শাহাজাদা বেলাল স্টাফ রিপোর্ট
ইউএসে বন্ধ থাকা পারিবারিক ইমিগ্রেশন ভিসা কার্যক্রম দ্রুত চালু করার জন্য বাংলাদেশ সরকার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেছে স্বেচ্ছাসেবী অরাজনৈতিক সংগঠন ইউএসএ ইমিগ্রান্ট ভিসা পেন্ডিং কেস হোল্ডার্স কমিউনিটি ফ্রম বাংলাদেশ।
শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচি হিসেবে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলার সদস্যগণও অংশ নিয়ে প্রায় ৯ মাস বন্ধ থাকা পারিবারিক ইমিগ্রেশন ভিসা কার্যক্রম দ্রুত চালু করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য পরাজিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২২ এপ্রিল এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন যাবত চলমান ইমিগ্রান্ট ভিসার কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা দেন। এর পর থেকে গত প্রায় ৯ মাস ফ্যামিলি ভিসা প্রদান বন্ধ রয়েছে। এতে বাংলাদেশের প্রায় ২০ হাজার ভিসা প্রার্থী ভিসা না পেয়ে এক অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে, এবং বাংলাদেশসহ আরও ৩ লক্ষ মানুষের ভিসার কেস স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ভিসা প্রার্থীদের পরিবারবর্গ চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
বক্তারা আরও বলেন, অনেক ভিসা প্রার্থীরা ১৪/১৫ বছর ভিসার ফি জমা দিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন; তাদের ও তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে জরুরি ভিত্তিতে পুনরায় পারিবারিক ইমিগ্রেশন ভিসা কার্যক্রম চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
মানববন্ধন কর্মসূচি পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়ে নগরীতে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টায় এসে শেষ হয়। ইউএসএ ইমিগ্রান্ট ভিসা পেন্ডিং কেস হোল্ডার্স কমিউনিটি ফ্রম বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবী অরাজনৈতিক সংগঠনটি ২০১৭ সালের ২ জুন গঠিত হয় এবং শুরু থেকেই আমেরিকার ইমিগ্রান্ট ভিসায় অপেক্ষমাণদের নানা ধরনের তথ্য দিয়ে ফ্রি সেবা প্রদান করে আসছে। এছাড়াও এ পর্যন্ত প্রায় ৮০টি মতবিনিময় ও ১০টি ইমিগ্রান্ট সেমিনার করেছে সংগঠনটি। সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার।
মো. মিনহাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তরুণ কুমার ধর, নেহাল হাসনায়েল, ফাতেহা শিরিন, রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. ফাইজুল ইসলাম (ঢাকা), কামরুল ইসলাম বাবু (ঢাকা), মুহিত চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান, আরাফাত চৌধুরী, নাজমুল হক, লিটন ঘোষ (চট্টগ্রাম), মোমিনুল হক ফাহিম, গৌতম দত্ত, রায়হান আহমেদ প্রমুখ।