৭ মার্চের ভাষণ স্বীকৃতি পাওয়ায় নবাবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

৭ মার্চের ভাষণ স্বীকৃতি পাওয়ায় নবাবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

 স্টাফ রির্পোটার :

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৭ মার্চের ভাষণ স্বীকৃতি পাওয়ায় নবাবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

তিনি বলেছেন, জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাগ্রত করেছিলেন বাঙালি জাতিকে। ৭ই মার্চ সেদিন তার নির্দেশনা নিতে লাখ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে এসেছিলেন। শনিবার বিকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে ভাষণে এসব কথা বলেন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাজ আয়োজিত এই সমাবেশে শনিবার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন তিনি। বক্তব্য শেষ করেন ৪টা ৫০ মিনিটে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে’র স্বীকৃতি পাওয়ায় নাগরিক কমিটির ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই, ইউনেস্কোকে, যারা স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমার মনে আছে এখানে ওই সময় ভাষণ দেওয়া হয়েছিল তখন পাকিস্তানিরা সব সময় আমাদের দাবিয়ে রাখতো। বাংলা বাদ দিয়ে উর্দুকে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। সেই সংগ্রামের পথ ধরে ৬ দফা এসেছিল। বাঙালিরা ক্ষমতায় যাবে তারা মেনে নিতে পারেনি। ৭ই মার্চের ভাষণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা সেদিন ভাষণ দিয়েছিলেন লাখো মানুষ এসেছিল এখানে (রেসকোর্স ময়দানে)। বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে এখানে এসেছিল তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অাওয়ামীলীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অাব্দুল মান্নান খান, ঢাকা জেলা অাওয়ামীলীগ এর সভাপতি বেনজির অাহম্মেদ, সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পনিরুজামান তরুণ, নবাবগঞ্জ উপজেলা অাওয়ামীলীগ এর সভাপতি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ঝিল্লু, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান তুহিনুর রহমান তুহিন, এস এম সাইফুল ইসলাম,শেখ তানজীল হোসেন অপু সহ আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন। তারা বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও ৭ মার্চের ভাষণের ছবি সম্বলিত প্লা-কার্ড বহন করেন। উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের আরও ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে গতমাসে ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে নেয় ইউনেস্কো।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment