ফিলিপিনো কর্মীদের জন্য ভিসা স্থগিত করলো কুয়েত

ফিলিপাইনের নাগরিকদের জন্য সব ধরনের নতুন ভিসা ইস্যুর কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধবার ফিলিপিনোদের নতুন ভিসা ইস্যুর কাজ স্থগিত করে আদেশ জারি করেছে।

কর্মীদের সুরক্ষা ও নিয়োগকর্তাদের অধিকার নিয়ে তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির সাথে ম্যানিলার ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মাঝে নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েত।

দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, উপসাগরীয় রাষ্ট্র কুয়েতের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৪৭ লাখ; যার ৬ শতাংশই ফিলিপাইনের নাগরিক। এর মধ্যে মাত্র ৩২ শতাংশ কুয়েতের নাগরিক; বাকিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে কুয়েতের মরুভূমিতে ফিলিপিনো গৃহকর্মী জুলেবি রানারার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধারের পর গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো কুয়েতে গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ ঘোষণা করে ফিলিপাইন। ম্যানিলার এমন সিদ্ধান্তের পর দুই দেশের মাঝে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং সর্বশেষ এই ভিসা স্থগিতাদেশ দিয়েছে কুয়েত।

ফিলিপাইনের বিপুলসংখ্যক নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করেন। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১০ শতাংশ আসে রেমিট্যান্স খাত থেকে। ফিলিপাইনের অনেক নাগরিক তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাষ্ট্র কুয়েতের মতো কিছু দেশে স্বল্প মজুরিতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন।

কুয়েতের ভিসা ব্যবস্থার কারণে একজন গৃহকর্মী চাইলে নিয়োগকর্তা পরিবর্তন করতে পারেন না। যে কারণে অনেক অভিবাসী শ্রমিক নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হন। এমনকি দেশটির নিয়োগকর্তারা গৃহকর্মীদের পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত করতে পারেন।

গত বুধবার কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কুয়েতের সাথে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক শ্রম চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ফিলিপাইন। দেশটিতে কয়েকজন ফিলিপিনো গৃহকর্মীর মৃত্যুর পর কর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব নিরসনে ২০১৮ সালে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল উভয় দেশ।

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন