মীর আমান মিয়া লুমান, ছাতক।
সুনামগঞ্জের ছাতকে ১৪ বছর বয়সের কিশোরী অপহরণ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার(২৩শে আগষ্ট) রাতে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম এর দিক নির্দেশনায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ছাতক সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন, দোয়ারাবাজার থানার অফিসার দেব দুলাল ধর, পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মনিরুজ্জামান খানের নেতৃত্বে ও ছাতক থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান পিপিএম এর সহযোগীতায় এসআই সুপ্রাংশু দে দিলু অপহরন মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী মো. আব্দুল কাদির(৪৮) কোম্পনীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল ইউপির চাটিবহর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর পুত্র।
মামলার সূত্রে জানাযায়, আসামী মো. আব্দুল কাদির(৪৮) প্রায় ২ বছর পেকপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মসজিদের ইমাম হওয়ার সুবাধে সে প্রায় সময় ভিকটিমের বাড়ীতে আসা যাওয়া করতো। এরই ধারাবাহিকতায় তার সাথে ভিকটিমের পরিবারের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং এক পর্যায় সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বিয়ের প্রস্তাবে ভিকটিমের পরিবারের সম্মতি না থাকায় সে বিভিন্নভাবে ভিকটিমের সাথে গোপনে কথা বলতো। ২৪শে জুলাই ভিকটিমকে বাসায় না পেয়ে খোজাখুজি করে, কোথাও না পেয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি হারানো ডায়রী(নং-১০৪০-২৬/০৭/২০২১ইং) করেন ভিকটিমের পিতা। এ ডায়রীর প্রেক্ষিতে দোয়ারাবাজার ও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ২৭শে জুলাই কোম্পানীগঞ্জ থানার কাঠালবাড়ী গ্রামে আসামী মো. আব্দুল কাদিরের ভাই ফরিদ মুনসির বাড়ী থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ভিকটিম বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাহার পড়নের কাপড়-চোপড় এবং ঘরের সোকেস হইতে ৯০,০০০ টাকা, ৫ আনা ওজনের ১জোড়া স্বর্ণের কানের দোল ও ৬ ভরি ওজনের ২টি রূপার চেইন সাথে নিয়ে ছাতক লাফার্জ ঘাটে অবস্থানরত আসামী মো. আব্দুল কাদির নিকট পৌছে। সেখান থেকে সিলেট কোম্পানীগঞ্জ একটি বাড়ীতে নিয়ে ভিকটিমের ব্যাগ থেকে উল্লেখিত নগদ টাকা ও স্বর্নলঙ্কার নিয়া যায় আসামী মো. আব্দুল কাদির। ২৫শে জুলাই সকালে মামলার ২নং আসামী কোম্পনীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল ইউপির চাটিবহর গ্রামের হরমুজ আলীর পুত্র রশিদের সহায়তায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে রশিদের নানার বাড়ীতে নিয়া যায় ভিকটিমকে। ২৬শে জুলাই সকালে আবার কোম্পানীগঞ্জ থানার কাঠালবাড়ী গ্রামে আসামী মো. আব্দুল কাদিরের ভাই ফরিদ মুনসির বাড়ীতে ভিকটিমকে নিয়ে আসে।