কম সময়ে, ২৬০ টাকায় ঘুরে আসুন মিনি কক্সবাজারে, যেভাবে যাবেন..

কম সময়ে, ২৬০ টাকায় ঘুরে আসুন মিনি কক্সবাজারে, যেভাবে যাবেন..

ব্যস্ততায় আমায় দেয় না অবসর,তাই বলে ভেবো না বন্ধু আমি স্বার্থপর।’ না এখন আর এমন অজুহাত শুনানোর প্রয়োজন নেই প্রিয়জনকে। কম সময়ে, স্বপ্লমূল্যে ঘুরে আসতে পারেন চাঁদপুরের পদ্মার চর।

ইট-পাথরের দেয়ালে সাঁটানো আমাদের জনজীবন। ব্যস্ততা ঘিরে রেখেছে আমাদের নগর জীবনকে। কোলাহল পূর্ণ শহরে যখন দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা, ঠিক তখন শহুরে জীবন ছেড়ে মানুষ ছুটতে চায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের খোঁজে।

দুর্ভাগ্য জনাকীর্ণ নগরী ঢাকা। যেখানে অস্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে চলেছে জনসংখ্যা। ঘনবসতির নগরে স্বস্তি পাওয়াটা যেন ইদানিং ভাগ্যের ব্যাপার। যে পরিমাণ পর্যটন কেন্দ্র ঢাকার ভেতর এবং কাছাকাছি রয়েছে সেগুলোতে ভিড় লেগে যায় ছুটির দিনগুলোতে। এছাড়া কক্সবাজারসহ দেশের ঐতিহ্যমন্ডিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোতে ঢাকা থেকে যাওয়াটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

ঢাকা থেকে নদীপথে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার পথ চাঁদপুর। চাঁদপুর বেশ কয়েকটি চর রয়েছে। ইদানিং পর্যটকদের মিলন মেলা দেখা যায় রাজরাজেশ্বর চর, ইশানবালার চর আর পদ্মার চরে। চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেড থেকে কয়েক মিনিটের নদী পথ পদ্মার চর। বছরে ছয় মাস সেখানে চর জেগে থাকে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এবং গ্রীষ্মের আগ পর্যন্ত চরের সৌন্দর্য মন কারে সেখানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের।

বিশেষ করে নতুন করে জেগে ওটা চর ‘চাঁদপুর পদ্মার চর’। অনেকে এ চরকে আখ্যায়িত করেন মিনি কক্সবাজার হিসেবে। বিশাল জলরাশির ছোট ছোট ঢেউ আর বালুকাময় বিস্তীর্ণ চরের সৌন্দর্য উপভোগে অনেকেই আসেন স্থানটিতে।

বিষয়টি নিয়ে মাতৃপীঠ গার্লস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদুর রহমান বলেন, ‘স্থানটি দেখতে পুরো কক্সবাজারের মত। এখানে এসে আমরা খুব আনন্দ উপভোগ করেছি। স্থানটি পর্যটক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুললে চাঁদপুরের পর্যটন শিল্পে নতুন এক মাত্রা যোগ হবে।

, ‘পদ্মার চর পর্যটন বিকাশে একটি চমকপ্রদ স্থান। এখানে পর্যটন মৌসুমে অনেক লোকই ঘুরতে আসেন। অনেকটা মিনি কক্সবাজারের মতই বলতে পারেন। ছোট ছোট ঢেউ আছড়ে পড়ে বালুকাময় এই চরটিতে।’

মিনি কক্সবাজার
বালুকাময় চরটিতে ইদানিং অনেকে পিকনিক স্পট হিসেবেও ব্যবহার করেন। নদীর বুকে স্নান করার আনন্দ উপভোগ করেন। ছুটির দিনে এমন একটি স্থানে বেড়িয়ে না আসাটা দুঃখজনকই বটে।

কীভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে নদী পথে লঞ্চে করে চাঁদপুরের ভাড়া ডেকে ১০০ টাকা। কেবিনে সিঙ্গেল ৪০০ এবং ডাবল ৮০০ টাকা। প্রথমেই চাঁদপুর মাদ্রাসা ঘাটে নেমে যেতে হবে বড় স্টেশন মোলহেড। সেখান থেকে ৩০ টাকা ভাড়ায় ট্রলারে চেপে যেতে পারবেন পদ্মার চর। ইচ্ছে করলে আপনি রিজার্ভ ট্রলার নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে গুণতে হবে ৪০০ টাকা। এছাড়া আপনার যাতায়তের উপরে ভ্রমণ খরচ নির্ভর করতে পারে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment