ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে রক্ত দিয়ে বাঁচালেন ওসি-এএসআই

ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে রক্ত দিয়ে বাঁচালেন ওসি-এএসআই

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে অপহরণ করে আবাসিক হোটেলে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় ওই কিশোরীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এদিকে ওই কিশোরীকে বাঁচাতে হাসপাতালে গিয়ে তাৎক্ষণিক রক্ত দিয়েছেন সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন ও থানার এএসআই আরমান।

 

সোমবার (২৮ জুন) বিকেল ৪টার দিকে ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় জরুরি রক্তের প্রয়োজন ছিল। অনেক খোঁজ করেও ওই মুহূর্তে রক্ত পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে ভুক্তভোগীকে বাঁচাতে আমি এক ব্যাগ রক্ত দিয়েছি। তারপর আমার সহকর্মী এএসআই আরমান এক ব্যাগ রক্ত দেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী কিশোরী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মো. আব্দুল আজিম জানান, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। রাত থেকে তাকে তিন ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন ভালো আছে।

এদিকে সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি মেয়েটির সঙ্গে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা নিজেরাই সেখানে ইচ্ছে করে যায়। যেহেতু ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে এবং পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করেছে তাই তদন্ত করে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, অপহরণ করে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন- চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম নূর (২৬) ও সোনাইমুড়ী উপজেলার ভানুয়াই গ্রামের মৃত আব্দুল হোসেনের ছেলে দ্বীন মোহাম্মদ জনি (৩২)।

ওই কিশোরীর মামা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাগনিকে অপহরণ করে সোনাইমুড়ী থানাধীন রওনক আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। সে বর্তমানে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন