একই সঙ্গে ইভ্যালির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওয়া আর্থিক অনিয়মগুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পৃথক চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া ৩৩৮ কোটি টাকা আত্মসাত কিংবা অবৈধভাবে সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা করে আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালি ডটকমের বিরুদ্ধে মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ইভ্যালির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওয়া আর্থিক অনিয়মগুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পৃথক চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া, গ্রাহকদের কাছ থেকে ২১৪ কোটি টাকা অগ্রিম গ্রহণ করে পণ্য ডেলিভারি না…
বিস্তারিতTag: ইভ্যালির রাসেল
ইভ্যালির রাসেল | ইভ্যালির গ্রাহক ভোগান্তি |দৈনিক আগামীর সময় | Agamirsomoy.com | বাংলা সংবাদপত্র
লেখাপড়া রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এইচএসসি শেষ করার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর। তারপর ২০১১ সালে ঢাকা ব্যাংকে চাকরি। মাঝখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ। ঢাকা ব্যাংকে ৬ বছর থাকার পর ছেড়েছেন চাকরি। এর মধ্যে টুকটাক ব্যবসা করার কাজে মনোযোগ থেকে বিগ অনলাইন শপিং মল ইভ্যালির উদ্যোক্তা। বলছিলাম ডায়াপার ব্যবসা থেকে যাত্রা করে বড় স্বপ্ন পূরণের পথে হেঁটে চলা মোহাম্মদ রাসেলের কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আরটিভি অনলাইনের প্রতিবেদক শাহীনুর রহমান।
শুরুটা বলুন।
মো. রাসেল: প্রথম বিজনেসটা শুরু হয় ডায়াপার বিজনেস দিয়ে। এরপর থেকে আস্তে আস্তে শুরু। ২০১৬ থেকে মূলত আমার ব্যবসাটা শুরু হয়। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে ধারণা আসে বড় একটি প্লাটফর্মের কথা। সেখান থেকে ইভ্যালির যাত্রা।
চাকরি ছেড়ে কেন উদ্যোক্তা হতে চাইলেন?
মোহাম্মদ রাসেল: বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই আমি উদ্যোক্তা হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পড়ালেখা শেষ করেই তার সাহস পাচ্ছিলাম না। এজন্য আমার দরকার ছিল বিজনেস প্ল্যান, বিজনেস সাপোর্ট, ট্রেডিং, ইমপোর্ট, এক্সপোর্ট, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, ব্যান্ডিং ইত্যাদি বিষয়ে অভিজ্ঞতা। সে কারণে ঢাকা ব্যাংকে ৬ বছর চাকরিতে ছিলাম। ব্যাংক থেকেই আমি সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। মূলত উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন থেকে কয়েক বছর চাকরি করেছি। সেখানে আমার স্থায়ী হওয়ার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। তাই চাকরি ছেড়ে দিই।
কিন্তু অন্যভাবেও তো উদ্যোক্তা হতে পারতেন, ই-কমার্সে কেন?
মো. রাসেল: অনেক ব্যবসা আছে। যেগুলোর কোনও একটি ধরে করতে পারতাম। কিন্তু আমি বড় কিছু করার চিন্তা থেকে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করেছি। যার উদ্দেশ্যটাও অনেক বড়। ইভ্যালি কোনও বিশেষ পণ্যের বাজার না। এখানে সব ধরনের পণ্য পাবেন গ্রাহকরা। তাছাড়া আমি এখনও মনে করি- বৈশ্বিকভাবে অনলাইন কেনাকাটার ধারণা এখনও নতুন। আমেরিকাতে এর জনপ্রিয়তা এখনও ৫ শতাংশের নিচে। বাংলাদেশে তো ১ শতাংশ হয়েছে বলে মনে হয় না।
আমি মনে করি, বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসাকে বৈশ্বিক রূপ দিতে পারলে বা এ খাতের ব্যবসায় কিছু সমস্যা দূর করতে পারলে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত এই সম্ভাবনা থেকেই ইভ্যালির যাত্রা করেছি।
ইভ্যালি নামের রহস্য বলবেন
মো. রাসেল: আসলে রহস্য বলতে গেলে উদ্দেশ্যের কথাই আসে। আমরা চাচ্ছিলাম এশিয়া ভিত্তিক বা গ্লোবালি চিন্তা থেকে নামটা হোক। যেটা হবে একেবারেই ইউনিক। আমার সহধর্মিনী এক্ষেত্রে আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করেছে। যেমন আমাদের প্লানের মধ্যে আরও কয়েকটি ছিল ই-গ্যালাক্সি, ই-ওশেন, ই-স্কাই। মূলত ভ্যালি বা একটা জায়গা থেকে ইভ্যালি নাম।
বাংলাদেশে ই-কমার্সের সম্ভাবনা কতটুকু?
মো. রাসেল: গত কয়েক বছরে ই-কমার্সের গ্রোথ যে খুব বেশি সন্তোষজনক, তা নয়। তবে বিশ্বাস করি, এ খাতে বিশ্বে শীর্ষ ১১ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ থাকবে। এ দেশের জন্য ই-কমার্স খুব সম্ভাবনাময়ী।
বাজারে অনেক ই-কমার্স কোম্পানি আছে, সেক্ষেত্রে ইভ্যালি কীভাবে ব্যতিক্রমী?
মো. রাসেল: দেখুন, বিশ্বে ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবা, অ্যামাজন, ই-বে সবাই ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসায়িক মডেল অনুসরণ করে চলে। ইভ্যালিতে এই তিন কোম্পানির বিজনেস মডেল দাঁড় করানো হয়েছে। এখানে ছোটোখাটো জিনিস থেকে সব ধরনের জিনিসই গ্রাহকরা পাবেন। তারা যতদ্রুত সম্ভব আমাদের চ্যানেলের মাধ্যমে সঠিক পণ্যের ডেলিভারি পাবেন। তাছাড়া ইভ্যালি কানেক্ট নামে আমাদের একটা অপশন আছে; যার মাধ্যমে গ্রাহকরা ফেসবুকে চ্যাট করার মতো সেলারদের সঙ্গে পণ্য নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। যাতে গ্রাহকের আস্থা আরও বাড়বে।
আমাদের ব্যবসাটা মূলত রিটেইলার ভিত্তিক আবার কাস্টমার ভিত্তিক। রিটেইলাররা এই প্ল্যাটফর্মে তাদের অনলাইন স্টোর খুলে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে। গ্রাহকরা সাধারণত যে সাইট থেকে পণ্য কিনে থাকে। সাধারণত সেই সাইটের সঙ্গেই যোগাযোগ করে থাকেন। আমাদের প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকরা চাইলে সেলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই পণ্য কিনতে পারবেন। অর্থাৎ তারা এখানে দোকানগুলোর খোঁজও পাবেন।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, কেউ যদি বেঙ্গলের পণ্য বা লিনেক্সের স্মার্টফোন কিনতে চান, তবে ওই কোম্পানির সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন আবার ইভ্যালির সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ওই কোম্পানিকে ইভ্যালিতে নিবন্ধনকৃত হতে হবে।
ইভ্যালিকে কোথায় দেখতে চান?
মো. রাসেল: বড় স্বপ্ন, বড় লক্ষ্য নিয়ে বিজয়ের মাসেই ইভ্যালির যাত্রা হয়েছে। বিশ্বাস করি, ইভ্যালির বিজয় নিশ্চিত। আগামী কয়েক বছরে ইভ্যালিকে অ্যামাজন, আলিবাবার কাতারে নিয়ে যেতে চাই। আমি মনে করি, সেটা সম্ভব। আমাদের কোম্পানি এক সময় বিশ্বের শীর্ষ ১০ ই-কমার্স কোম্পানির মধ্যে থাকবে।
বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটার অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, কিন্তু অনেকেই তো ঝরে যাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন
মো. রাসেল: হ্যাঁ, এটা সত্য। অনেকেই, বলতে গেলে প্রতিদিনই এই খাতটিতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা, নির্দেশনা, ব্র্যান্ডিং, পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে ব্যবসা শুরুর কিছুদিন পরই ঝরে যাচ্ছেন। তাদের জন্য আমি বলবো হতাশ হবেন না। আপনারা ব্যবসা শুরু করে যেখানে থেমে গিয়েছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করুন। ইভ্যালি আপনাদের নতুন প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মে আপনাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা অন্তর্ভূক্ত করে আবার চাঙ্গা করুন। দেখবেন একদিন সফল হবেন।
ইভ্যালির পণ্য পাওয়া যাবে ১০ দিনেই: রাসেল
অনলাইনে কেনাকাটায় গ্রাহকদের জন্য নতুন ক্যাম্পেইন চালু করেছে দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। নতুন এই ক্যাম্পেইনের নাম টি১০। ক্যাম্পেইন টি১০-এর আওতায় গ্রাহকরা মাত্র ১০ দিনেই পণ্য ডেলিভারি পাবেন বলে জানিয়েছেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। যেকোনো পণ্য বা সেবার মুদ্রিত মূল্যের মাত্র ১০ শতাংশ অগ্রিম পরিশোধ করে বাকি টাকা ক্যাশ অন ডেলিভারিতে (সিওডি) অর্থাৎ পণ্য হাতে পেয়ে পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহকরা। ক্যাম্পেইনটি প্রতি শুক্রবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে শুরু হবে। বুধবার (৩০ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন এই ক্যাম্পেইনের আওতায়…
বিস্তারিতটাকা নেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোকে
ইভ্যালি, আলিশা মার্টসহ দেশের ডিজিটাল কমার্স (ই-কর্মাস) কীভাবে পরিচালনা হবে তার নির্দেশনা চূড়ান্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শিগগির নির্দেশনাটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে, অগ্রিম টাকা নেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে ই-কমার্স কোম্পানিগুলো ক্রেতাদের কাছে পণ্য সরবরাহ করতে হবে। বুধবার (৩০ জুন) বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান। মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেলের প্রধান বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতার অবস্থান ভিন্ন শহরে হলে পণ্য ডেলিভারির জন্য সর্বোচ্চ ১০ দিন সময়…
বিস্তারিতআগে পণ্য পরে টাকা: যা বললেন ইভ্যালির রাসেল
ইভ্যালি, আলেশা মার্টসহ দেশের সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে কেনাকাটায় আগে পণ্য, তারপর দাম পাবে বিক্রেতা বা মার্চেন্টরা। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে ক্রেতাদের কাছে পণ্য ডেলিভারির পরই টাকা পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের এসব লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, ডাব্লিউটিও সেল) হাফিজুর রহমান। হাফিজুর রহমান জানান, গ্রাহক পণ্য বুঝে পাওয়ার পর ডেলিভারি মেসেজ দিলে বিক্রেতা মূল্য পাবেন। আর এ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গেটওয়ের মাধ্যমে এই অর্থ লেনদেন হবে। তবে তার পরামর্শ, গ্রাহকেরা যেন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ বা…
বিস্তারিতবাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে ইভ্যালির সাধুবাদ
ই-কমার্স ইস্যুতে সদ্য গৃহীত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি। গ্রাহক পণ্যের সরবরাহ বুঝে পাওয়ার পরই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সেই পণ্যের মূল্য পাবে এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ই-কমার্স ইস্যুতে এক বৈঠক আয়োজিত হয়। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব এর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসে যে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে ক্রেতাদের কাছে পণ্য ডেলিভারির পরই টাকা পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের এসব লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করবে। এ…
বিস্তারিতইভ্যালিকে যেন ডেসটিনির ভাগ্যবরণ করতে না হয়: অতিরিক্ত সচিব
অনলাইনভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (ই-কমার্স) ইভ্যালির চলতি দায় ও লোকসান দুটিই ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সম্প্রতি ইভ্যালি.কম.বিডি-এর ওপর পরিচালিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ১৭ জুন (বৃহস্পতিবার) প্রতিবেদনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ইভ্যালি চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত পণ্যমূল্য বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা নিয়ে কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি। অন্যদিকে তারা…
বিস্তারিতযারা ইতিমধ্যে টাকা পরিশোধ করেছে, তারা কিভাবে পণ্য পাবে? জানাল ইভ্যালি
দেশের সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে ক্রেতাদের কাছে পণ্য ডেলিভারির পরই টাকা পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের এসব লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, ডাব্লিউটিও সেল) হাফিজুর রহমান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। বৃহস্পতিবার (২৪) তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান তিনি। যেসব ক্রেতা ইতিমধ্যে অগ্রীম অর্থ পরিশোধ করছেন, তারা পণ্য কিভাবে পাবে বা তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন? একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্নের উত্তরে রাসেল বলেন, ‘আমরা গ্রাহকের প্রতি কমিটেড। আমরা ইভ্যালির নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী তাদের…
বিস্তারিতইভ্যালির গ্রাহক হয়রানি আর ভোগান্তির শেষ কোথায়?
রকমারি আকর্ষণীয় ছাড় আর অফার দিয়ে এক বছরের মধ্যেই ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে আলোচনার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে অনলাইন কেনাকাটার প্লাটফর্ম ইভ্যালি। অল্পদিনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উঠেছে গ্রাহক হয়রানি আর ভোগান্তির হাজারো অভিযোগ। ইভ্যালির সাইক্লোন, লণ্ডভণ্ড, নবীন বরণ, ভ্যালেন্টাইন সাইক্লোন, ধামাকা অফার নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন। আর বছরব্যাপী বিশেষ দিবসকে ঘিরে প্রতিষ্ঠানটির দেয়া এসব লোভনীয় অফারে আকৃষ্ট হয়ে সারাদেশ থেকে অনলাইনে পছন্দের পণ্য অর্ডার করে বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য সাধারণ গ্রাহক। ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেয়ার নিয়ম থাকলেও দিনের পর দিন অপেক্ষা করে, কেউ এক…
বিস্তারিতঅনলাইনে অফারের নামে ইভ্যালির প্রতারণা
দাম পরিশোধ করার পরও টিভি দেয়া হচ্ছে না। বলা হচ্ছে অর্ডার বাতিল করতে। এমনই প্রতারণার শিকার হয়েছেন সোহাগ নামের এক ব্যক্তি। পেশায় তিনি একজন ডাক্তার। বিষয়টি নিয়ে ভোক্তা অধিকারে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির নামে অভিযোগও করেছেন তিনি। ইভ্যালির বিরুদ্ধে এরকম প্রতারণার অভিযোগ করেছেন আরো অনেক গ্রাহক। সাইক্লোন, লণ্ডভণ্ড, দেশব্যাপী সবাইকে ১৫ নম্বর অফার সতর্ক সংকেত এমন ভয়ঙ্কর নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন। ইভ্যালির লোভনীয় অফারে আকৃষ্ট হয়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ প্রি-অর্ডারের টাকা ফেরত নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন। পণ্য অর্ডার করে বিপাকে পরেছেন নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া নামে এক…
বিস্তারিত