রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে এবং আসিয়ান ফোরামে সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি তরান্বিত করতে সিঙ্গাপুর সরকারের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠকে এ সহায়তা চান ড. মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ড. মোমেন এবং সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান নিজ নিজ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণজয়ন্তীতে দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও নিবিড় ও বেগবান করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। রোহিঙ্গা সমস্যা ও আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়লগ…
বিস্তারিতTag: `রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে’
`রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে’ | দৈনিক আগামীর সময় | Agamirshomoy.com
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের স্থায়ী সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।
সোমবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার সরকার, এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানও তাদেরই করতে হবে।
ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, সমাধানের পথ একটাই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নাগরিকত্ব দেওয়া এবং সেখানে তাদের বসবাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শিনজি কুবো উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে একসঙ্গে এত বেশি মানুষ নিজের দেশ থেকে পালিয়ে এসে শরণার্থী হয়ে অবস্থান করছে এখন কক্সবাজারেই। খুবই কম জায়গায় মাত্রারিক্ত মানুষ একসঙ্গে থাকার কারণে সেখানে সংক্রামক ব্যধি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার বড় ঝুঁকি রয়েছে।
ফিলিপ্পো গ্রান্ডি জানান, তিনি কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পসহ ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইন থেকে নতুন করে রোহিঙ্গারা যেখানে অবস্থান করছেন সেসব এলাকাও পরিদর্শন করেছেন। তিনি সেখানে দেখেছেন দুই পাহাড়ের মাঝখানে অত্যন্ত স্বল্প জায়গায় এবং সমুদ্রের কাছে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন যাদের মধ্যে বড় সংখ্যায় নারী ও শিশু রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই খুবই খারাপভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার, অনেকে মারাত্মক যৌন নির্যাতনের শিকার।
ইউএনএইচসিআর সদর দফতরে পাঠানো সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২৫ আগস্টের পর কক্সবাজার এলাকায় প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এ মুহূর্তে বিশ্বে কক্সবাজারেই সবচেয়ে কম সময়ে বেশি শরণার্থী একসঙ্গে সমবেত হয়েছে। রাখাইনে সংঘাত দীর্ঘ হলে শরণার্থীর সংখ্যা দ্রুতই আরও বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, যত দ্রুত এ সমস্যার সমমাধান হবে, তত তাড়াতাড়ি কক্সবাজারে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবন যাপন থেকে মুক্ত হবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে সমস্যার সমাধানের জন্য যে কথা বলেছেন তার সঙ্গে জাতিসংঘও একমত। সমস্যার সমাধান মিয়ানমার সরকারকেই করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সব চেষ্টা অব্যাহত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে শান্তিপূর্ণভাবে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের কষ্ট লাঘবের জন্য ভাসানচরে ১ লাখ মানুষের বসবাসোপযোগী উন্নতমানের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’- জাতির পিতা প্রণীত বৈদেশিক নীতির এই মূলমন্ত্রকে পাথেয় করে আমরা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের…
বিস্তারিত‘রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে’
রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছে, তাই রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভয়াবহ সমস্যার সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে। এমনই মন্তব্য রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার সফররত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলের। তারা বলছেন, ‘রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফেরত যেতে হবে এবং তাদের নিরাপদ জীবন দিতে হবে। তবে এই প্রক্রিয়ায় কিছু সময় লাগতে পারে।’ রবিবার কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখে আসেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দল। এরপর তারা এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। প্রতিনিধি দলের সদস্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ও পেরুর স্থায়ী প্রতিনিধি গুস্তাভ মেজা কোয়াদ্রা বলেন, ‘রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা…
বিস্তারিত`রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক নিরাপত্তা উপদেষ্টা লিসা কার্টিস বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমার সৃষ্টি করেছে, তাদেরকেই এর সমাধান বের করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র চায় রোহিঙ্গারা নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যাক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রবিবার মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তাদের মধ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। লিসা কার্টিস বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এজন্য এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রাখাইনে নৃশংসতা ও নিধনযজ্ঞের জন্য…
বিস্তারিত