শুরু হয়েছে বিএনপির সমাবেশ

শুরু হয়েছে বিএনপির সমাবেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের’ দাবিতে বিএনপির জনসভা শুরু হয়েছে। কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে দুপুর ২টায় শুরু হয় সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা। দলের নেতারা বক্তব্য রাখছেন।
শুরু হয়েছে বিএনপির সমাবেশ
দীর্ঘদিন পরে জনসভা হওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। মিছিলের পর মিছিল আসছে সমাবেশস্থলে। দুপুর দেড়টার মধ্যে প্রায়  ভরে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। বাড়ছে লোকজনের সমাগম। শাহবাগ, কাকরাইল, টিএসসি মোড়, মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর, পলাশী এসব এলাকা দিয়ে দলে দলে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীদের হা‌তে শোভা পাচ্ছে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান,‌ চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তা‌রেক রহমা‌নের ছ‌বি ও স্লোগান সম্বলিত নানান রঙের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড। রবিবার বেলা ১১টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে জাসাসের শিল্পীরা বিএনপির দলীয় সংগীতসহ দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। দুপুর ১২ টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা পৌঁছান সমাবেশে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সময় নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থানের নির্দেশনা দেন তিনি। সফলভাবে সমাবেশ সম্পন্ন করতে সমাবেশস্থলের মাঝখানে ছাত্রদল, ডানপাশে যুবদল ও বামপাশে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন মির্জা ফখরুল। সমাবেশস্থলে মহিলা দলের নেতাকর্মীদের ভেতর যেন কোনো পুরুষ নেতাকর্মী প্রবেশ না করেন, সেই অনুরোধও করেন তিনি। সমাবেশে চেয়ারপারসনের উপস্থিতির আগ পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরে থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য ব‌লেন, ‘এ জনসভায় প্রধান অতিথি খা‌লেদা জিয়া। তাই সক‌লে সুশৃঙ্খলভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন। ছ‌বি তুলা বাদ দেন, ব্যানার ফেস্টুন যথাস্থানে রাখুন অহেতুক ব্যানার উঁচু ক‌রে ধ‌রে রাখবেন না, রাখ‌লে পিছ‌নে যারা আছে তা‌দের অসুবিধা হয়।স্বেচ্ছাসেবকদের এদিক-সেদিক না ঘু‌রে জনসভাস্থলের প‌রি‌বেশ যথার্থ কর‌তে নির্দেশ দিয়েছেন।‌ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী‌রের সভাপতিত্বতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখ‌বেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি কিছুক্ষণ পরেই সমাবেশের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে রওনা দিবেন।
ইতিমধ্যে ঢাকাসহ রাজধানীর আশপাশের জেলা ও মহানগর বিশেষ করে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইলের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। সকাল ৯ টা থেকেই বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনাপার্ক, ইন্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট এবং এর আশেপাশে জড়োহতে শুরু করেন।
তবে জনসভায় অংশ নিতে এসে তারা পথে পথে নানা হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। সমাবেশস্থলে বিএনপির সিনিয়র  যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে গণপরিবহন বন্ধ করে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। তিনি অভিযোগ করেন, এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাতে কোনো কাজ হবে না। বিএনপির সমাবেশমুখ জনস্রোত ঠেকাতে পারবে না সরকার।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment