দোহারে ফসলের জমিতে ড্রেজিং করে মাটি বিক্রি,পরিবেশ হুমকিতে!

দোহারে ফসলের জমিতে ড্রেজিং করে মাটি বিক্রি,পরিবেশ হুমকিতে!

বিশেষ প্রতিনিধি(ঢাকা):

দোহার উপজেলার লটাখোলা বড় ব্রীজের পশ্চিমে ফসলি জমিতে মাটি কাটার ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ড্রেজিং করে মাটি বিক্রি করছে প্রভাবশালী অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা।এভাবে মাটি কাটার ফলে পরিবেশের উপর হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সরেজমিনে,উপজেলার লটাখোলা বড় ব্রীজের পশ্চিমে পদ্মা নদীর শাখা খাল সংলগ্ন ফসলি জমিতে মাটি কাটার ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ড্রেজিং করে মাটি বিক্রি করছে প্রভাবশালী ফড়িয়া মাটি ব্যবসায়ীরা।প্রতিবছর জানুয়ারী মাস থেকে তৎপর হয়ে উঠে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা।মাটি ব্যবসায়ীরা সু-কৌশলে ভূমির মালিকদের কাছ থেকে নাম মাত্র মূল্য দিয়ে ক্রয় করে পড়ে মাটি কাটার শ্যালো মেশিন বসিয়ে অপরের জমিসহ মাটি কেটে তা পাইপের মাধ্যমে চড়া মূল্যে মাটি বিক্রি করে থাকেন।এমনি একজন মাটি ব্যবসায়ী আজাদ হোসেন চরলটাখোলা গ্রামের আমির মোল্লার ৮ শতাংশ জমির উপরের মাটি স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে আশপাশের সাধারন মানুষের জমিসহ প্রভাব খাটিয়ে মাটি কেটে তা বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।স্থানীয়রা আরোও বলেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে বীরদর্পে তাদের কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।এই ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা সাধারনত বিভিন্ন পুকুর,নিচু জমি ও রাস্তা ভরাট কাজে এ মাটি ব্যবহার করে থাকেন।অনুসন্ধানী সুত্রে জানা যায়,এই ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের অনুমোদন নেওয়ার জন্য ধমীয় অনুভূতিকে পুজি করে মাটি ব্যবসায় করে আসছেন বলে জানা যায়।তারা প্রশাসনকে বলে থাকেন আমরা মাটি কেটে মসজিদে দিবো,কিংবা গোরস্থানে মাটি লাগবে।এটাতো সমাজ সেবা মূলক কাজ তাই একটু অনুমোদন দেন বলে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন।প্রকৃত ঘটনা হলো ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা নিজেদের পকেট ভারী করা ও প্রসাশন হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কৌশল মাত্র।দোহার উপজেলার লটাখোলা গ্রামে ব্রীজের পশ্চিমে আমির মোললার ফসলের জমি অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করছেন আজাদ নামে ফড়িয়া মাটি ব্যবসায়ী।প্রায় ১ বিঘা ফসলি জমিতে ডেজিং করার ফলে আশে পাশের ফসলি ভূমি চরম খতিসাধন হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।তাদের জমিতে ফসল উৎপাদনের অনপোযোগী হয়ে উঠেছে। অপরদিকে প্রবাহমান পদ্মার শাখা নদীর তীর ঘেরা হওয়ায় চরম আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী।গ্রামবাসীর দাবি অনতিবিলম্বে এই মাটি কাটা বন্দ করা হউক। এ বিষয়ে ফড়িয়া মাটি ব্যবসায়ী আজাদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,প্রশাসনের ওসিসহ সবাইকে ম্যানেজ করে এই ব্যবসা চালাচ্ছি।আপনার কিছু করার থাকলে করে দেখান। এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা আফরোজা আকতার রিবা সমকালকে জানান,আমি সদ্য যোগদান করেছি।তবে এদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment