ইভ্যালির জরুরি নোটিশ

ইভ্যালির জরুরি নোটিশ

রোববার (২২ আগস্ট) ইভ্যালি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সরকার নির্দেশিত সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২২ আগস্ট রোববার থেকে আমাদের অফিস সম্পূর্ণরূপে খোলা থাকবে (নির্ধারিত অফিস টাইম পর্যন্ত)। কল সেন্টার, সোশ্যাল কমিউনিকেশনের পাশাপাশি আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের সরাসরি গ্রাহকসেবা কেন্দ্রও চালু থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি অফিসে এসে সেবা নিতে পারবেন।’
 
তবে, সরাসরি অফিসে এসে সেবা নেওয়ার জন্য কয়েকটি ধাপের কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বলেছে, ওইসব ধাপ অনুসরণ করে যেকোনো গ্রাহক অফিসে এসে সরাসরি সেবা নিতে পারবেন। ধাপগুলো হলো-

 
১. আপনার ইভ্যালি অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।
২. অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস-এ ক্লিক করুন।
৩. Appointment অপশন এ ক্লিক করুন।
৪. (+) এ ক্লিক করে Date (যেদিন আসতে চান সেই তারিখ), Time Slots (যে সময়ে আসতে চান সেই সময়) এবং Category (যে ইস্যুতে কথা বলতে চান সেটি) বাছাই করে Submit বাটনে ক্লিক করুন।
৫. অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লিপটি অবশ্যই প্রিন্ট করে সাথে নিয়ে আসতে হবে।
 
 
অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া অফিসে সরাসরি না আসতেও অনুরোধ করা হয়েছে ইভ্যালির পক্ষ থেকে। বলেছে, ‘সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে, আমরা প্রতিদিন (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) সর্বমোট ৫০০ জন সম্মানিত গ্রাহককে সেবা প্রদান করতে পারব, তাই আপনার কাঙ্ক্ষিত তারিখে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিরিয়াল না পেলে পরের দিনের জন্য চেষ্টা করুন। অফিসে সরাসরি সেবা নিতে আসার সময় অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে।’
 
এদিকে পণ্য দিতে গড়িমসি করা, অহেতুক সময়ক্ষেপণ এবং সম্পদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি দেনার অভিযোগের কারণে ইভ্যালির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তাদের গিফট ভাউচারেও দিচ্ছে না পণ্য। অন্যদিকে মূল্য ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহক। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান কার্যালয় বন্ধ রাখে ইভ্যালি। এতে বিপাকে পড়ে সাধারণ গ্রাহকরা।

রাজধানীর ধানমন্ডির সোবহানবাগে ইভ্যালি প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে অনেক গ্রাহক অফিস বন্ধ দেখে হতাশ হয়ে ফিরে আসেন। প্রতিষ্ঠানটির হট লাইনে কল করলেও ব্যস্ত দেখায়। ইভ্যালি জানায়, করোনার কারণে এখন অফিস বন্ধ। তবে অনলাইনে গ্রাহকদের সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এখন অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৮ সালে যাত্রা শুরু হওয়া ইভ্যালি একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক ইকমার্স প্লাটফর্ম। লোভনীয় ডিসকাউন্ট কিংবা ক্যাশব্যাকের অফার প্রসঙ্গে ইভ্যালির নাম সর্বাগ্রে। স্বল্প সময়ে অনলাইন ক্রেতার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করলেও প্রতিষ্ঠানটি এখন গ্রাহক ভোগান্তি ও সমালোচনার শীর্ষে অবস্থান করছে।

এর আগে ইভ্যালির ‘সম্পদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি দেনা’ বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে উঠে আসে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার।

আপনি আরও পড়তে পারেন