দেশের অন্যতম আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে ৫ হাজারেরও বেশি অভিযোগ জমা হয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে। এর মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগই টাকা পরিশোধ করে দীর্ঘদিন পণ্য না পাওয়ার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযোগ শুনানির কাজে নিয়োজিত অধিদফতরের প্রতিটি কর্মকর্তার রুমে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ফাইলের স্তূপ জমেছে। গ্রাহকের স্বার্থ বিবেচনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগুলোর নিষ্পত্তি করছে সংস্থাটির কর্মকর্তারা। আরও পড়ুন.. অনলাইন শপিং … জেনারেল উইন্ডো এসির দাম ও কোথায় পাবেন বাংলাদেশে ? সনি টিভি অফার | Sony showroom Bangladesh এসির দাম ২০২১| বাংলাদেশে শীর্ষে থাকা ৫টি এসির রিভিউ- Click Here অনলাইন…
বিস্তারিতTag: ইভ্যালির গ্রাহক হয়রানি
যেভাবে কম টাকায় বাইক দেয় ইভ্যালি, জানালেন এমডি
ইভ্যালি ফ্রিজ অফার Evaly আজকের অফার ইভ্যালি থেকে পণ্য কেনার নিয়ম
অভিনব বিক্রয় পদ্ধতি
গত ২৪ জুন ই-ভ্যালি থেকে দুটি ফ্যান কেনার অর্ডার দিয়েছিলেন মিরপুরের বাসিন্দা কামরুল আহসান। দাম ৫ হাজার ৮০০ টাকা। তিনি জানান, ই-ভ্যালি তাঁকে বলেছিল ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফ্যান পৌঁছে দেবে বাসায়। অর্ডারের সঙ্গে ৯০ শতাংশ অর্থাৎ ৫ হাজার ২২০ টাকা ক্যাশব্যাক পান কামরুল। এই টাকা ই-ভ্যালির সরবরাহ করা কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়ে শেষ করেন। কিন্তু দুই মাস হতে চললেও ফ্যান আর পাননি তিনি।
কামরুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফ্যান আমার দরকার ছিল বলেই অর্ডার দিয়েছিলাম। অপেক্ষা করতে করতে একপর্যায়ে বাজার থেকে ফ্যান কিনে ফেলি। ই-ভ্যালি যদি কোনো সময় ফ্যান দেয়ও, তা দিয়ে কী করব, এখন আছি সেই দুশ্চিন্তায়।’
প্রচলিত পদ্ধতিতে পণ্য কেনার সঙ্গে সঙ্গে দাম পরিশোধ করতে হয়। দেশে কিস্তিতে ও বাকিতে পণ্য কেনার সুযোগও তৈরি হয়েছে এখন। আর কয়েক বছরের প্রবণতা হচ্ছে অনলাইনে কেনাকাটা। সে ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম পরিশোধ করতে হয়, যাকে বলা হয় ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’। কিন্তু ই-ভ্যালি এসব পথে হাঁটছে না। ই-ভ্যালি থেকে পণ্য কিনতে গেলেই দাম পরিশোধ করতে হয় আগে।
শুরুতে যে বলা হলো এক লাখ টাকার পণ্য কিনে এক থেকে দেড় লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়, ই-ভ্যালি এই ফেরতের নামই দিয়েছে ‘ক্যাশব্যাক’। ক্যাশব্যাক জমা হয় ই-ভ্যালি ব্যালান্সে। তা–ও আবার তিন দিন পর। এই টাকায় ই-ভ্যালি থেকেই অন্য পণ্য কিনতে হয়। সে ক্ষেত্রে পণ্যের ৬০ শতাংশ দাম গ্রাহক পরিশোধ করতে পারেন ব্যালান্স থেকে। বাকি ৪০ শতাংশ পকেট থেকে টাকা দিতে হয়।
ই-ভ্যালির রয়েছে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ‘ভাউচার অফার’। আরও রয়েছে ‘ক্যাম্পেইন’ নামক একটি বিকল্প কর্মসূচি। ক্যাম্পেইনভেদে পণ্য সরবরাহ করা হয় ৭ থেকে ৪৫ দিনে। ই-ভ্যালি এ–ও বলছে, অনিবার্য কারণবশত ক্যাম্পেইনে যেকোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জনের সম্পূর্ণ অধিকার ই-ভ্যালি কর্তৃপক্ষের রয়েছে। তবে কিছু গ্রাহকের অভিযোগ হচ্ছে, বেঁধে দেওয়া সময়ে তাঁরা পণ্য পাচ্ছেন না। আর ই-ভ্যালির জবাব হচ্ছে, স্টক থাকা সাপেক্ষে পণ্য দেওয়া হয়, এমনকি চাইলেই গ্রাহকেরা টাকা ফেরত নিয়ে যেতে পারেন।
ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএসের বাসিন্দা আমানউল্লাহ চৌধুরী গত ১৪ জুলাই দুদক চেয়ারম্যান বরাবর এক আবেদনে ই-ভ্যালি নিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ জানান। যোগাযোগ করলে আমানউল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ই-ভ্যালি হচ্ছে ডিজিটাল এমএলএম কোম্পানি। দেশের ই-কমার্স প্ল্যাটফরমকে বাঁচাতে এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত।
তবে দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, অনেক অভিযোগ আসে। এ ব্যাপারেও হয়তো এসেছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ই-ভ্যালির কার্যক্রমের ধরন অনেকটা এমএলএম কোম্পানির মতো। এমএলএম কোম্পানিগুলোর প্রতারণার চিত্র দেখার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে ই-ভ্যালিও তাই করছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এখানে মানি লন্ডারিং হচ্ছে।
তানজীব-উল-আলম, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ
পণ্য সরবরাহে ঘাটতি
ই-কমার্সের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সঠিক পণ্য সময়মতো পৌঁছানো। কিন্তু ই-ভ্যালি অনেক ক্ষেত্রেই কাজটি করতে পারছে না। টাকা আটকে রেখে ই-ভ্যালি গ্রাহককে জানিয়ে দিচ্ছে, পণ্যের সরবরাহ নেই (স্টক আউট) বলে অর্ডার বাতিল করা হলো।
‘গিফট কার্ড’ নাম দিয়েও গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিচ্ছে ই-ভ্যালি। যাঁরা গিফট কার্ড কিনছেন, তাঁরা তাঁদের টাকা ফেলে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।
ই-ভ্যালির আরেকটি বিষয় হচ্ছে ‘ই-ওয়ালেট’। ই-ভ্যালিতে পণ্য না পেয়ে অনেক সময় ক্রেতা যখন বিরক্ত হয়ে অর্ডার বাতিল করে দেন, তখন তাঁর টাকা জমা হয় ই-ওয়ালেটে। পণ্যের সরবরাহ না থাকায় ই-ভ্যালি নিজেও বাতিল করে দেয় অর্ডার। তখনো গ্রাহকের টাকা ই-ওয়ালেটে জমা হয়। টাকা আর ফেরত পান না গ্রাহক, বরং অন্য পণ্য কিনে উশুল করতে হয়।
উদাহরণ দিয়ে ই-ভ্যালির বঞ্চিত একজন গ্রাহক জানান, কেউ একজন আসুসের ল্যাপটপ কিনবেন বলে অর্ডার দিলেন। টাকাও জমা দিলেন। এক থেকে দুই মাস পর ই-ভ্যালি তাঁকে জানাল যে পণ্যটির সরবরাহ নেই। সরবরাহ আছে বেশি বেশি দরের অন্য ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ। গ্রাহক সেটাই নিতে বাধ্য হন।
ই-ভ্যালির ওয়েবসাইটে ‘সাপোর্ট’ নামক একটি অপশন রয়েছে। এখানে ফোন করার ও ই-মেইলের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ফোন করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে জবাব আসে, ‘আপনার বিষয়টি আমাদের টিম দেখছে। খুব শিগগির আপনাকে কল-ব্যাক করা হবে।’ অথবা বলা হয়, ‘একটু ধৈর্য ধরুন। খুব শিগগির আপনার পণ্যটি পেয়ে যাবেন।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ করা না হলে অনূর্ধ্ব এক বছরের সশ্রম বা বিনা শ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। প্রতিকারও নিচ্ছি। তবে অনেকে যথাযথভাবে অভিযোগ করতে পারছেন না বলে প্রতিকার পাচ্ছেন না।’
ঢাকার সোবহানবাগ মসজিদের পাশের গলির শেষ মাথায় অবস্থিত ই–ভ্যালি কার্যালয়ে ১৬ আগস্ট কোম্পানিটির এমডি মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। পরে আবার মুঠোফোনে কথা হয় ২০ আগস্ট।
মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ই-ভ্যালির পণ্য বিক্রির পদ্ধতি ঠিকই আছে। ভিন্ন বিপণন পদ্ধতি অনুসরণ করলেও তিনি আইন লঙ্ঘন করছেন না। উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘১০০ টাকার যে পণ্যে ১০০ টাকার ক্যাশব্যাক দেওয়া হয়, তার ৬০ শতাংশ ই-ভ্যালির ব্যালান্সে যোগ হয়। ৪০ শতাংশ নতুন করে টাকা দিয়ে গ্রাহককে নতুন পণ্য কিনতে হয়। এতে ই-ভ্যালির লোকসান দাঁড়ায় ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। তবে ওই গ্রাহক যখন অন্য পণ্য কেনেন, তার লাভ থেকে আমরা লোকসান পুষিয়ে নিই।’
মোহাম্মদ রাসেল আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মোবাইল ও মোটরসাইকেলসহ কিছু পণ্য সরবরাহে জটিলতা হয়েছে। তবে পণ্য পাবেন না, এমন অবস্থা হওয়ার সুযোগই নেই।
কেন্দ্রীয় সেল এখনো হয়নি
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। ডিজিটাল ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা; স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা; বেচাকেনায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে আস্থা স্থাপন করা; ক্রেতা-বিক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করাই নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্য।
নীতিমালা প্রতিপালনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের আওতায় কেন্দ্রীয় সেল গঠনের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সেল ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। দুই বছরেও সেই সেল গঠিত হয়নি। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নোটিশ বোর্ডে এক হাজার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা রয়েছে, যাতে ই-ভ্যালির নাম রয়েছে।
পণ্য বেচাকেনার উঠতি পদ্ধতি ই-কমার্সকে আমরা সমর্থন করছি। সামনে বিপুল সম্ভাবনা। তবে ই-কমার্সের নামে প্রতারণা মেনে নেওয়া হবে না। ই-ভ্যালি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিচ্ছি।
মো. জাফরউদ্দীন, বাণিজ্যসচিব
নীতিমালায় ভোক্তা অধিকারের প্রশ্নে বলা হয়েছে, বিক্রীত পণ্য ফেরত, মূল্য ফেরত ও প্রতিস্থাপনের শর্ত ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করবে। কিন্তু ই-ভ্যালির ওয়েবসাইটে তা নেই। আবার নীতিমালায় পণ্য পেয়েই পরিশোধ বা ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পদ্ধতি চালু করার কথা বলা হয়েছে, যৌথভাবে যা বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অথচ ই-ভ্যালির ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পদ্ধতিই নেই।
বাণিজ্যসচিব মো. জাফরউদ্দীন এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পণ্য বেচাকেনার উঠতি পদ্ধতি ই-কমার্সকে আমরা সমর্থন করছি। সামনে বিপুল সম্ভাবনা। তবে ই-কমার্সের নামে প্রতারণা মেনে নেওয়া হবে না। ই-ভ্যালি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিচ্ছি।’
কেন্দ্রীয় সেল গঠন না করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিজের প্রণীত নীতিমালাই মানছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, কাজটি শুরু হয়েছে। সেল গঠনের কার্যক্রম চলমান।
জানা গেছে, নীতিমালায় সেলের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়েছে, আর এ শর্তই হচ্ছে এখন পর্যন্ত সেল গঠিত না হওয়ার পথে অন্যতম বাধা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ শর্ত সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।
২০১৩ সালে এমএলএম আইন পাস হওয়ার সময় বাণিজ্যসচিব ছিলেন মাহবুব আহমেদ। গতকাল ই-ভ্যালির বিপণন পদ্ধতি সম্পর্কে জানালে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এর কার্যক্রম তো অনেকটা এমএলএম কোম্পানির মতোই। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
ই-ওয়ালেটের লাইসেন্স প্রসঙ্গ
ই-ভ্যালি যে ওয়ালেট পদ্ধতিতে টাকা রাখছে, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সবিহীন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ৫ মার্চ দেশের সব তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) সেবাদাতা, পেমেন্ট সার্ভিস সেবাদাতা (পিএসপি) এবং পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরের (পিএসও) উদ্দেশে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বলেছে, কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স না নিয়েই পিএসপি ও পিএসওর মতো কার্যক্রম চালাচ্ছে, যা আইনসিদ্ধ নয়। কেউ প্রতারিত হলে গ্রাহকদের আস্থা নষ্ট হবে এবং অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। লাইসেন্স ছাড়া কোনো ধরনের ওয়ালেটসেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ই–ভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘শুধু আমরা নই, পুরো ই-কমার্সই এখন উঠতির দিকে। ই-ভ্যালিতে বিদেশি বিনিয়োগ আনারও চেষ্টা করছি। কিছু ভুল থাকতে পারে। তবে ভালো ব্যবসা করছি, ভালো সাড়াও পাচ্ছি। আর বাংলাদেশ ব্যাংক যে ওয়ালেটের কথা বলছে, আমাদের সে ধরনের ওয়ালেট নেই। তাই লাইসেন্স নেওয়ার দরকার নেই।’
যোগাযোগ করলে কোম্পানি আইন নিয়ে কাজ করা আইনজীবী তানজীব-উল-আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ই-ভ্যালির কার্যক্রমের ধরন অনেকটা এমএলএম কোম্পানির মতো। এমএলএম কোম্পানিগুলোর প্রতারণার চিত্র দেখার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে, ই-ভ্যালিও তাই করছে। ৫০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি দেড় হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। কোম্পানির পরিচালকেরা সক্ষম হলে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারতেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এখানে মানি লন্ডারিং হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করে দেখতে পারে।’
যতই চাপ দেন এখন ডেলিভারি দেয়া সম্ভব না: ইভ্যালি সিও
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিও মোহাম্মদ রাসেল বলেছেন, আপনারা আমাকে ৬ মাস সময় দেন, আমি প্রত্যেকটি ডেলিভারি সম্পূর্ণ করবো৷ আপনারা যদি পেশার ক্রিয়েট করেন আমাদের আসলে কিছু করার নেই। আমরা জেলে গেলে আপনারা প্রোডাক্ট পাবেননা। আমাদেরকে সময় দেন প্রোডাক্ট পাবেন। বৃহস্পতিবার (১৯ অগাস্ট) রাত ১১ টায় ফেসবুক লাইভে এসে এ কথা জানান তিনি। আরও পড়ুন.. অনলাইন শপিং … জেনারেল উইন্ডো এসির দাম ও কোথায় পাবেন বাংলাদেশে ? সনি টিভি অফার | Sony showroom Bangladesh এসির দাম ২০২১| বাংলাদেশে শীর্ষে থাকা ৫টি এসির রিভিউ- Click Here অনলাইন শপিং বাংলাদেশ |…
বিস্তারিতরোববার খুলছে ইভ্যালি, পাওনাদারদের একসঙ্গে না আসার অনুরোধ
দেশের বর্তমান সময়ের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী রোববার (২২ আগস্ট) থেকে ইভ্যালি অফিস সম্পূর্ণভাবে খোলা থাকবে ও পূর্ণ শক্তিতে কার্যক্রম চলতে থাকবে। তবে, ওই দিন পাওনাদারদের এক সঙ্গে কার্যালয়ে এসে বিশৃঙ্খলা না করার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন.. অনলাইন শপিং … জেনারেল উইন্ডো এসির দাম ও কোথায় পাবেন বাংলাদেশে ? সনি টিভি অফার | Sony showroom Bangladesh এসির দাম ২০২১| বাংলাদেশে শীর্ষে থাকা ৫টি এসির রিভিউ- Click Here অনলাইন শপিং বাংলাদেশ | গ্রী এসির দাম | Gree AC Showroom…
বিস্তারিতইভ্যালির ভেল্কি যেকোনো সময় : রাসেল
গ্রাহকদের অর্ডার অথবা রিফান্ড কিছুটা বিলম্ব হলেও অবশ্যই পেয়ে যাবেন, সময় দিন ইভ্যালির ভেল্কি পজিটিভলি যেকোনো সময় দেখতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ রাসেল। বুধবার (১১ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির ‘ইভ্যালি অফার অ্যান্ড রিভিউ’ নামের অফিসিয়াল পেজে গ্রাহকদের উদ্দেশে দেয়া স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন তিনি। রাসেল স্ট্যাটাসে বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাদের তিন সপ্তাহ দেবেন তথ্য সরবরাহের জন্য। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা। আপনারা জানেন, আপনাদের বর্তমান অর্ডারগুলো শুধু ডেলিভারির পর আমরা টাকা পাই। অর্থাৎ আপনার টাকার নিরাপত্তা এখন দেয়া হচ্ছে।…
বিস্তারিতমোট দেনার পরিমাণ জানাতে ইভ্যালিকে ৫ দিন সময় দিল আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির মোট দেনার পরিমাণ জানাতে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ থেকে ৫ দিন সময় দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালি ১৫ জুলাই পর্যন্ত কতো টাকা নিয়েছে তা জানাতে ৭ দিন এবং মার্চেন্টদের কাছে কতো টাকা দেনা তা জানাতে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ সপ্তাহ সময় দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বুধবার বিকেলে ইভ্যালির ভবিষ্যত নির্ধারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ৯ সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আরও পড়ুন.. অনলাইন শপিং … জেনারেল উইন্ডো এসির দাম ও কোথায় পাবেন বাংলাদেশে ? সনি টিভি অফার | বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া ২০২১ সিরিজ | Sony showroom…
বিস্তারিতআমরা আমাদের বাইক চাই। ইভ্যালির অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা
তাদের হাতে থাকা একটি ব্যানারে লেখা থাকতে দেখা যায়, “আমরা আমাদের বাইক চাই। ১৫৭ তম দিনেও আমরা আমাদের বাইক পাইনি।” অর্ডার করার ১৫৭ দিন পরও বাইক না পাওয়ায় ইভ্যালির অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটির গ্রাহকদের একটি অংশ। বাইক ডেলিভারি পাওয়ার দাবিতে সোমবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানটির সোবাহানবাগের ডেলিভারি পয়েন্ট ভবনের সামনে জড়ো হন প্রায় ৪০ জন গ্রাহক। এসময় তাদের হাতে থাকা একটি ব্যানারে লেখা থাকতে দেখা যায়, “আমরা আমাদের বাইক চাই। ১৫৭ তম দিনেও আমরা আমাদের বাইক পাইনি।” চলতি বছরের মার্চে ইভ্যালির সাইক্লোন অফারে বাইকের জন্য টাকা পরিশোধ করা…
বিস্তারিতপ্রয়োজনে ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদ : দুদক আইনজীবী
অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডট কম লিমিটেডের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলকে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রোববার (১১ জুলাই) সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে গত নভেম্বর থেকেই দুদক অনুসন্ধান করছে। প্রয়োজনে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং এমডি মো. রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আইনে দুদককে সে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত ৯ জুলাই অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং এমডি মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার চিঠি দেয় দুদক। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে…
বিস্তারিত১০ দিনের মধ্যে ইভ্যালির গ্রাহকদের ২১৪ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি
‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ মোতাবেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া ২১৪ কোটি টাকা অবিলম্বে ফেরত দেওয়ার অথবা পণ্য সরবরাহের দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)। রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান টিক্যাবের আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক। বিজ্ঞপ্তিতে মুর্শিদুল হক বলেন, গত ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল কর্তৃক ডিজিটাল কমার্স পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা, ভোক্তাদের আস্থা বৃদ্ধি ও অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসি ২০২০ (সংশোধিত)’ এর অনুচ্ছেদ ৩.৩.৬ অনুসারে ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ প্রণয়ন করে…
বিস্তারিতএক ঘণ্টায় ৫৩ হাজার স্মার্টফোনের অর্ডার পেল ইভ্যালি
নানা অনিয়মের অভিযোগে এখন বিপাকে রয়েছে ডিজিটাল কমার্স বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। তারপরও একের পর এক অফার দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্রেতাদের ব্যাপক সারাও পাচ্ছে। মাত্র এক ঘণ্টায় ৫৩ হাজার রিয়েলমি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে অর্ডার পেল ডিজিটাল কমার্স বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। শনিবার (১০ জুলাই) রাত ১০টা ১০ মিনিট থেকে রাত ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত মাত্র এক ঘণ্টায় এই বিপুল সংখ্যক অর্ডার পায় প্রতিষ্ঠানটি। জানা গেছে, বাংলাদেশে রিয়েলমি-৮ জি’র বাজার মূল্য ২৪ হাজার ৯৯০ টাকা। তবে ইভ্যালি বিশেষ মূল্যছাড়ে ১৯ হাজার ৯৯০ টাকায় এ স্মার্টফোনটি বিক্রির অফার করে। তাদের এ এক্সক্লুসিভ ক্যাম্পেইন…
বিস্তারিতশত অভিযোগের পরও ইভ্যালিতে একদিনে ২০০ কোটি টাকার অর্ডার
ক্রেতার অর্ডার করা পণ্য দিতে গড়িমসিসহ নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও একদিনে ২০০ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছে ইভ্যালি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শনিবার (১০ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল দৈনিক আগামীর সময়কে বলেন, একটা ধারণা ছিল যে, সবাই ইভ্যালিতে উচ্চ মূল্যছাড়ের জন্য কেনাকাটা করে। কিন্তু আসল প্রেক্ষাপট যে ভিন্ন সেটি এখন স্পষ্ট। টি১০ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের বড় একটি লয়্যাল কাস্টমার বেইজ রয়েছে। তারা মূল্যছাড় খুব কম হলেও ক্যাম্পেইনের মাত্র ৩ ঘণ্টার কম সময়ে ৬০ হাজারের…
বিস্তারিত