চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এইচ.এম. আল-আমিন। https://agamirsomoy.com/haier-inverter-ac-1-5-ton-uv-cool/234932 তিনি জানান, গত ২৪ অক্টোবর বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আসামিদের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। গত বছরের ২৮ নভেম্বর মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে আসামি করে মামলাটি করেছিলেন মেহেদী হাসান…
বিস্তারিতTag: ইভ্যালির গ্রাহক হয়রানি
যেভাবে কম টাকায় বাইক দেয় ইভ্যালি, জানালেন এমডি
ইভ্যালি ফ্রিজ অফার Evaly আজকের অফার ইভ্যালি থেকে পণ্য কেনার নিয়ম
অভিনব বিক্রয় পদ্ধতি
গত ২৪ জুন ই-ভ্যালি থেকে দুটি ফ্যান কেনার অর্ডার দিয়েছিলেন মিরপুরের বাসিন্দা কামরুল আহসান। দাম ৫ হাজার ৮০০ টাকা। তিনি জানান, ই-ভ্যালি তাঁকে বলেছিল ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফ্যান পৌঁছে দেবে বাসায়। অর্ডারের সঙ্গে ৯০ শতাংশ অর্থাৎ ৫ হাজার ২২০ টাকা ক্যাশব্যাক পান কামরুল। এই টাকা ই-ভ্যালির সরবরাহ করা কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়ে শেষ করেন। কিন্তু দুই মাস হতে চললেও ফ্যান আর পাননি তিনি।
কামরুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফ্যান আমার দরকার ছিল বলেই অর্ডার দিয়েছিলাম। অপেক্ষা করতে করতে একপর্যায়ে বাজার থেকে ফ্যান কিনে ফেলি। ই-ভ্যালি যদি কোনো সময় ফ্যান দেয়ও, তা দিয়ে কী করব, এখন আছি সেই দুশ্চিন্তায়।’
প্রচলিত পদ্ধতিতে পণ্য কেনার সঙ্গে সঙ্গে দাম পরিশোধ করতে হয়। দেশে কিস্তিতে ও বাকিতে পণ্য কেনার সুযোগও তৈরি হয়েছে এখন। আর কয়েক বছরের প্রবণতা হচ্ছে অনলাইনে কেনাকাটা। সে ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম পরিশোধ করতে হয়, যাকে বলা হয় ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’। কিন্তু ই-ভ্যালি এসব পথে হাঁটছে না। ই-ভ্যালি থেকে পণ্য কিনতে গেলেই দাম পরিশোধ করতে হয় আগে।
শুরুতে যে বলা হলো এক লাখ টাকার পণ্য কিনে এক থেকে দেড় লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়, ই-ভ্যালি এই ফেরতের নামই দিয়েছে ‘ক্যাশব্যাক’। ক্যাশব্যাক জমা হয় ই-ভ্যালি ব্যালান্সে। তা–ও আবার তিন দিন পর। এই টাকায় ই-ভ্যালি থেকেই অন্য পণ্য কিনতে হয়। সে ক্ষেত্রে পণ্যের ৬০ শতাংশ দাম গ্রাহক পরিশোধ করতে পারেন ব্যালান্স থেকে। বাকি ৪০ শতাংশ পকেট থেকে টাকা দিতে হয়।
ই-ভ্যালির রয়েছে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ‘ভাউচার অফার’। আরও রয়েছে ‘ক্যাম্পেইন’ নামক একটি বিকল্প কর্মসূচি। ক্যাম্পেইনভেদে পণ্য সরবরাহ করা হয় ৭ থেকে ৪৫ দিনে। ই-ভ্যালি এ–ও বলছে, অনিবার্য কারণবশত ক্যাম্পেইনে যেকোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জনের সম্পূর্ণ অধিকার ই-ভ্যালি কর্তৃপক্ষের রয়েছে। তবে কিছু গ্রাহকের অভিযোগ হচ্ছে, বেঁধে দেওয়া সময়ে তাঁরা পণ্য পাচ্ছেন না। আর ই-ভ্যালির জবাব হচ্ছে, স্টক থাকা সাপেক্ষে পণ্য দেওয়া হয়, এমনকি চাইলেই গ্রাহকেরা টাকা ফেরত নিয়ে যেতে পারেন।
ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএসের বাসিন্দা আমানউল্লাহ চৌধুরী গত ১৪ জুলাই দুদক চেয়ারম্যান বরাবর এক আবেদনে ই-ভ্যালি নিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ জানান। যোগাযোগ করলে আমানউল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ই-ভ্যালি হচ্ছে ডিজিটাল এমএলএম কোম্পানি। দেশের ই-কমার্স প্ল্যাটফরমকে বাঁচাতে এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত।
তবে দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, অনেক অভিযোগ আসে। এ ব্যাপারেও হয়তো এসেছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ই-ভ্যালির কার্যক্রমের ধরন অনেকটা এমএলএম কোম্পানির মতো। এমএলএম কোম্পানিগুলোর প্রতারণার চিত্র দেখার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে ই-ভ্যালিও তাই করছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এখানে মানি লন্ডারিং হচ্ছে।
তানজীব-উল-আলম, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ
পণ্য সরবরাহে ঘাটতি
ই-কমার্সের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সঠিক পণ্য সময়মতো পৌঁছানো। কিন্তু ই-ভ্যালি অনেক ক্ষেত্রেই কাজটি করতে পারছে না। টাকা আটকে রেখে ই-ভ্যালি গ্রাহককে জানিয়ে দিচ্ছে, পণ্যের সরবরাহ নেই (স্টক আউট) বলে অর্ডার বাতিল করা হলো।
‘গিফট কার্ড’ নাম দিয়েও গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিচ্ছে ই-ভ্যালি। যাঁরা গিফট কার্ড কিনছেন, তাঁরা তাঁদের টাকা ফেলে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।
ই-ভ্যালির আরেকটি বিষয় হচ্ছে ‘ই-ওয়ালেট’। ই-ভ্যালিতে পণ্য না পেয়ে অনেক সময় ক্রেতা যখন বিরক্ত হয়ে অর্ডার বাতিল করে দেন, তখন তাঁর টাকা জমা হয় ই-ওয়ালেটে। পণ্যের সরবরাহ না থাকায় ই-ভ্যালি নিজেও বাতিল করে দেয় অর্ডার। তখনো গ্রাহকের টাকা ই-ওয়ালেটে জমা হয়। টাকা আর ফেরত পান না গ্রাহক, বরং অন্য পণ্য কিনে উশুল করতে হয়।
উদাহরণ দিয়ে ই-ভ্যালির বঞ্চিত একজন গ্রাহক জানান, কেউ একজন আসুসের ল্যাপটপ কিনবেন বলে অর্ডার দিলেন। টাকাও জমা দিলেন। এক থেকে দুই মাস পর ই-ভ্যালি তাঁকে জানাল যে পণ্যটির সরবরাহ নেই। সরবরাহ আছে বেশি বেশি দরের অন্য ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ। গ্রাহক সেটাই নিতে বাধ্য হন।
ই-ভ্যালির ওয়েবসাইটে ‘সাপোর্ট’ নামক একটি অপশন রয়েছে। এখানে ফোন করার ও ই-মেইলের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ফোন করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে জবাব আসে, ‘আপনার বিষয়টি আমাদের টিম দেখছে। খুব শিগগির আপনাকে কল-ব্যাক করা হবে।’ অথবা বলা হয়, ‘একটু ধৈর্য ধরুন। খুব শিগগির আপনার পণ্যটি পেয়ে যাবেন।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ করা না হলে অনূর্ধ্ব এক বছরের সশ্রম বা বিনা শ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। প্রতিকারও নিচ্ছি। তবে অনেকে যথাযথভাবে অভিযোগ করতে পারছেন না বলে প্রতিকার পাচ্ছেন না।’
ঢাকার সোবহানবাগ মসজিদের পাশের গলির শেষ মাথায় অবস্থিত ই–ভ্যালি কার্যালয়ে ১৬ আগস্ট কোম্পানিটির এমডি মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। পরে আবার মুঠোফোনে কথা হয় ২০ আগস্ট।
মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ই-ভ্যালির পণ্য বিক্রির পদ্ধতি ঠিকই আছে। ভিন্ন বিপণন পদ্ধতি অনুসরণ করলেও তিনি আইন লঙ্ঘন করছেন না। উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘১০০ টাকার যে পণ্যে ১০০ টাকার ক্যাশব্যাক দেওয়া হয়, তার ৬০ শতাংশ ই-ভ্যালির ব্যালান্সে যোগ হয়। ৪০ শতাংশ নতুন করে টাকা দিয়ে গ্রাহককে নতুন পণ্য কিনতে হয়। এতে ই-ভ্যালির লোকসান দাঁড়ায় ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। তবে ওই গ্রাহক যখন অন্য পণ্য কেনেন, তার লাভ থেকে আমরা লোকসান পুষিয়ে নিই।’
মোহাম্মদ রাসেল আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মোবাইল ও মোটরসাইকেলসহ কিছু পণ্য সরবরাহে জটিলতা হয়েছে। তবে পণ্য পাবেন না, এমন অবস্থা হওয়ার সুযোগই নেই।
কেন্দ্রীয় সেল এখনো হয়নি
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। ডিজিটাল ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা; স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা; বেচাকেনায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে আস্থা স্থাপন করা; ক্রেতা-বিক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করাই নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্য।
নীতিমালা প্রতিপালনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের আওতায় কেন্দ্রীয় সেল গঠনের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সেল ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। দুই বছরেও সেই সেল গঠিত হয়নি। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নোটিশ বোর্ডে এক হাজার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা রয়েছে, যাতে ই-ভ্যালির নাম রয়েছে।
পণ্য বেচাকেনার উঠতি পদ্ধতি ই-কমার্সকে আমরা সমর্থন করছি। সামনে বিপুল সম্ভাবনা। তবে ই-কমার্সের নামে প্রতারণা মেনে নেওয়া হবে না। ই-ভ্যালি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিচ্ছি।
মো. জাফরউদ্দীন, বাণিজ্যসচিব
নীতিমালায় ভোক্তা অধিকারের প্রশ্নে বলা হয়েছে, বিক্রীত পণ্য ফেরত, মূল্য ফেরত ও প্রতিস্থাপনের শর্ত ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করবে। কিন্তু ই-ভ্যালির ওয়েবসাইটে তা নেই। আবার নীতিমালায় পণ্য পেয়েই পরিশোধ বা ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পদ্ধতি চালু করার কথা বলা হয়েছে, যৌথভাবে যা বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অথচ ই-ভ্যালির ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পদ্ধতিই নেই।
বাণিজ্যসচিব মো. জাফরউদ্দীন এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পণ্য বেচাকেনার উঠতি পদ্ধতি ই-কমার্সকে আমরা সমর্থন করছি। সামনে বিপুল সম্ভাবনা। তবে ই-কমার্সের নামে প্রতারণা মেনে নেওয়া হবে না। ই-ভ্যালি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিচ্ছি।’
কেন্দ্রীয় সেল গঠন না করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিজের প্রণীত নীতিমালাই মানছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, কাজটি শুরু হয়েছে। সেল গঠনের কার্যক্রম চলমান।
জানা গেছে, নীতিমালায় সেলের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়েছে, আর এ শর্তই হচ্ছে এখন পর্যন্ত সেল গঠিত না হওয়ার পথে অন্যতম বাধা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ শর্ত সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।
২০১৩ সালে এমএলএম আইন পাস হওয়ার সময় বাণিজ্যসচিব ছিলেন মাহবুব আহমেদ। গতকাল ই-ভ্যালির বিপণন পদ্ধতি সম্পর্কে জানালে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এর কার্যক্রম তো অনেকটা এমএলএম কোম্পানির মতোই। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
ই-ওয়ালেটের লাইসেন্স প্রসঙ্গ
ই-ভ্যালি যে ওয়ালেট পদ্ধতিতে টাকা রাখছে, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সবিহীন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ৫ মার্চ দেশের সব তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) সেবাদাতা, পেমেন্ট সার্ভিস সেবাদাতা (পিএসপি) এবং পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরের (পিএসও) উদ্দেশে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বলেছে, কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স না নিয়েই পিএসপি ও পিএসওর মতো কার্যক্রম চালাচ্ছে, যা আইনসিদ্ধ নয়। কেউ প্রতারিত হলে গ্রাহকদের আস্থা নষ্ট হবে এবং অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। লাইসেন্স ছাড়া কোনো ধরনের ওয়ালেটসেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ই–ভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘শুধু আমরা নই, পুরো ই-কমার্সই এখন উঠতির দিকে। ই-ভ্যালিতে বিদেশি বিনিয়োগ আনারও চেষ্টা করছি। কিছু ভুল থাকতে পারে। তবে ভালো ব্যবসা করছি, ভালো সাড়াও পাচ্ছি। আর বাংলাদেশ ব্যাংক যে ওয়ালেটের কথা বলছে, আমাদের সে ধরনের ওয়ালেট নেই। তাই লাইসেন্স নেওয়ার দরকার নেই।’
যোগাযোগ করলে কোম্পানি আইন নিয়ে কাজ করা আইনজীবী তানজীব-উল-আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ই-ভ্যালির কার্যক্রমের ধরন অনেকটা এমএলএম কোম্পানির মতো। এমএলএম কোম্পানিগুলোর প্রতারণার চিত্র দেখার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে, ই-ভ্যালিও তাই করছে। ৫০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি দেড় হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। কোম্পানির পরিচালকেরা সক্ষম হলে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারতেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এখানে মানি লন্ডারিং হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করে দেখতে পারে।’
ইভ্যালির বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোনসহ বেশ কিছু মালামাল সরিয়ে ফেলেছে কয়েকজন কর্মচারী
ইভ্যালির সিইও ও এমডি গ্রেপ্তারের রাতেই প্রতিষ্ঠানটির ওয়্যারহাউস থেকে বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোনসহ বেশ কিছু মালামাল সরিয়ে ফেলেছে কয়েকজন কর্মচারী। সাভারের হেমায়েতপুরের পূর্বহাটি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে পণ্যগুলো এনে জমা করেন ইভ্যালির প্যাকেজিং সেকশনের দায়িত্বে থাকা মোজাম্মেল। এই পণ্যগুলোর আনুমানিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এ তথ্য জানতে পেরে ইভ্যালির কিছু গ্রাহক অর্ডারকৃত পণ্য বুঝে পেতে সেই বাসার সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। পরে তাঁদের দাবিকৃত পণ্য বুঝিয়ে দিতে একদিন সময় চান মোজাম্মেল। সময় পার যাওয়ার পর থেকে মোজাম্মেলের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। হেমায়েতপুরে মোজাম্মেলের শ্বশুর বাড়িতে…
বিস্তারিতএবার রাসেলসহ ইভ্যালির ১২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মো. কামরুল ইসলাম চকদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ইভ্যালির সিইও এবং চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে…
বিস্তারিতগ্রাহক, সেলারদের উদ্দেশ্য ইভ্যালির জরুরি নোটিশ
গ্রাহক ও সেলারদের উদ্দেশ্য অফিস কার্যক্রম সংক্রান্ত জরুরি নোটিশ জারি করেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ইভ্যালির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশে বলা হয়, সম্মানিত গ্রাহক এবং সেলার, আপনাদের জন্যই আমাদের সকল আয়োজন। আর তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার লক্ষ্যে, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ইভ্যালির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ নিজ নিজ বাসা থেকে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ‘হোম অফিস’ পদ্ধতিতে ইভ্যালির সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলমান থাকবে। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমাদের একান্তভাবে কাম্য। ইভ্যালির…
বিস্তারিতইভ্যালির রাসেলের বাসায় র্যাবের অভিযান
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে রাসেলের মোহাম্মদপুরের নিলয় কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংয়ের বাসায় (হাউজ ৫/৫এ, স্যার সৈয়দ রোড) অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাবের দায়িত্বশীল সূত্র। এর আগে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক অনিন্দ তালুকদার। তিনি বলেন, আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার নম্বর- ১৯। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আরিফ বাকের গত ২৯ মে ও…
বিস্তারিতইভ্যালি থেকে ৩ মাস আগেই পদত্যাগ করেছি: আরিফ আর হোসাইন
বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালি থেকে তিন মাস আগেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আরিফ আর হোসাইন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, “এপ্রিল এবং মে-এই দুই মাস আমি ইভ্যালির সাথে যুক্ত ছিলাম। অর্গানাইজ করতে না পারায় পরে আমি নিজেই সেখান থেকে সরে আসি”। ইভ্যালির গ্রাহকেরা ইতিমধ্যে বকেয়া ডেলিভারি এবং রিফান্ড ফেরত পেতে ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। তার মধ্যে এই পদত্যাগের খবর ছড়ানোয় নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অগ্রিম টাকা ও পণ্য নিয়ে কাস্টমার ও সেলারদের অনিশ্চয়তায় ফেলার পর এবার নিজ কর্মীদেরও জিম্মি করার অভিযোগ…
বিস্তারিতকর্মীদের ভালো চাকরি খুঁজতে বলছে ইভ্যালি
২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ইভ্যালি। শুরুর পর থেকেই গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে দেওয়া হয় একের পর এক আকর্ষণীয় অফার। ইভ্যালির এমন অবিশ্বাস্য অফার নিয়ে শুরুতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সমালোচনা থাকলেও গ্রাহকরা সেই অবিশ্বাস্য অফারে ঝুঁকে পড়ে। তড়িৎ গতিতে বাড়তে থাকে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়ীক কার্যক্রম। বাইক, ফ্রিজ, ফার্নিচারসহ যাবতীয় সব পণ্যে মূল্য ছাড়ের ছড়াছড়ি চলে ইভ্যালিতে। গ্রাহকরাও এমন মূল্য ছাড়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। শুরুতে রমরমা ব্যবসা করে ইভ্যালি। আগে টাকা পরে পণ্য ডেলিভারি দিলেও শুরুতে গ্রাহকদের কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে যখন পণ্য ডেলিভারির সময় দীর্ঘ হতে থাকে এরপরই গ্রাহকদের কাছ…
বিস্তারিতইভ্যালির ব্যাংক হিসাব তলব
বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যাংক হিসাব জব্দের পর এবার তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের নামে পরিচালিত সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এসব তথ্য চেয়েছে। ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের নামে পরিচালিত সব ধরনের হিসাবের তথ্য পাঠাতে হবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে তাঁদের হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী, ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি জমা ও উত্তোলনের জমা রসিদ বা চেকের কপি (ওয়াক-ইন কাস্টমারের ছবিযুক্ত…
বিস্তারিতসিরাজগঞ্জে ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির বিরুদ্ধে মামলা
প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জে মামলা করা হয়েছে। বুধবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বাসিন্দা মো. রাজ বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরার আদালতে এ মামলা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রাহক রাজ ইভ্যালির সাইক্লোন অফার থেকে চলতি বছরের ৪ মে একটি টেলিভিশন, পেনড্রাইভ, আয়রন মেশিনসহ ৫টি পণ্য অর্ডার করেন। যার মূল্য ৫০ হাজার ৭৩৭ টাকা। ইভ্যালির নীতিমালা অনুযায়ী পণ্য অর্ডারের ৭ থেকে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ারি…
বিস্তারিতইভ্যালির জরুরি নোটিশ
রোববার (২২ আগস্ট) ইভ্যালি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সরকার নির্দেশিত সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২২ আগস্ট রোববার থেকে আমাদের অফিস সম্পূর্ণরূপে খোলা থাকবে (নির্ধারিত অফিস টাইম পর্যন্ত)। কল সেন্টার, সোশ্যাল কমিউনিকেশনের পাশাপাশি আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের সরাসরি গ্রাহকসেবা কেন্দ্রও চালু থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি অফিসে এসে সেবা নিতে পারবেন।’ তবে, সরাসরি অফিসে এসে সেবা নেওয়ার জন্য কয়েকটি ধাপের কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বলেছে, ওইসব ধাপ অনুসরণ করে যেকোনো গ্রাহক অফিসে এসে সরাসরি সেবা নিতে পারবেন। ধাপগুলো হলো- ১. আপনার ইভ্যালি অ্যাকাউন্টে…
বিস্তারিত