নারীর পুকুরে বিষ ঢেলে ৫ লাখ টাকার মাছ হত্যা

নারীর পুকুরে বিষ ঢেলে ৫ লাখ টাকার মাছ হত্যা

পাবনার সাঁথিয়ায় নাজমা বেগম (৪০) নামের এক নারী দুই বিঘা জমির পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। নাজমা সাঁথিয়া পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ডের নওয়ানী গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী। গতকাল বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় সাঁথিয়া থানায় নাজমা বেগম বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নাজমা বেগম বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে আমার পার্শ্ববর্তী এলাকায় জুয়া খেলার অপরাধে কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে। তারা মনে করেছে যে…

বিস্তারিত

নির্বাচনী হাওয়া পাবনা-৩ : জটিল মনোনয়নযুদ্ধ বড় দুই দলে

একই পরিবার থেকে ধানের শীষ প্রতীক পেতে লড়ছেন দুই ভাই ও এক বোন। আবার নৌকা প্রতীক পেতে বর্তমান এমপির বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন অন্য সবাই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে। এরই মধ্যে সেখানে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ থেকে উঠান বৈঠক- সবই করছেন নেতাকর্মীরা। কখনও আওয়ামী লীগ, কখনও বিএনপি- জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমনই ঘটে সাড়ে চার লাখ ভোটারের পাবনা-৩ আসনে। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ এবারও চাইছে, এখানে ভোটে জিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে। অন্যদিকে বিএনপি চাইছে, সর্বশেষ ২০০১ সালে নির্বাচিত হওয়ার গৌরব আবারও ফিরে পেতে। উভয় দলের নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে অন্তত দুই ডজনের বেশি প্রার্থী এরই মধ্যে মাঠে তৎপর। তবে অভ্যন্তরীণ বিভক্তি ও দ্বন্দ্ব দু'দলেই মনোনয়নযুদ্ধকে জটিল করে তুলেছে। যেমন- চাটমোহর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরেই এ দু'দলের বিভক্ত গ্রুপগুলো জাতীয় ও দলীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পৃথকভাবে পালন করে আসছে। তিনটি উপজেলা (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) নিয়ে গঠিত পাবনা-৩ আসনে ভোটার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি চাটমোহরে। তাই এর গুরুত্বও আলাদা। এখানে দীর্ঘদিন উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সম্মেলন না হওয়ায় এবং পরপর কয়েকবার তারিখ নির্ধারণের পরও অজ্ঞাত কারণে সম্মেলন পিছিয়ে যাওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। এদিকে, বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেন নিজের নির্বাচনী এলাকায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। অসহায় ও দুস্থদের নানাভাবে সহযোগিতা করে প্রশংসিতও হয়েছেন। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি তার অবস্থান অনেকটাই পাকাপোক্ত করেছেন। তবে এমপি মকবুল ও তার ছেলে ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইয়েন রাসেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগও রয়েছে। অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশী তাই বর্তমান এমপির বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- দলের পাবনা জেলা শাখার সহসভাপতি ও পাবনা জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল হামিদ মাস্টার, পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, দলের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক তরুণ শিল্পপতি আতিকুর রহমান আতিক, তরুণ শিল্পপতি দলের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল আলিম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের পাবনা জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আ রহিম পাকন, দলের চাটমোহর উপজেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো, ভাঙ্গুড়া পৌরসভা ও ভাঙ্গুড়া উপজেলায় কয়েকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. বাকি বিল্লাহ, জেলা বিএমএ সভাপতি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. গোলজার হোসেন, ফরিদপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সরকার, উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবীর, দলের ফরিদপুর উপজেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ এবং আমেরিকাপ্রবাসী ও সর্বশেষ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেন বলেন, শত বছর ধরে তার বাবা, তিনি ও তার ছেলে এ জনপদের মানুষের সেবা করে আসছেন। তিনি নিজের জন্য কিছু করেননি; বরং সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন। তার সময়ে এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে, জনগণ সে সম্পর্কে অবগত রয়েছে। তাকে মনোনয়ন দিলে এ আসন আবারও প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি। প্রবীণ ও পরীক্ষিত নেতা আবদুল হামিদ মাস্টার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। জীবনের এ পর্যায়ে এসে তার এই মনোনয়ন প্রত্যাশা সময়ের দাবি। রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত এই নেতা বলেন, জননেত্রী দলের জন্য নিবেদিত ও ত্যাগীদের নিশ্চয়ই মূল্যায়ন করবেন। মনোনয়ন পেলে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট শাহ আলম বলেন, শুধু ভার্সিটিতে নয়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দলের রাজনীতি করছেন। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিবেচনায় নিলে দল তাকেই মূল্যায়ন করবে বলে তিনি মনে করেন। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল আলীম বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মত নিলে তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে মনে করেন তিনি। তবে নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার জন্যই কাজ করবেন বলে জানান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, তিনি চান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে। মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আশরাফুল কবীর বলেন, এলাকার মানুষের সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক ও সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. বাকি বিল্লাহ বলেন, তিনি মেয়র এবং উপজেলা চেয়ারম্যান থাকার সময় ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। ভাঙ্গুড়া তখন প্রথম শতভাগ শিক্ষার সাফল্য অর্জন করে। দল তাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেবে বলে বিশ্বাস রয়েছে তার। জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আ রহিম পাকন জানান, তিনি ৩০ বছর ভিয়েনায় বিশ্ব পরমাণু সংস্থায় চাকরি করেছেন। তাই তার ইচ্ছা ছিল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করা। তার সাধ্যমতো সে লক্ষ্যে কাজ করেছেন বলে জানান তিনি। মনোনয়ন পেলে তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ফরিদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সরকার বলেন, তিনি দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন। একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন, ফরিদপুর পৌরসভাকে তিনি তৃতীয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেছেন। ৪০ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক পরীক্ষাও দিয়েছেন। এসবের ধারাবাহিকতায় এবার তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। আমেরিকাপ্রবাসী আবুল কালাম আজাদ জানান, গত সংসদ নির্বাচনেও তিনি নির্বাচন করেছেন। বিদেশে থাকলেও এলাকার মানুষের সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আগামী নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএমএ সভাপতি ডা. গোলজার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে দল করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সাখো বলেন, দলের জন্য তিনি সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এবার দলের মনোনয়ন চাইবেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন- চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলহাজ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাসাদুল ইসলাম হীরা এবং তার বড় ভাই শিল্পপতি ও জিয়া সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মো. হাসানুর রহমান রাজা এবং তার ছোট বোন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা। তাদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান হীরার জনপ্রিয়তা তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও তরুণ ভোটারদের কাছে চোখে পড়ার মতো। চাটমোহর পৌর মেয়র হীরা পদত্যাগ করে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। এ ছাড়া বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন- ফরিদুপর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বকুল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, পাবনা জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক, পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও জেলা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম। আনোয়ারুল ইসলাম সমকালকে বলেন, অতীতেও তিনি অনেক কাজ করেছেন; মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে জনগণ ও দলের জন্য কাজের এ ধারা অব্যাহত রাখবেন। অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ৩৫ বছর ধরে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এবং সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে ধানের শীষ অবশ্যই জয়ী হবে। মো. হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, প্রতিকূল সময়েও তিনি দলের সঙ্গে ছিলেন। এখনও আছেন। মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। একাধিকবার উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছেন, জেল খেটেছেন। দলের দুঃসময়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। গুঞ্জন রয়েছে, হাসাদুল ইসলাম হীরার ছোট বোন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমাও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। সম্প্রতি তাকে এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিতে এবং গণসংযোগ করতে দেখা গেছে। এ আসনে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর তেমন প্রভাব নেই। তবে শোনা যাচ্ছে, জাতীয় পার্টি থেকে অ্যাডভোকেট আবদুস ছাত্তার মনোনয়ন চাইবেন। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী এ আসনে ফরিদপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শাপিনুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

একই পরিবার থেকে ধানের শীষ প্রতীক পেতে লড়ছেন দুই ভাই ও এক বোন। আবার নৌকা প্রতীক পেতে বর্তমান এমপির বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন অন্য সবাই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে। এরই মধ্যে সেখানে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ থেকে উঠান বৈঠক- সবই করছেন নেতাকর্মীরা। কখনও আওয়ামী লীগ, কখনও বিএনপি- জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমনই ঘটে সাড়ে চার লাখ ভোটারের পাবনা-৩ আসনে। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ এবারও চাইছে, এখানে ভোটে জিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে। অন্যদিকে বিএনপি চাইছে,…

বিস্তারিত