রমজান মাস, এতে নাজিল হয়েছে পবিত্র কোরআন

রমজান মাস, এতে নাজিল হয়েছে পবিত্র কোরআন

আল্লাহ তায়ালা বলেন : রমজান মাস, এতে নাজিল হয়েছে পবিত্র কোরআন, যা মানুষের দিশারি এবং স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৪) রমজান মাসে সপ্তম আকাশের লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আকাশ বায়তুল ইজ্জতে পবিত্র কোরআন একবারে নাজিল হয়েছে। সেখান থেকে আবার মজান মাসে অল্প অল্প করে নবী করিম (সা.) এর প্রতি নাজিল হতে শুরু করে।  কোরআন নাজিলের দুটি স্তরই রমজান মাসকে ধন্য করেছে। রমজান মাসের সঙ্গে আসমানি গ্রন্থগুলো, বিশেষ করে কোরআনের এমন অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের কারণে রমজান মহিমান্বিত হয়েছে—সন্দেহ নেই। এমনকি কোরআনের সঙ্গে এর সম্পর্ক এত গভীর যে, রমজানকে…

বিস্তারিত

সুখী থাকবেন কিভাবে? হাদিসে যা বলা হয়েছে

সুখী থাকবেন কিভাবে? হাদিসে যা বলা হয়েছে

সুখী হতে চান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সুখের খোঁজে, উৎসবের আয়োজন করতে করতেই কেটে যায় জীবনের পুরো সময়কাল। একটু সুখ, ভালো থাকার আশায় দিনের শুরু থেকে রাত পর্যন্ত কেটে যায় কঠোর পরিশ্রমে। এরপরও মনে হয় কাঙ্খিত সুখ আর একটু প্রশান্তির দেখা মিললো না এখনো। মানুষের স্বভাবের এই অতৃপ্তির বিষয়টি নিয়ে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যদি আদম সন্তানের দুই উপত্যকা ভরা সম্পদ থাকে, তবু সে তৃতীয়টার আকাঙ্ক্ষা করবে। আর মাটি ছাড়া আদম সন্তানের পেট কিছুতেই ভরবে না। আর যে তাওবা করবে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন।’ (বুখারি, হাদিস…

বিস্তারিত

মাহে রমজানের প্রথম দশ দিন রহমতের!

মাহে রমজানের প্রথম দশ দিন রহমতের!

রমজানুল মোবারক কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ১০ দিন রহমতের। এই সময়ে আল্লাহর অফুরন্ত রহমত বর্ষিত হতে থাকে। আমাদের অস্তিত্ব জুড়ে আল্লাহর রহমত। রহমত ছাড়া এক মুহূর্তও বাঁচার উপায় নেই। তবে পবিত্র রমজানের প্রথম দশকে রহমতের বারিধারা আরও প্রবল বেগে বইতে থাকে। এতে সিক্ত হয়ে মুমিন বান্দারা পরকালে সুউচ্চ আসনে আসীন হতে পারেন। রাসূল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের সামনে রমজান মাস হাজির। এটি অত্যন্ত বরকতপূর্ণ মাস। এ মাসের রোজা আল্লাহ তোমাদের ওপর ফরজ করেছেন। এ মাসে রহমতের দরজাগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বড়…

বিস্তারিত

মাকে পিঠে নিয়ে তাওয়াফ, মুগ্ধ করেছে যে দৃশ্য

মাকে পিঠে নিয়ে তাওয়াফ, মুগ্ধ করেছে যে দৃশ্য

আপন রবের সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম মা-বাবার সন্তুষ্টি অর্জন করা, তাদের খেদমত করা। আল্লাহ তায়ালা মা-বাবাকে সম্মান ও তাদের প্রতি সদয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কোরআনের নির্দেশ মেনে মাকে সম্মান প্রদর্শনের অনন্য এক দৃশ্য দেখা গেল এবার সৌদি আরবের মক্কার কাবা প্রাঙ্গণে। সম্প্রতি মাকে পিঠে নিয়ে পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফরত এক সন্তানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, উজবেকিস্তানের এক নাগরিক ওমরা পালনের সময় তার মাকে পিঠে চড়িয়ে তাওয়াফ করেছেন। মায়ের প্রতি উজবেকিস্তানের এই নাগরিকের সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শনের দৃশ্য অনেককেই মুগ্ধ করেছে। আল-আখবারিয়া টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে এই…

বিস্তারিত

মহানবী সা. কী দিয়ে ইফতার করতেন

মহানবী সা. কী দিয়ে ইফতার করতেন

রোজাদারের জন্য আনন্দের একটি বিষয় ইফতার। সারাদিন রোজা রেখে ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দঘন মুহূর্ত রয়েছে। একটি হলো ইফতারের সময় (এ সময় যেকোনো নেক দোয়া কবুল করা হয়)। অন্যটি হলো (কেয়ামতের দিবসে) নিজ প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬৬; বুখারি, হাদিস : ৭৪৯২; মুসলিম, হাদিস : ১১৫১) ইফতারের সময় হলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি ইফতার করা ভালো। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও তাড়াতাড়ি ইফতার করতেন। সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যতদিন মানুষ অনতিবিলম্বে ইফতার করবে, ততদিন তারা…

বিস্তারিত

লজ্জা যেভাবে পাপ থেকে বিরত রাখে

লজ্জা যেভাবে পাপ থেকে বিরত রাখে

লজ্জা একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ। এটি মানুষের স্বভাবগত গুণ। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও অত্যধিক লাজুক ছিলেন। হাদিসে লজ্জাকে ঈমানের অঙ্গ বলা হয়েছে। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘লজ্জা ঈমানের অংশ।’-(বুখারী ও মুসলিম) মানুষ চাইলে এই গুণের বাস্তব প্রয়োগ করে তাকওয়া–পরহেযগারীর উচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারে। কারণ, লজ্জাবোধকারী ব্যক্তি লজ্জার কারণে গুনাহ থেকে বিরত থাকে এবং দায়িত্বের প্রতি যত্নবান হয়। যখন মানুষের আত্মা ঈমানে পরিপূর্ণ হয় তখন তা তাকে গুনাহ থেকে বিরত রাখেএবং ভালো কর্মে উদ্বুদ্ধ করে। হাদিসে ঈমানের মধ্যবর্তী শাখাগুলোর মধ্য থেকে কেবল লজ্জার কথা উল্লেখ করার কারণ অন্য এক…

বিস্তারিত

পবিত্র রমজান মাসের ফজিলত ও ইবাদত

পবিত্র রমজান মাসের ফজিলত ও ইবাদত

পবিত্র রমজান মাসের আগমনে মুসলিমগণ আনন্দ প্রকাশ করে থাকেন। আনন্দ প্রকাশ করাই স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন : বল, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়ায়। সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা সঞ্চয় করে এটা তার চেয়ে উত্তম। [সূরা ইউনুস : ৫৮] পার্থিব কোন সম্পদের সাথে আল্লাহর এ অনুগ্রহের তুলনা চলে না, তা হবে এক ধরনের অবাস্তব কল্পনা। যখন রমজানের আগমন হত তখন রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতিশয় আনন্দিত হতেন, তার সাহাবাদের বলতেন : তোমাদের দ্বারে বরকতময় মাস রমজান এসেছে।  এরপর তিনি এ মাসের কিছু ফজিলত…

বিস্তারিত

মেরাজের রাতে যেভাবে নামাজ ফরজ হলো

মেরাজের রাতে যেভাবে নামাজ ফরজ হলো

ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অলৌকিক ঘটনা ‘মেরাজ’। মেরাজের রাতে আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মদীর ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেন। প্রথমে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়। এরপর পর্যাক্রমে তা পাঁচ ওয়াক্তে নিয়ে আসা হয়। এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মতের ওপর প্রত্যেক দিন ও রাতে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেন। আমি মুসা (আ.)-এর কাছে আসি। তিনি বলেন, আপনার রব আপনার উম্মতের ওপর কী ফরজ করেছেন? আমি বললাম, পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ। তিনি বলেন, আপনি রবের কাছে গিয়ে আরো সহজ করার আবেদন করুন। আপনার উম্মত…

বিস্তারিত

মেরাজের রাতে যা ঘটেছিল

মেরাজের রাতে যা ঘটেছিল

রাসুল (সা.)-এর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অলৌকিক ঘটনাগুলোর একটি ‘মেরাজ’। মেরাজ আরবি শব্দ, শাব্দিক অর্থ ঊর্ধ্বগমন, আকাশপথে ভ্রমণ করা, সোপান ইত্যাদি। রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে রাসুল (সা.) আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন। ঐতিহাসিক সেই সফরকেই মেরাজ বলা হয়। হিজরতের পূর্বে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহধর্মিণী হজরত খাদিজাতুল কুবরা ও চাচা আবু তালেবের ইন্তেকালের পর মক্কার মুশরিকদের নির্যাতন বেড়ে বেড়ে গেল। এ বছরটি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনের অন্যতম কষ্টের বছর ছিল। শান্ত্বনার জন্য আল্লাহ তায়ালা নবীজিকে শরীরে সজ্ঞানে জাগ্রত অবস্থায় জিবরাইল (আ.) ও মিকাইলের (আ.) সঙ্গে বিশেষ…

বিস্তারিত

যে দোয়া পড়বেন ভোরবেলা

যে দোয়া পড়বেন ভোরবেলা

ভোররাতে বা দিনের শুরুতে সবচেয়ে বেশি কল্যাণ থাকে। শুধু ইবাদত-বন্দেগিই নয়, বরং পার্থিব কাজের জন্যও এটি সবচেয়ে উপযুক্ত ও বরকতময় সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ভোরবেলার কাজের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন। সখর গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করুন।’ এ জন্যই রাসুল (সা.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। বর্ণনাকারী বলেন, হজরত (রা.)-ও তাঁর ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬০৬) প্রত্যেকের উচিত…

বিস্তারিত