সর্বোত্তম জিকির হাদিসের আলোকে

সর্বোত্তম জিকির হাদিসের আলোকে

জিকির শব্দের অর্থ স্মরণ করা, বর্ণনা করা ইত্যাদি। ইসলামের পরিভাষায় আল্লাহর স্মরণকে জিকির বলা হয়। জিকির নফল ইবাদত। ইসলামে ফরজের পর নফল ইবাদতের গুরুত্ব অপরিসীম। কেয়ামতের দিন নফল ইবাদত সওয়াবের পাল্লা ভারি করবে।

হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় কেয়ামতের দিন যদি বান্দার ফরজের (ইবাদতের) মধ্যে কিছু কম পড়ে যায়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা বলবেন, ‘দেখ তো! আমার বান্দার কিছু নফল (ইবাদত) আছে কি না, যা দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করে দেওয়া হবে?’ অতঃপর তার অবশিষ্ট সমস্ত আমলের হিসাব ঐভাবে গৃহীত হবে। -(আবু দাউদ ৮৬৪, তিরমিজি ৪১৩, ইবনে মাজাহ ১৪২৫)

তবে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত নফল ইবাদত করা সম্ভব হয় না অনেকের পক্ষে। কিন্তু যেকোনো জায়গায়, যেকোনো মুহূর্তে আল্লাহর প্রশংসায় তার জিকির করা অনেক সহজ। হাদিসে সহজ এবং সর্বোত্তম জিকির সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

‘لا اله الا الله” বা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করা— এটি সর্বোত্তম জিকির।‘ (তিরমিজি, হাদিস : ৫/৪৬২; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ২/১২৪৯; হাকিম, হাকিম, হাদিস : ১/৫০৩)

আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা চারটি বাক্য নির্বাচন করেছেন- সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ও আল্লাহু আকবার। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৮০১২)

এছাড়াও হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে- একবার নবী (সা.) গাছের একটি ডাল ধরে ঝাঁকি দিলেন, কোনো পাতা পড়লো না। তিনি আবার ঝাঁকি দিলেন; এবারও কোনো পাতা পড়লো না। তবে তৃতীয়বার ঝাঁকি দেওয়ার পর অনেকগুলো পাতা ঝররো। তখন নবীজী (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয় সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, লা- ইলা-হা ইল্লাহ ও আল্লাহু আকবার বলা- বান্দার গুনাহ ঝরিয়ে দেয়, যেমন (শীতকালে) গাছ তার পাতা ঝরায়।’ -(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১২৫৩৪)

 

আপনি আরও পড়তে পারেন