উত্তরায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

উত্তরায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

রাজধানীর উত্তরায় ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ। তার নাম মো. সাদ্দাম হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে গোপন সংবাদ আসে আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করার জন্য এক মাদক কারবারি অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে আমাদের একটি টিম আব্দুল্লাহপুর খন্দকার সিএনজি পাম্পের সামনে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় মো. সাদ্দাম হোসেনের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা…

বিস্তারিত

উত্তরায় ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার ব্যবসায়ীকণ্যা

উত্তরায় ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার ব্যবসায়ীকণ্যা

বিশেষ প্রতিবেদক উত্তরায় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সাথে অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও তোলার পাশাপাশি ওই মেয়েকে ইয়াবার মরণ নেশায় আসক্ত করে জীবন তছনছ করে দিয়েছে শ্যামল মাহমুদ অঞ্জন নামের এক বখাটে যুবক। জানা গেছে ‘সা’ আদ্যক্ষরের ওই মেয়ের বাবা ঢাকার প্রসিদ্ধ এক মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক, যাদের সারা দেশে বহু শাখা আছে।  ২০১২ সালে ঢাকার উত্তরার পাঁচ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ ব্যাপারীর দুই ছেলে সজল মাহমুদ অনি এবং শ্যামল মাহমুদ অঞ্জন এলাকাবাসীর কাছে মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী এবং অপরাধী হিসেবে পরিচিত। এই দুই যুবকের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাননা এলাকাবাসী। তাছাড়া ২০১২ সালে সজল মাহমুদ অনি ভারতীয় নাগরিক সঞ্জীব সাহাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে উত্তরায় তার বাসা, বাড়ী নম্বর ২৩, রোড নম্বর ১/এ, সেক্টর ৫, উত্তরায় নিয়ে যায় এবং বেধড়ক মারপিটের পর মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবী করে। এবিষয়ে পরবর্তীতে সঞ্জীব সাহা নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। উত্তরা থানার মামলা নম্বর ৫৭, তারিখ ২৬ মে ২০১২। এছাড়াও অনির বিরুদ্ধে উত্তরা থানার নানা অপরাধে একাধিক মামলা আছে।  সজল মাহমুদ অনির প্রশ্রয়ে তার ছোটভাই শ্যামল মাহমুদ অঞ্জন বেপরোয়া হয়ে ওঠার পাশাপাশি বিভিন্ন বয়েসী মেয়েদের সাথে প্রেমের ভান করে ওদের ব্ল্যাকমেইলিংয়ে লিপ্ত হয়। দুই ছেলের এসব অপকর্মে নীরব থাকেন পিতা আব্দুর রশিদ ব্যাপারী এবং তাদের মা শাহানা রশিদ শানু ছেলেদের শাসন না করে উল্টো এদেরকে অপরাধে লিপ্ত রেখে টাকা কামানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ আছে। উত্তরার ব্যবসায়ীর কন্যাকে যেভাবে ফাঁসায় অঞ্জন ব্যবসায়ীর কন্যাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অঞ্জন প্রায়শঃই তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়তো এবং এসবের ভিডিও ও স্থিরচিত্র সংরক্ষণ করতো। এক পর্যায়ে ইয়াবা আসক্ত অঞ্জন ব্যবসায়ীর ওই মেয়ের কাছ থেকে নিয়মিতভাবেই টাকা নিতে শুরু করে। এরই মাঝে ওই মেয়ের সাথে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক ধনাঢ্য ব্যাক্তির বিয়ে হয়ে যায় এবং ‘সা’-কে তার স্বামী অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যান। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর থেকেই অঞ্জন নানাভাবে ওই ব্যবসায়ী কন্যাকে তার সাথে অঞ্জনের অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও ফাঁসের হুমকি দিয়ে তার কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবী করে পরবর্তীতে এসব ঘটনা ওই মেয়ের স্বামী জেনে যাওয়ার পর তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায় শ্যামল মাহমুদ অঞ্জন এভাবে আরো বহু মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার পর এসবের ছবি ও ভিডিও গুগল এবং আই ক্লাউড-এর পাশাপাশি নিজের কম্পিউটার ও পেনড্রাইভে সংরক্ষণ করে এগুলো দিয়ে ক্রমাগত ভিকটিমদের ব্ল্যাকমেইলিং করে আসছে।এসব অপকর্মে অঞ্জনের মূল সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে তার ভাই সজল মাহমুদ অনি।

বিস্তারিত