রদ্ধা কাপুর ছুঁয়েছিলেন খুনি নিব্রাসের হাত

রদ্ধা কাপুর ছুঁয়েছিলেন খুনি নিব্রাসের হাত

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী পাঁচ সন্ত্রাসীর মধ্যে একজন ছিলেন নিব্রাস ইসলাম। রাজধানীর অন্যতম নামি-দামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পড়তেন তিনি। শনিবার পুলিশ গুলশানে হামলাকারী পাঁচ সন্ত্রাসীর ছবি প্রকাশ করলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিব্রাস ইসলামকে শনাক্ত করে তাঁর সহপাঠী ও পরিচিতজনরা। উজ্জ্বল ও আধুনিক পোশাক-আশাকে ছবি দেখা গেছে এই নিব্রাস ইসলামের ফেসবুক পেজে।

রদ্ধা কাপুর ছুঁয়েছিলেন খুনি নিব্রাসের হাত

এমনকি বলিউডের তারকা শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে নৃত্যরত অবস্থায় দেখা গেছে নিব্রাসকে। এ ছাড়া বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় আড্ডা, পার্টিসহ বিভিন্ন জায়গার ছবি আছে তাঁর আইডিতে।

এনটিভি অনলাইনের অনুসন্ধানেও পুলিশের ছবি এবং সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা ছবিগুলোর মিল খুঁজে পাওয়া গেছে।

শনিবার রাতে বিতর্কিত জঙ্গিতৎপরতা পর্যবেক্ষণবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টারন্যাশনালে’ নিহতের ছবি প্রকাশের পর পরই তাঁর বন্ধুরা ফেসবুকে নিব্রাসের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে আগের কিছু ছবি শেয়ার করতে থাকে। নিব্রাসের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যায়, তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সেরা অভিনেতা ফেরদৌসের সঙ্গেও ছবি তুলে আপলোড করেছেন।

এমন কি গত বছরের ১৫ জানুয়ারি নিব্রাস একটি ছবি আপলোড করেছেন ভারতের বলিউডের নায়িকা শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে নাচছেন। সেখানে ইংরেজিতে লেখা, ‘তুমি সুন্দর শ্রদ্ধা কাপুর! সেই মুহূর্তটি যখন সে আমার হাত ধরেছিল।’

নিব্রাসের ফেসবুক আইডি থেকে জানা যায়, ঢাকার ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল টার্কিস হোপে পড়েছেন তিনি। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে। এরপর মালয়েশিয়ার মনাস ইউনিভার্সিটিতে স্নাতকোত্তর করেছেন। ফেসবুকে তিনি নিজেকে মনাসের বাংলাদেশ কার্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ বলে পরিচয় দিয়েছেন।

নিহত আরেকজন হামলাকারীর নাম মীর সাবিহ মুবাশ্বের। তিনি স্কলাস্টিকার ছাত্র ছিলেন। এ-লেভেল পরীক্ষার আগে গত মার্চ মাস থেকে নিখোঁজ তিনি।

নিহত আরেক জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজ আওয়ামী এক রাজনীতিবিদের ছেলে বলে ফেসবুকে অনেকে উল্লেখ করেছেন। তিনিও স্কলাস্টিকার ছাত্র ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে বাবার সঙ্গে তাঁর ছবি দেখা গেছে ফেসবুকে।

ফেসবুকে আরেকজনের ছবি প্রকাশ করা হয়,যাঁর নাম রাইয়ান মিনহাজ। মালয়েশিয়ার মনাস ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক শেষ করেন রাইয়ান। আগা খান স্কুলের ছাত্র ছিলেন তিনি। এ ছাড়া পঞ্চম হামলাকারী সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি।

এ ছাড়া এই জঙ্গিদের বিভিন্ন সময়ের নানা ধরনের ছবি প্রকাশ পাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সাইটে।

গত শুক্রবার রাতে ঢাকার গুলশানের রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে সন্ত্রাসীরা। এর প্রায় ১০ ঘণ্টা পর সেখানে উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। শনিবার সকালে রেস্তোরাঁয় অপারেশন থান্ডারবোল্ট পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী। এরপর সেখান থেকে ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এঁদের মধ্যে ইতালীয় নয়জন, সাতজন জাপানি, তিনজন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয় রয়েছেন। বাকি ছয়জন হামলাকারী বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment