সেল্টিককে গোলবন্যায় ভাসিয়ে প্রস্তুতি সারলো পিএসজি

প্রস্তুতিটা ভালোই হলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের। টানা তৃতীয় ম্যাচেও বড় জয় পেলো পারসিয়ানরা। সেল্টিক হারলো ৪-০ গোলে। নেইমার-এমবাপ্পে ম্যাজিক দেখলো পার্ক দ্য প্রিন্সেসের ৫ হাজার দর্শক। 

আবারো ফুটবল ফিরেছে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে, আবারো মাঠ ভর্তি দর্শক। করোনাকালে ছবিটাকে অনেকটাই নিয়মিত বানিয়ে ফেলেছে ফরাসীরা। টানা তৃতীয় দিনে ৫ হাজার দর্শককে মাঠে প্রবেশের অনুমতি দিলো তারা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যারা উপভোগ করলেন নেইমার এমবাপ্পে ইকার্দিদের ফুটবল ম্যাজিক।

হঠাৎ করেই লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলো পিএসজি। শিরোপা ঘরে আসলেও, ফুটবলারদের ফিটনেস এবং অনুশীলন নিয়ে চিন্তা ছিলো থমাস টুখেলের। তাই তো, একের পর এক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ঝালিয়ে নিলেন শিষ্যদের। কিন্তু প্রতিপক্ষের ঘরে দ্বিতীয়-তৃতীয় সারির দলগুলো আবেদন ফেলতে পারছিলো না কারো মাঝেই। তবে, এবার সে জায়গা থেকেও চিন্তামুক্ত হলেন টুখেল।

দু দিন পর ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনাল সেইন্ট এতিয়েনের বিপক্ষে। তার আগে অন্তত একটি বড় ম্যাচ খুব দরকার ছিলো পারসিয়ানদের। অবশেষে ঘরের মাঠে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলো সেল্টিককে। ধারে ভারে ততোটা দুরন্ত না হলেও, ক্লাব হিসেবে একেবারে ফেলনা নয় স্কটিশরা। যদিও, মাঠের খেলায় দেখা যায়নি সেরকম কোন ঝলক।

কিক অফের বাঁশি বাজতে না বাজতেই গোলের জন্য হুঁইসেল দিতে হলো রেফারিকে। সেল্টিকের ছোট একটা ভুলকেই গোলে পরিণত করলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নেপথ্যে নেইমার জুনিয়র। ৫৩ সেকেন্ডেই ১-০’তে এগিয়ে স্বাগতিকরা।

এরকম একটা শুরুর পর, গুছিয়ে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয় স্কটিশ ক্লাবটিকে। মাঝ মাঠের দখল কোনভাবেই পায়নি ম্যাকগ্রেগররা। ডি মারিয়া, গুয়েরের গতি আর স্কিলের কাছে হাপিত্যেশ ছুটে যায় তাদের। এর মাঝেও তারা আক্রমণ করে কয়েকবার। কিন্তু কেইলর নাভাস ছিলেন অবিচল।

২৫ মিনিটেই দ্বিতীয়বার এগিয়ে যায় প্যারিসের দলটি। এবার এর নেপথ্যে না থেকে সামনে আসেন নেইমার। তার ঝলকেই লিড বাড়ে পিএসজির। প্রথমার্ধ্বে আর কোন আক্রমণ থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দু দল। এগিয়ে থেকে বিরতিতে থমাস টুখেল বাহিনী।

ম্যাচটা প্রস্তুতির, তাই হয়তো সুযোগটা পুরো ষোলোআনাই তুলে নিলেন জার্মান বস। ১১ জনকে বদলি করলেন তিনি।

ফলাফল, বেড়ে যায় আক্রমণের গতি। নেইমার-এমবাপ্পে-ইকার্দিদের জায়গা নেন হেরেরা, সারবিয়ারা। নাভিশ্বাস ছুটে যায় সেল্টিকের। আক্রমণ সামলাতে সামলাতে ভুল করে বসেন আবারো। ৪৮ মিনিটে হয় তৃতীয় গল। স্কোরার আন্দের হেরেরা।

গোলের সুযোগ এসেছিলো সেল্টিকের সামনে। কিন্তু নাভাসের বিকল্প হিসেবে যে সার্জিও রিকোও কম যান না, প্রমাণ দিলে হাতে নাতে। অক্ষত থাকে পারসিয়ানদের জাল। ৬৭ মিনিটে কফিনের শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন পাবলো সারাবিয়া। ভেরেত্তির মাইনাস থেকে দুরন্ত ভলি করেন এ স্প্যানিশ। ৪-০ র জয় নিশ্চিত হয় প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের।

আপনি আরও পড়তে পারেন