রাজ্জাকের জীবনী লেখার অনুমতি দেয়নি পরিবার

রাজ্জাকের জীবনী লেখার অনুমতি দেয়নি পরিবার

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক রাজ রাজ্জাক। অভিনয় গুণে দুই বাংলার দর্শক মাতিয়েছেন তিনি। তার অভিনয় ও ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা ঘটনা। এ অভিনেতার জীবন এক মলাটে লিপিবদ্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছেন গুণী নির্মাতা ছটকু আহমেদ।

রাজ্জাকের জীবনী লেখার অনুমতি দেয়নি পরিবার

২০১৮ সালের একুশে বইমেলায় বইটি প্রকাশ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন এই নির্মাতা। কিন্তু তাকে নায়ক রাজ রাজ্জাকের জীবন নিয়ে বই লেখার অনুমতি দেয়নি রাজ পরিবার। রাইজিংবিডিকে এমনটাই জানান রাজ পুত্র চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ।

নায়ক রাজের জীবনী লেখার জন্য এর আগে অনুমতি দেয়া হয়েছিল কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বাপ্পারাজ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা তাকে লেখার জন্য অনুমতি দেইনি। তিনি (ছটকু আহমেদ) কোথা থেকে জীবনী লিখছেন আমি জানি না। আব্বার সাথে যারা বেশি জড়িত ছিলেন তাদের কাছে তিনি যেতে পারেননি।’

নায়ক রাজ তার জীবদ্দশায় লেখিত কোনো অনুমতি দিয়ে গেছেন কিনা? উত্তরে বাপ্পারাজ বলেন, ‘না, আব্বা কোনো লিখিত অনুমতি দিয়ে যাননি। আমাদের কাছ থেকেও তিনি কোনো অনুমতি নেননি। আমরা আগে লেখা দেখব তারপর অনুমতির কথা ভাবব। আর আমরা চাচ্ছি না তিনি এটা লিখুক।’

তিনি আরো বলেন, ‘আব্বা জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি এটা লিখতে চেয়েছেন। তখন আব্বা বলেছিলেন লিখে নিয়ে আসেন দেখি। এর মানে এই নয় যে জীবনী লেখার ফরমালি অনুমতি পেয়ে গেছেন। এরকম কথা অনেককেই বলেছেন। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় লিখে নিয়ে আসতে পারেননি। এখন কিছু লিখতে হলে আমাদের অনুমতি নিতে হবে। কারণ একজন তাকে নিয়ে ভিন্ন কিছু লিখলেই তো আমরা মেনে নিব না। সত্যিটা লিখতে হবে।’

১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উত্তাল সময়ে নতুন জীবন গড়তে সাধারণ মানুষের মতো আবদুর রাজ্জাক স্ত্রী ও শিশু সন্তান বাপ্পাকে নিয়ে ঢাকায় আসেন। জীবনে নানারকম সংগ্রামের পর সফলতা লাভ করেন নায়করাজ। উপহার দেন অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। হয়েছেন চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি। এটা যে কারো কাছেই গল্প বলে মনে হতে পারে। রাজ্জাক অসীম মনোবল, অমানুষিক পরিশ্রম আর মমতার মাধ্যমে ঠিকই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছান। গত ২১ আগস্ট কোটি ভক্তদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান এই কিংবদন্তি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment