জেলার মুকসুদপুরে রিক্তা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের পুরাতন ভবনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী গোলাম মর্তুজা মোল্লাকে পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। মর্তুজা মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের নৈশ প্রহরী। মিথিলা আক্তার লিমা নামে মর্তুজা-রিক্তা দম্পতির তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের পাহারাদার মর্তুজা রাতে পাহারা দিচ্ছিলেন। এ সময় তার স্ত্রী রিক্তা ওই ভবনে একাই ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে ওই ভবনের পেছনের জানালা ভেঙে দুর্বৃত্তরা ভেতরে প্রবেশ করে রিক্তার গলায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় আহতাবস্থায় তিনি মেয়েকে নিয়ে বাইরে বের হয়ে পাশের বাসার দরজায় ধাক্কা দিলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতে করে প্রথমে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে রিক্তা মারা যান।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু নাঈম মো. মারুফ খান বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। অবস্থা খারাপ দেখে রিক্তা বেগমকে গাড়িতে করে মুকসুদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ডাক্তাররা তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তিনি মারা যান।