টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাপুড়েদের ঐতিহ্যবাহী ‘শাওনে ডালা’ উৎসব উদ্‌যাপিত হয়েছে

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাপুড়েদের ঐতিহ্যবাহী ‘শাওনে ডালা’ উৎসব উদ্‌যাপিত হয়েছে

সৈয়দ মিঠুন ঘাটাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাপুড়েদের ঐতিহ্যবাহী ‘শাওনে ডালা’ উৎসব উদ্‌যাপিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শ্রাবণ সংক্রান্তিতে ‘শাওনে ডালা’ নামের প্রাচীন এই উৎসবটি পালন করা হয়। প্রতিবছরই এই দিনে তারা এই উৎসব পালন করে থাকেন। এ দিনে সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সাপুড়েরা নৌকা সাজিয়ে বেরিয়ে পড়েন। রতনপুর, পুংলি, গর্জনা, বাইচাইল গ্রাম থেকে বের হওয়া নৌকাগুলো টোক নদী ধরে পশ্চিম দিকে গিয়ে ঝিনাই নদীতে চলে যায়। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসবটির আয়োজন করেন রতনপুর গ্রামের প্রবীণ সাপুড়ে ইয়াকুব আলী। ইয়াকুব আলীকে তার শিষ্যরা ওস্তাদ বলে ডাকেন। ইয়াকুব আলী রতনপুর…

বিস্তারিত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় দো-ফসলি জমির মাটি পুড়ছে স্থানীয় ইটভাটাগুলো

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় দো-ফসলি জমির মাটি পুড়ছে স্থানীয় ইটভাটাগুলো

 এতে করে দিন দিন কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমান। ব্যাহত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবাদি জমিতে জেসিবি এস্কেভেটর (ভেকু) বসিয়ে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে ইটভাটাগুলোতে। মাটি ভর্তি ট্রাক অবাধ চলাচলের কারণে একদিকে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। অপরদিকে ধুলোবালিতে পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে সাধারণ মানুষ শ^াসকষ্টসহ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।  প্রশাসনের তদারকি না থাকায় বেপরোয়া হয়ে পড়ছে এসব মাটি ব্যবসায়িরা। সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তেলে গলগন্ডা গ্রামের সুমন মিয়া, সাধুর গলগন্ডা গ্রামের মিন্টু, বসুবাড়ী গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন, বীরচারী চান্দে পাড়া গ্রামের সুমন এবং মনির, শোলাকী পাড়া গ্রামের কদ্দুছ, তালতলা গ্রামের আঃ রহিম, দেওপাড়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার খোরশেদ আলম খসরু, গারো বাজার গ্রামের আলামিনসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মাটি ব্যবসায়ি উপজেলার বিভিন্ন দো- ফসলি জমিতে অবৈধ ভাবে ভেকু বসিয়ে মাটি সরবরাহ করছে ইটভাটায়। এভাবে মাটি কাটায় প্রতিনিয়ত আবাদি জমির পরিমান কমে যাচ্ছে, পরিবেশ হারাচ্ছে ভারসাম্য। প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়িদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পায়না। এ ব্যাপারে তেলে গলগন্ডা গ্রামের মাটি ব্যবসায়ি সুমন মিয়ার বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে বুঝাপড়া করেই মাটির ব্যবসা করে থাকি। দিঘলকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহীন’র নিকট রাস্তাঘাটের বেহাল দশার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ রাস্তাটি আমি চেয়ারম্যান থাকাকালিন সময়ে করেছিলাম। রাস্তাঘাট নষ্টের ব্যাপারে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি। গলগন্ডা গ্রামের আনিছ ও অন্যান্য ব্যক্তিরা জানান, ফসলি জমির মাটি কাটায় এবং গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তাঘাটে সঠিকভাবে চলাচল করতে পারিনা। নামাযের সময় মসজিদে মুসল্লিদের যাতায়াতে বিঘœ ঘটায় এ মাটিবাহী গাড়ি। ধলাপাড়া গ্রামের শফিক উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এ মাটি ব্যবসায়িরা পাহাড় কেটে ইটভাটাগুলোতে মাটি বিক্রি করে আসছে।  এলাকায় কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, দো-ফসলি জমিতে মাটি কাটতে জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগবে। জেলা প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিত যারা মাটি কাটে তারা অবৈধ। পরবর্তীতে ইটভাটাগুলোতে মোবাইল কোর্টের পাশাপাশি মাটি কাটার বিষয়টি নজর দেয়া হবে।  ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত সাপেক্ষে মাটি ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বিস্তারিত