গোপালগঞ্জে শিশুকে মদ পান করিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা

গোপালগঞ্জে শিশুকে মদ পান করিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা

সাড়ে আট বছরের শিশুকে মদ পান করিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার ২৫ দিন পর কাশিয়ানী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাঁজা নেওয়াজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের নির্দেশে সোমবার রাতে কাশিয়ানী থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। সোমবার গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ওই শিশুর মা একটি পিটিশন দায়ের করেন।

ওই আদালতের বিচারক মোঃ দলিল উদ্দিন কাশিয়ানী থানার ওসিকে পিটিশিনটি এফআইআর করার নির্দেশ দেন।স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ধর্ষণের পর খাঁজা নেওয়াজ প্রভাব খাঁটিয়ে বিষয়টি দাবিয়ে রাখেন। ওই শিশুর পরিবারকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। ফলে পরিবারটি আইনী সহায়তা নিতে ও স্থানীয়দের জানাতে ভয় পাচ্ছিলো। অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান স্থানীয়ভাবে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি মীমাংসার করার চেষ্টা করে। গত শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় অপর একটি মহল ওই শিশুর পরিবরের পাশে এসে দাঁড়ায়। অবশেষে ঘটনার ২৫ দিন পর সোমবার ধর্ষিত শিশুর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মমলায় কাশিয়ানী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাঁজা নেওয়াজকে আসামি করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটি একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ।গোপালগঞ্জে শিশুকে মদ পান করিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কাশিয়ানী উপজেলার সাফলিডাঙ্গা গ্রামে ওই শিশু ও তার মা তাদের বাড়িতে বাসবাস করতেন। ওই বাড়ির একই ভবনের অন্য একটি কক্ষে ফরহাদ নামে এক ব্যক্তি ভাড়া থাকেন। সেখানে কাশিয়ানী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাঁজা নেওয়াজ জুয়া, মদ ও গাঁজার আসর বসাতেন ও মাদক সেবন করতেন। গত ২৮ জুলাই বিকেলে ফরহাদ ঘরে খাঁজাকে রেখে বাইরে যান। খাঁজা নেওয়াজ ঘরে বসে মদ পান শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওই শিশুকে ডেকে মদ পান করিয়ে ধর্ষণের টেষ্টা করে। শিশুর চিৎকারে মা এগিয়ে আসেন। দরজায় ধাক্কা দেন। প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে খাঁজা দরজা খুলে পালিয়ে যায়।

কাশিয়ানী থানার ওসি একেএম আলী নূর হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা মামলা রেকর্ড করেছি। শিশুটির মেডিকেল সম্পন্ন করার জন্য তাকে মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সমস্ত প্রকার আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। সঠিক প্রতিবেদ দাখিল করতে করো প্রতি যাতে অবিচার না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাঁজা নেওয়াজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন আমার স্ত্রী খুলনায় অসুস্থ ছিলো। আমি আমার স্ত্রীর কাছেই ছিলাম। এ কারণে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে নাটক সাজিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আমি কোন মিমাংসার চেষ্টা করিনি। ওই পরিবারকে আমরা হুমকি ধামকি দেইনি। ঘটনার তদন্তে আমি নির্দোশ প্রমানিত হবো।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment