আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামীর সন্তান ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে পারবে না।তিনি বলেন, বিএনপির এই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে যুদ্ধাপরাধের সাজাপ্রাপ্ত আসামীর সন্তান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত ও জঙ্গিবাদের লালন পালনকারীদের। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বিএনপি কখনো জামায়াত ছাড়তে পারবে না। এরা আদর্শগতভাবে এক ও অভিন্ন। হানিফ আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রঙ্গণে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৬তম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী ও আমিনুল ইসলাম আমিন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীকে উদ্দেশ্যে করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আপনার এই মুক্তিযোদ্ধা (জিয়াউর রহমান) বঙ্গবন্ধু হত্যার যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার অধিকার ও মন্ত্রী বানিয়ে বাংলাদেশের ৩০ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার আত্মাকে পদদলিত করেছেন। আর সেই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর প্রতি আপনার (বঙ্গবীর) এত দরদ কেন? তিনি বলেন, আপনি যদি রাজনীতি করতে চান ন্যায়নীতি ঠিক করেন। মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য আমরা আপানাকে সম্মান জানাতে চাই। কিন্তু এদেশের রাজনীতিতে স্বাধীনতার পক্ষে কে, বিপক্ষে কে সেটা প্রমাণিত। যারা ’৭১ যুদ্ধাপরাধীদের দোসর এবং তাদের লালন পালন করছেন তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বলে রাজনীতি করতে চান।
তাহলে আপনার সম্পর্কে জনগণের অন্যরকম ধারণার সৃষ্টি হবে। আপনার মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব নিয়ে জনগণ প্রশ্ন তুলবে। আমার অনুরোধ আপনি এই পথে পা দিবেন না। শুধু মাত্র খবরে শিরোনাম হওয়ার জন্য এ ধরণের খেলা থেকে বিরত থাকবেন আপনি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আজ ঐক্যের ধুয়ো তুলে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদকে রক্ষা করতে চায়। কারণ, এই সন্ত্রাসী ও জঙ্গি বিএনপি জামায়াতের সৃষ্টি। তাই তারা ধরা পড়লে বিএনপির মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যাবে। এ কারণে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের রক্ষা করার জন্যই ঐক্যের ধুয়ো তুলেছে বিএনপি। বেগম মুজিবের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বেগম মুজিব একজন মহীয়সী নারী। তিনি বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসাবে জাতির পাশে দাঁড়িয়েছেন বারবার। তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে বাঙ্গালী জাতিকে অনুপ্রেরণা ও সাহস জুগিয়েছেন। তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রত্যেকটা রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশে থেকে অনুপ্রেরণা ও সাহস জুগিয়েছেন এবং দুঃসময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।– বাসস