ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ব্রিজ থেকে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে পাড়াগ্রাম রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু পরিবর্তন হলেও রাস্তাটিতে আধুনিকতার এখনও কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সড়কজুড়ে কার্পেটিং উঠে অসংখ্য খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
একটু বৃষ্টি হলেই এসব বড় বড় গর্ত বৃষ্টির পানিতে ভরে যায়। এতে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীরা। আর এসব বড় বড় গর্তে ঘটেছে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা। মাঝে মাঝে যানবাহন বিকল হয়ে সড়কের মাঝেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ দুর্ভোগ যেন দেখার কেউ নেই। প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে রিকশা, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, গতি, সিএনজি দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী চলাচল করেন। ফলে উপজেলার অন্যান্য সড়কের মধ্যে এ সড়কের গুরুত্ব বেশি। রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হলেও মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব সড়ক ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যানবাহন চলার সময় রাস্তায় উথাল-পাথাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয় হƒদকম্প। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার উত্তরাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জানা গেছে, প্রায় একযুগ আগে নবাবগঞ্জ থেকে পাড়াগ্রমের ১৬ কিলোমিটার রাস্তাটি কার্পেটিং করা হয়েছিল। এর পর থেকে এ পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তসহ উল্লেখযোগ্য সংস্কার চোখে পড়েনি। ফলে উপজেলার অন্যান্য সড়কের মধ্যে এ সড়ক গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থায় স্থানীয় জনগণ ও যাত্রীদের প্রশ্নÑ আর কত বিধ্বস্ত হলে মেরামত করা হবে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার দু’পাশে নিচু হয়ে অনেকটা কবরের মতো আকৃতি ধারণ করেছে। কোনো কোনো স্থানে ২/৩ ফুট পর্যন্ত রাস্তা দেবে গেছে। গর্তে পড়ে এ সড়কে বিভিন্ন যানবাহন বিকল হওয়ার ঘটনা নিত্যদিনের। পথচারী রমজান আলীর ক্ষোভের সঙ্গে জানান, এমপি-মন্ত্রীরা যদি এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করত তাহলে রাস্তার এমন ভয়াবহ অবস্থা থাকত না। আমরা তো সাধারণ জনগণ একটা ভোটের মালিক তাই আমাদের এমন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সিএনজি চালক আবদুল রহিম মিয়া বলেন, গাড়ি নিয়ে যেতে ইচ্ছা হয় না, বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হয় এই রাস্তাটি দিয়ে। কিছু কিছু জায়গায় এমনই অবস্থা গাড়ি উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। বেশিরভাগ সময়ই এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে গাড়ির নাট-বল্টু খুলে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকে। এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী ধীরেন্দ চন্দ দেবনাথ জানান, কিছুদিনের মধ্যে এ রাস্তাটির মেরামতের কাজ শুরু হবে।