মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে নিয়েই উচ্ছ্বসিত ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। উচ্ছ্বাসের কারণটা বাংলাদেশের পেস-সেনসেশন প্রমাণ করেছেন সানরাইজার্সের প্রথম ম্যাচেই। দলের বাকি বোলাররা যেখানে বেঙ্গালুরুর কোহলি-ডি ভিলিয়ার্স-ওয়াটসনের ব্যাটের ঝড় সামলাতে ব্যতিব্যস্ত, সেখানে মুস্তাফিজের বল খেলতে হিমশিম খেয়েছেন কোহলিরা। বেঙ্গালুরুর ২২৭ রান তুলেছিল, অথচ এর মধ্যে মুস্তাফিজ ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৬ রান, নিয়েছেন ২ উইকেট।
শুরু থেকেই মুস্তাফিজকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা বলে আসছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উপদেষ্টা ভি ভি এস লক্ষ্মণ। ওই ম্যাচের পর সেটা যেন আরও বেড়ে গেল। মুস্তাফিজের কার্যকারিতা বোঝাতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে এই সময়ের আরেক দুর্দান্ত পেস বোলার মোহাম্মদ আমিরেরও তুলনা করলেন লক্ষ্মণ। সাবেক এই ভারতীয় ব্যাটসম্যানের মতে, মুস্তাফিজের বোলিং–বৈচিত্র্য মোহাম্মদ আমিরের চেয়েও বেশি।
আইপিএল নিয়ে একটি টেলিভিশন শো-তে মুস্তাফিজ প্রসঙ্গ ওঠার পর লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘মোহাম্মদ আমির নতুন বলে সুইং করাতে না পারলে একটু সমস্যা পড়ে, তবে তার ইয়র্কার খুব কার্যকর। কিন্তু মুস্তাফিজের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য অনেক বেশি। সে একজন কার্যকর টি-টোয়েন্টি বোলার। তার উইকেট নেওয়ার সামর্থ্যও দারুণ। দুই দিকেই বল সুইং করাতে পারে। তার দুই ধরনের ইয়র্কারই আছে—একটা বাইরের দিকে, অন্যটা একেবারে ব্যাটের তলায়।’
মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ আমির দুজনেই এই মুহূর্তে যাঁর যাঁর দলের আক্রমণের সেরা অস্ত্র। দুজনেই ‘ম্যাচ উইনার’। তবে মুস্তাফিজ নিজেকে আলাদাভাবে চিনিয়েছেন তাঁর কার্যকর কাটার আর স্লোয়ার দিয়ে। ভি ভি এস লক্ষ্মণও মনে করেন, মুস্তাফিজের ‘কাটার’ যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই ভয়ংকর, ‘মুস্তাফিজের বলের গতিতে অবশ্যই বৈচিত্র্য আছে। ওর “কাটার” বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদেরও সমস্যায় ফেলে। আমাকে যদি বেছে নিতে বলা হয়, আমি মুস্তাফিজকেই বেছে নেব।’