দেশের সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে ক্রেতাদের কাছে পণ্য ডেলিভারির পরই টাকা পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের এসব লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, ডাব্লিউটিও সেল) হাফিজুর রহমান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। বৃহস্পতিবার (২৪) তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান তিনি। যেসব ক্রেতা ইতিমধ্যে অগ্রীম অর্থ পরিশোধ করছেন, তারা পণ্য কিভাবে পাবে বা তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন? একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্নের উত্তরে রাসেল বলেন, ‘আমরা গ্রাহকের প্রতি কমিটেড। আমরা ইভ্যালির নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী তাদের…
বিস্তারিতTag: ইভ্যালি
যেভাবে কম টাকায় বাইক দেয় ইভ্যালি, জানালেন এমডি
ইভ্যালি অনলাইন শপিং
ডিজিটাল ব্যবসার নতুন ফাঁদ ই–ভ্যালি
কিনলেই অর্থ ফেরতের অস্বাভাবিক ‘ক্যাশব্যাক’ অফার দিয়ে ব্যবসা করছে বাংলাদেশি ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালি। ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য কিনলে সমপরিমাণ বা তার চেয়েও বেশি অর্থ ফেরত দেওয়ার লোভনীয় এই অফারে হাজার হাজার গ্রাহক আকৃষ্ট হচ্ছেন। লাভবানও হচ্ছেন অল্প কেউ, বেশির ভাগই আছেন লাভবান হওয়ার অপেক্ষায়।
কার্যক্রম শুরুর দুই বছর পার না হতেই এ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানটি এক হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। অথচ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ৫০ হাজার টাকা। ব্যবসা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এক বছর আট মাস বয়সী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে নানা অভিযোগও জমা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়ের ধরন দেখে বিশেষজ্ঞরাও আশঙ্কা করছেন, এতে মানি লন্ডারিংয়ের সুযোগ রয়েছে।
অনলাইনে পণ্য কিনলে সময় বাঁচে, ঝক্কিও এড়ানো যায়। তাই ঘরের দুয়ারে প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে নিবন্ধন নেয় ই-ভ্যালি। মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, মোবাইল ফোনসেট, টেলিভিশন ইত্যাদি পণ্য বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি গাড়ি বিক্রিতেও নেমেছে।
ই-ভ্যালি জানায়, তাদের নিবন্ধিত গ্রাহক ৩৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মাসে লেনদেন হচ্ছে ৩০০ কোটি টাকার পণ্য। ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রির বিপরীতে কর দেওয়া হয়েছে দেড় কোটি টাকা। গড়ে প্রতি মাসে পণ্য বিক্রির অর্ডার পাচ্ছে তারা ১০ লাখ করে। তাদের সঙ্গে এরই মধ্যে যুক্ত হয়ে পড়েছে ২৫ হাজার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এবং তারা ৪ হাজার ধরনের পণ্য বিক্রি করে কমিশন পাচ্ছে।
মাত্র ৫০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধন দিয়ে শুরু করা এই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন এখনো ৫০ হাজার টাকাই। ২০১৮ সালের ১৪ মে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধকের কার্যালয় (আরজেএসসি) থেকে নিবন্ধন নেয় ই-ভ্যালি ডটকম লিমিটেড। এর অনুমোদিত মূলধন ৫ লাখ টাকা। ১০ টাকা মূল্যমানের এক হাজার শেয়ারের মালিক কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল। আর চার হাজার শেয়ারের মালিক তাঁর স্ত্রী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। পরিশোধিত মূলধনের মধ্যে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন মোহাম্মদ রাসেল আর শামীমা নাসরিন দিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রিধারী মোহাম্মদ রাসেল হচ্ছেন ই-ভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা। কর্মজীবন শুরু করেন তিনি ঢাকা ব্যাংক দিয়ে। পরে ছেড়ে দিয়ে ‘কিডস’ ব্র্যান্ডের ডায়াপার আমদানি শুরু করেন। পরে নিয়ে আসেন ই-ভ্যালি। শুরুর দিকে চালু করা হয় ‘ভাউচার’ নামক একটি পদ্ধতি, এতে দেওয়া হতো ৩০০ শতাংশ ও ২০০ শতাংশ ক্যাশব্যাক। বর্তমানে ১৫০ শতাংশ, ১০০ শতাংশ এবং পরে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাকের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। শুরুর দিকে ১০ টাকায় একটি পেনড্রাইভ এবং ১৬ টাকায় টি-শার্ট বিক্রি করে সাড়া জাগায় ই-ভ্যালি।
দুর্নীতি দূর করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলার পরে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হওয়া অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর সম্প্রতি ই-ভ্যালি নিয়ে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বলেন, পণ্য আছে ৫টি, যেহেতু কেউ জানে না, তাই টাকা জমা দিলেন হয়তো ১০০ জন। পণ্য পাবেন ৫ জন। বাকি ৯৫ জনের টাকা ঝুলে থাকবে। আর সবার বোঝা উচিত যে বিক্রেতা বা কোম্পানি আপনাকে পণ্যের সঙ্গে ১০০ শতাংশ, ১৫০ শতাংশ টাকা ফেরত দিচ্ছে। নিশ্চয়ই তিনি পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে বা পকেট থেকে দেবেন না। দেবেন নিশ্চয়ই অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে।
- ই-ভ্যালি একটি পারিবারিক কোম্পানি।
- আরজেএসএসি থেকে নিবন্ধন ২০১৮ সালের ১৪ মে।আনুষ্ঠানিক যাত্রা ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর।
- কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫ লাখ টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৫০ হাজার টাকা।
- প্রতি মাসে লেনদেন এখন ৩০০ কোটি টাকা।
- এ পর্যন্ত পণ্য বিক্রি ১,৫০০ কোটি টাকার।
- ৩৫ লাখ গ্রাহক নিবন্ধিত।
ইভ্যালির সব প্রতারণার সত্যতা মিলেছে
ই-ভ্যালির প্রতারণা, জালিয়াতি সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করাসহ নানা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সম্পূর্ণ কার্যক্রম তদন্ত করতে সরকারের সাত সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংস্থাগুলো হচ্ছে- দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে গত ২৫ আগস্ট এফটিএ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদকে প্রধান করে তিন সদস্যের…
বিস্তারিতইভ্যালির গ্রাহক হয়রানি আর ভোগান্তির শেষ কোথায়?
রকমারি আকর্ষণীয় ছাড় আর অফার দিয়ে এক বছরের মধ্যেই ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে আলোচনার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে অনলাইন কেনাকাটার প্লাটফর্ম ইভ্যালি। অল্পদিনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উঠেছে গ্রাহক হয়রানি আর ভোগান্তির হাজারো অভিযোগ। ইভ্যালির সাইক্লোন, লণ্ডভণ্ড, নবীন বরণ, ভ্যালেন্টাইন সাইক্লোন, ধামাকা অফার নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন। আর বছরব্যাপী বিশেষ দিবসকে ঘিরে প্রতিষ্ঠানটির দেয়া এসব লোভনীয় অফারে আকৃষ্ট হয়ে সারাদেশ থেকে অনলাইনে পছন্দের পণ্য অর্ডার করে বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য সাধারণ গ্রাহক। ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেয়ার নিয়ম থাকলেও দিনের পর দিন অপেক্ষা করে, কেউ এক…
বিস্তারিতঅনলাইনে অফারের নামে ইভ্যালির প্রতারণা
দাম পরিশোধ করার পরও টিভি দেয়া হচ্ছে না। বলা হচ্ছে অর্ডার বাতিল করতে। এমনই প্রতারণার শিকার হয়েছেন সোহাগ নামের এক ব্যক্তি। পেশায় তিনি একজন ডাক্তার। বিষয়টি নিয়ে ভোক্তা অধিকারে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির নামে অভিযোগও করেছেন তিনি। ইভ্যালির বিরুদ্ধে এরকম প্রতারণার অভিযোগ করেছেন আরো অনেক গ্রাহক। সাইক্লোন, লণ্ডভণ্ড, দেশব্যাপী সবাইকে ১৫ নম্বর অফার সতর্ক সংকেত এমন ভয়ঙ্কর নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন। ইভ্যালির লোভনীয় অফারে আকৃষ্ট হয়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ প্রি-অর্ডারের টাকা ফেরত নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন। পণ্য অর্ডার করে বিপাকে পরেছেন নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া নামে এক…
বিস্তারিতকৌশলে গ্রাহককে জিম্মি করে কোটিপতি ইভ্যালি
কৌশলে গ্রাহককে জিম্মি করার অভিযোগ উঠেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে। অনলাইন শপিংয়ের পর ১৫ দিনে ডেলিভারি দেয়ার কথা থাকলেও মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও মিলছে না কাঙ্খিত পণ্য। সেই সঙ্গে অগ্রিম টাকা দিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন অনেক গ্রাহক। ডেইলি বাংলাদেশ সম্প্রতি এক গ্রাহক ইভ্যালি থেকে বড় ভাইয়ের জন্য মোটরসাইকেল অর্ডার দিয়ে হয়েছেন ঘরছাড়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোটরসাইকেল কিনতে গিয়ে কীভাবে ঘরছাড়া হয়েছে তা তুলে ধরেছেন তিনি। ফারুক ইসলাম নামের ওই গ্রাহক বলেন, ইভ্যালিতে বড় ভাইয়ের জন্য বাইক অর্ডার করে আজ আমি ঘরছাড়া। যতদিন না ডেলিভারি পাব ততদিন আর বাসায় ঢুকতে পারবো…
বিস্তারিত