যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের হুঁশিয়ারি ফিলিস্তিনের

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের হুঁশিয়ারি ফিলিস্তিনের

ওয়াশিংটন ডিসিতে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার যে হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন, তা বাস্তবায়ন করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ফিলিস্তিন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের হুঁশিয়ারি ফিলিস্তিনের

ফিলিস্তিনের জ্যেষ্ঠ সমঝোতাকারী ও পিএলওর মহাসচিব সায়েব এরেকাত শনিবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবহিত করা হয়েছে, আমেকিার রাজধানী শহরে পিএলওর কূটনৈতিক কার্যালয় পরিচালনার অনুমতি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এরেকাত বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ফিলিস্তিনের যোগ দেওয়া এবং এই আদালতে অবৈধ বসতি স্থাপনসহ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ওয়াশিংটনে পিএলও কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরিপ্রেক্ষিতে পিএলওর পক্ষ থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, এটি অগ্রহণযোগ্য ও অপ্রত্যাশিত। যখন আমরা একটি চুক্তি সম্পন্ন করতে চলেছি, তখন এ হলো এই প্রশাসনের (ট্রাম্প প্রশাসন) ওপর নেতানিয়াহু সরকারের সৃষ্ট চাপ। এরেকাত মনে করেন, এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে পুরো শান্তি প্রক্রিয়া মুখ থুবড়ে পড়বে।

‘নব্বই দিন’
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্র্রদায় পিএলওকে ফিলিস্তিনিদের প্রতিনিধি হিসেবে মর্যাদা দেয়। প্রতি ছয় মাস অন্তর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াশিংটনে পিএলওর কার্যালয় পরিচালনার অনুমতি দেয়। এ মাসেই শেষ হচ্ছে সেই মেয়াদ। অনুমতি নবায়ন না করলে কার্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখাপত্র জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের মানে স্থায়ীভাবে কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া নয়। তিনি বলেন, এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনিরা সরাসরি ও অর্থপূর্ণ যোগাযোগ তৈরি করতে পেরেছেন কিনা। তিনি যদি ইতিবাচক হন, তাহলে কার্যালয়টি আবার চালু হবে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের বেশি হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পর্যন্ত ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেননি। উপরন্তু এই সময়ে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইউনেসকো থেকে সদস্য পদ প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্পের আমলে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েল নতুন অবৈধ বসতি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment