গোপনে যেনা করলে দুনিয়াতেই ভয়স্কর শাস্তি

গোপনে যেনা করলে দুনিয়াতেই ভয়স্কর শাস্তি

গোপনে যারা যেনায় লিপ্ত হয় এর শাস্তি আল্লাহপাক দুনিয়াতেই দিবেন।

যে মেয়েটা সামান্য তেলাপোকা দেখলে ভয় পায়। যে ছেলেটা সামান্য প্লাস্টিকের সাপ দেখলে ভয় পায়। অথচ গোপনে তারা যেনা করতে ভয় পায়না তার জন্য যে কত বড় শাস্তি অপেক্ষা তরছে, তারা সেটা কোন কিছু মনেই করছে না। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রা:) হযরত মুহাম্মাদ (স:) এর একজন সাহাবী । যাকে বলা হয় হাদিসের পন্ডিত। তিনি একটা হাদিস এনেছেন যখন কেউ প্রকাশ্যে জেনা ব্যাবিচারে লিপ্ত হয় আল্লাহ পাক দুনিয়াতেই এদেরকে তিন টা শাস্তি দিবেন।

https://agamirsomoy.com/gree-ac-price-list-2023/238174

 

১. আল্লাহ পাক এদেরকে মহামারি দিবেন। এরা মহামারির যেকোন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে।

২. সে এমন একটি রোগে মারা যাবে যে রোগটি তার গোটা বংশের মধ্যে কারো হয় নি। সে ধরনের রোগে সে ধুকে ধুকে ভীষণ কষ্ট পেয়ে মারা যাবে। যেমন তার একটি উদাহরন দেই, এইসআইভি ১৯৮৩ সালে আমেরিকায় প্রথম এক সমকামী লোকের দেহে ধরা পরে। প্রতি বছর এই রোগে যারা মারা যায় এদের কোন চিকিৎসা নেই। এই রোগে মারা গেলে তার পরিবারো তাকে নিতে চায় না।

৩. আল্লাহ পাক তাকে দারিদ্রতা এনে দিবেন। হয়তো তার টাকা পয়সা অনেক ছিল আস্তে আস্তে তার ধন সম্পদ কমতে থাকবে। দিন দিন তার কামাই রোজগার কমে যাবে। তার ইনকামে কোন বরকত থকবে না।

 

যিনার পাপ থেকে মাফ পাওয়ার নামাজ, দোয়া ও তাওবার নিয়ম।

গোপন যিনার তওবার নিয়ম

মনে রাখবেন যেনার গুনাহ কাউকে হত্যা করার চাইতেও বেশী বড় গুনাহ। আপনি বলতে পারেন কিভাবে? যেমন ধরুন আপনি কাউকে হত্যা করলেন আর সে লোকের সন্তানরা যদি আপনার কাছ থেকে রক্তপন বাবদ কিছ টাকা পয়সা নিয়ে আপনাকে মাফ করে দেয় তাহলে ইসলামী শরীয়তের বিধান মতে হত্যাকারীকে মাফ করে দেয়া যাবে। কিন্তু যেনার ব্যপারে এ ধরনের ক্ষমার কোন সিস্টেম নাই।

কেহ যদি যিনা করে
এবং আন্তরিকভাবে তওবা করতে চায়, তাহলে সে তওবা কিভাবে করবে? এবং তার শাস্তি কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে? এ প্রশ্নের জবাব জানার আগে আমাদের জানতে হবে যে কেহ যদি যিনা করে তাহলে সে যিনা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে এর শাস্তি শরীয়তের বিধান মতে হবে যদি দেশে ইসলামী হকুমত কায়েম থাকে, নতুবা দেশের প্রচলিত আইনে সাজা হবে, সুতরাং কারো থেকে যদি যিনা হয়ে যায় তাহলে তার উচিত তা অন্য কারো কাছে প্রকাশ না করে খালেছ অন্তরে
আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফ চাওয়া তওবা করা। আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন যেমন সুরা আল এমরানের ১৩৫ নং আয়াতে আল্লাহ এরশাদ করেন

]

وَالَّذِينَ
إِذَا فَعَلُواْ فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُواْ أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُواْ اللّهَ
فَاسْتَغْفَرُواْ لِذُنُوبِهِمْ وَمَن يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ اللّهُ وَلَمْ
يُصِرُّواْ عَلَى مَا فَعَلُواْ وَهُمْ يَعْلَمُونَ

তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না। [ সুরা ইমরান ৩:১৩৫ ]

https://agamirsomoy.com/daikin-ac-price-in-bd/238084

 

কিন্তু যেনাকারী
যেনা করার পর যদি তা প্রকাশ করে, প্রচার করে তাহলে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং দেশে যদি শরীয়ী আইন বলবৎ থাকে তাহলে অবিবাহিতকে ১০০টি দোররা মারার শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে আর যদি যিনাকারী বিবাহিত হয় তাহলে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে হবে। এখন যেহেতু ইসলামী আইন বলবৎ নাই সেহেতু এখন একটাই অপশন তা হল সাচ্চা অন্তরে ভবিষ্যতে আর এমন কাজ না করার পাক্কা নিয়তে আল্লাহর বারেগাহে কেঁদে কেঁদে তওবা ও গুনাহ মাফ চাইতে হবে।

আবু দাউদ শরীফের
১৫২১ নং হাদীস হযরত আবু বরক ছিদ্দিক (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসুলুল্লাহ (দঃ) কে বলতে শুনেছি যে কোন বান্দা যে কোন গুনাহ হয়ে গেলে সে উত্তম রুপে অযু করবে অতপর দুই রাকাত নামাজ পড়বে এ নামাজের পর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট ক্ষমা চাইলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ক্ষমা করে দিবেন। এ কথা রাসুলুল্লাহ (দঃ) বলার পর সুরা আল এমরানের ১৩৫ নং আয়াতটি তেলায়াত করেন যা আমি ইতিপূর্বে তেলাওয়াত করেছি।

সুতরাং যাদের ভুল
হেয় গেছে তারা অযু করে ২ রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইবেন এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ নাকরার দৃঢ় সংকল্প করবেন। আর যার সাথে এমন জঘন্য কাজ করেছেন তার কাছেও ক্ষমা চেয়ে নিবেন। আশা করা যায় আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করবেন।

কিন্তু কেহ যদি এ
কথা ভেবে যিনায় লিপ্ত হয় যে আমি আপাতত যিনা করে নিই, পরবর্তীতে তওবা করে নিব এমন চেতনায় যিনায় লিপ্ত হয় তাহলে তার শাস্তি দুইগুন হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন