মোট দেনার পরিমাণ জানাতে ইভ্যালিকে ৫ দিন সময় দিল আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি

মোট দেনার পরিমাণ জানাতে ইভ্যালিকে ৫ দিন সময় দিল আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি

 

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির মোট দেনার পরিমাণ জানাতে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ থেকে ৫ দিন সময় দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এছাড়াও গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালি ১৫ জুলাই পর্যন্ত কতো টাকা নিয়েছে তা জানাতে ৭ দিন এবং মার্চেন্টদের কাছে কতো টাকা দেনা তা জানাতে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ সপ্তাহ সময় দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বুধবার বিকেলে ইভ্যালির ভবিষ্যত নির্ধারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ৯ সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, ইভ্যালির দেওয়া তথ্য যাচাই করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও আয়কর বিভাগ। এছাড়াও জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

মো. হাফিজুর রহমান জানান, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি মনে করে, ইভ্যালির কাছে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে, তার জন্য এরচেয়ে বেশি সময় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ সময়ের মধ্যে ইভ্যালি তথ্য না দিলে মিটিং করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, “দিন মানে দিন, কার্যদিবস না। যেদিন থেকে ইভ্যালিকে চিঠি দেওয়া হবে সেদিন থেকে হিসাব করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, গ্রাহকরা যারা এখনো পণ্য বা রিফান্ড পাননি, তাদের দ্রুত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে কমিটির বৈঠকে। বৈঠকে মার্চেন্টদেরও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এই কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য-প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

গত জুন মাসে ইভ্যালির আর্থিক অনিয়ম নিয়ে এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ১৪ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটি গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম ২১৪ কোটি টাকা নিয়েও পণ্য সরবরাহ করেনি। আবার মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির দেনার পরিমাণ ১৯০ কোটি টাকা। অন্যদিকে ইভ্যালির চলতি সম্পদের মূল্য মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ইভ্যালির পুরো সম্পদ দিয়ে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের পাওনার মাত্র ১৬% পরিশোধ করা সম্ভব।

এসব তথ্য ইভ্যালিই বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সরবরাহ করেছে জানিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভ্যালির প্রকৃত দায়-দেনার পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। কারণ, ইভ্যালির দেওয়া এসব তথ্যের সঠিকতা যাচাই করতে কোম্পানিটির রেপ্লিকা ডাটাবেইজে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

এর প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে কতো টাকা নিয়েছে, কতো টাকার পণ্য গ্রাহকদের ডেলিভারি করেছে, মার্চেন্টদের কতো টাকা পরিশোধ করেছে এবং গ্রাহক ও মার্চেন্টদের বকেয়া পরিশোধের পরিকল্পনা ১ আগস্টের মধ্যে জানাতে কোম্পানিটিকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গত ১ আগস্ট ইভ্যালি ফিরতি চিঠি দিয়ে এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য না দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬ মাস সময় চেয়েছে।

গত ২ আগস্ট ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল  বলেছিলেন, আমরা এক্সটার্নাল অডিটর নিয়োগ দিয়ে কোম্পানির ভ্যালুয়েশনসহ দায়-দেনা নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছি। অডিটেড রিপোর্ট অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। সেজন্য ৬ মাস সময় চেয়েছি।

আরও পড়ুন..

অনলাইন শপিং …
জেনারেল উইন্ডো এসির দাম ও কোথায় পাবেন বাংলাদেশে ?
সনি টিভি অফার | বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া ২০২১ সিরিজ | Sony showroom Bangladesh
এসির দাম ২০২১| বাংলাদেশে শীর্ষে থাকা ৫টি এসির রিভিউ- Click Here
অনলাইন শপিং বাংলাদেশ | গ্রী এসির দাম | Gree AC Showroom Bangladesh
গ্রি ইনভার্টার এসির দাম | Click here

কম টাকায় পোর্টেবল এসি কিনতে চান ? Click here

 

আপনি আরও পড়তে পারেন