দেশের উত্তর-পশ্চিমের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং ময়মনসিংহে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে গেছে ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ার ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসই এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর ঢাকায় ওই সময় থার্মোমিটারের পারদ ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আরিফ হোসেন বলেন, “আজ সন্ধ্যার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। তাতে এসব অঞ্চলের তাপমাত্রা আরেকটু কমতে পারে। তবে তা শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে নাও যেতে পারে।”
মানচিত্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার
টানা তিন দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা কম থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়। থার্মোমিটারের পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর পারদ ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়।
বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল।
শীতের মধ্যে ঘন কুয়াশায় ফেরি পারাপারে সমস্যা হয়েছে রাতে ও ভোরে। আর শীতজনিত রোগ নিয়ে দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ চলছে গত এক সপ্তাহ ধরেই।
তীব্র ঠাণ্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ঠাকুরগাঁওয়ে বুধবার ঘর গরম করার জন্য খাটের নিচে রাখা আগুনে পুড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।