আমের বাজারে নেই ক্রেতা, ক্ষতির মুখে চাষিরা

আমের বাজারে নেই ক্রেতা, ক্ষতির মুখে চাষিরা

নাটোরের বৃহত্তম আম বাজারে প্রতি বছর আমের মৌসুমে প্রায় ২০০ কোটি টাকার আম কেনাবেচা হলেও করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে এবার এই বাজারে নেই ক্রেতা। বাইরের জেলার আম সরবরাহ না হওয়ায় ক্ষতির মুখে বাগান মালিকরা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম পরিবহনের ব্যবস্থা করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার।

নাটোর জেলায় উৎপাদিত ১৩ জাতের আমের মধ্যে গত ২০ মে থেকে মিষ্টি জাতের আম বাজারজাত হচ্ছে। এই ১৫ দিনে গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাত, ল্যাংড়া ও লক্ষণ ভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমগাছ নামানো হয়েছে।

জেলার বৃহত্তম আম বাজার বড়াইগ্রাম উপজেলার আহমদপুরের আড়তগুলোতে বাগান মালিকরা আম আনলেও নেই ক্রেতা। নাটোর জেলায় করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতির কারণে বাইরের জেলার ক্রেতারা আসছেন না এই বাজারে। এর ফলে গত বছরের চেয়ে এবার প্রতি মণ আম ৪০০-৫০০ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাগান মালিকরা।

বাগান মালিকরা জানান, বাগান থেকে বাজারে আমি নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছি। এখানে আমের বাজার নেই। গত বছর যে আমের মণ বিক্রি করেছি ২০০ টাকা। সেটা এখন বলতেছে এক হাজার ২০০ টাকা।

আম বাজারজাতের জন্য রোববার দুপুরে আহমদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাগান মালিক ও আড়তদারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাইরের জেলার ব্যবসায়ীদের এখানে অবস্থান ও নিরাপদে আম সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ কথা জানিয়েছেন নাটোর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।

তিনি বলেন, আমের বিপণনব্যবস্থা নিয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এতে চাষিরা ন্যায্যদাম পাবে।

চলতি বছর জেলায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। আর বড়াইগ্রাম উপজেলার আহমদপুর বাজার থেকে প্রতি মৌসুমে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আম বিক্রি হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন