ। কথাবার্তা খুব একটা হয়নি কারোর সঙ্গেই। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর বাংলাদেশ ব্যস্ত বিপিএল নিয়ে। এখান থেকেই নতুন কিছু খুঁজে ফিরছেন নির্বাচকরা।

তবে, চন্ডিকা হাথুরুসিংহে নাকিবিপিএল দেখতে বসে টিভিই বন্ধ করে দেন। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর কাছে তার বিশাল সাক্ষাৎকারের দাবি অনুযায়ী, বাংলাদেশে যথাযথ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টই আয়োজন হয়না। এমনকি তিনি এও বলেছেন, বাংলাদেশে বিশ্বকাপ জেতার মত পর্যাপ্ত পরিকল্পনাও নেই।

ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে অনেক কথাই। বিশ্বকাপের ব্যর্থতাও ছিল আলোচনার অংশ। প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশ কেন বিশ্বকাপের সেমিতে যেতে পারেনি। উত্তরে হাথুরু বললেন পরিকল্পনার অভাবের কথা, ‘ভাল প্রশ্ন। এটা কেবল খেলোয়াড়দের ব্যাপার না। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে আমাদের একটা কাঠামো কিংবা চার থেকে আট বছর মেয়াদী পরিকল্পনা দরকার। এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়না।

এর পেছনে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন হাথুরু, ‘এই যুগে এসে দলগুলোকে উন্নতি করতে হয়। যখন ইংল্যান্ড অ্যাডিলেডে আমাদের কাছে হারল (২০১৫ বিশ্বকাপ) তারা পরের ১২ মাসে কত পরিবর্তন করেছে? এভাবেই তারা ২০১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০০৭ সালের বিপর্যয়ের পর, ভারত চার বছিরে নিজেদের গড়ে তুলেছে। আপনার একটা কাঠামো থাকতে হবে।’

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দল নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কই উঠেছে। তামিমের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া, সাকিবের আগমন, তার সঙ্গে বিভিন্ন সোশ্যাল এবং মিডিয়া প্লাটফর্মে বিষেদগার। দলের ভরাডুবির পেছনে এসবকিছুও বড় করে দেখছেন লংকান কোচ, ‘যদি এভাবে একটা বড় পরিবর্তন (অধিনায়কত্ব ইস্যু) হয়, এটা অবশ্যই আপনার প্রস্তুতিতে বাধা দেবে। বিশ্বকাপের আগে এমন একটা কিছু হলে, অবশ্যই তা দলের ওপর ভূমিকা রাখে।

তবে বিশ্বকাপের মূল আসরে বারবার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনে দোষের কিছু দেখছেন না তিনি। বরং এমন পরিবর্তনের পক্ষে এতটা দিন পরে এসেও সাফাই গাইলেন অবলীলায়, ‘এটা আমার একার সিদ্ধান্ত ছিল না। আমরা কেবল একজন খেলোয়াড়কেই পরিবর্তন করেছি। (মেহেদি হাসান) মিরাজ রান করছিল। সবাই তার এশিয়া কাপের শতকের কথা ভুলে গিয়েছে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও ফিফটি ছিল।’

মূল ব্যর্থতার জন্য অবশ্য হাথুরুর কাঠগড়ায় আছেন সব ব্যাটারই, ‘যারাই ব্যটিং অর্ডার নিয়ে কথা বলছে, এটা নিছকই অজুহাত। ব্যাটারদের ৩০ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকার দরকার ছিল। কিন্তু তারা কী করেছে? আমাদের ব্যাটাররা ভাল করেনি।’

আপনি আরও পড়তে পারেন