শ্রীনগরে কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

নিজের ফার্মেসীতে বসে দেড় যুগ ধরে রোগী দেখেন শ্রীনগরের এক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার। মাসে ৩-৪ দিন কর্মস্থলে গিয়ে রোগী না দেখে ১-২ ঘন্টা অবস্থানের পর ব্যাগে ভরে সরকারী ঔষধ নিয়ে তিনি চলে যান টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজারে তার নিজের ফার্মেসীতে। প্রতিদিন তিনি ওই ফার্মেসীতে বসে সকাল সন্ধ্যা রোগী দেখেন ও ফার্মেসীতে থাকা ঔষধের পাশাপাশি সরকারী ঔষধ রোগীদের কাছে বিক্রি করেন। তিনি এতই প্রভাবশালী যে চাকুরী করা অবস্থায় তিন বছর বিদেশে চাকুরী করে পুনরায় স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন। গতকাল বুধবার উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো. তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার কুকুটিয়ায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ইউনিয়ন পরিষদের স্বন্নিকটে অবস্থিত হওয়ায় হতদরিদ্র ও গরীব রোগীরা সেবা নিতে বেশি আসে। কিন্তু এখানে নিয়মিত ডাক্তার না আসার কারণে রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ডাক্তার তোফাজ্জল হোসেন দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। সপ্তাহের বুধবার একদিন আসলেও সর্বচ্চ ১-২ ঘন্টা সময়ের বেশি তিনি তার কর্মস্থলে বসেন না। ওই সময়ে কোন রোগীরা আসলে কোন ঔষধ নেই বলে তাদের বিদায় করে দেন এবং কর্মস্থল ত্যাগ করার সময় ব্যাগ ভরে সরকারী ঔষধ নিয়ে যায়। স্থানীয় দিদারুল ইসলাম দিদার, রফিকুল ইসলাম সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, তার এই দায়িত্বহীনতার কারণে আমরা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এছাড়া তিনি এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী ঔষধ নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দেন। মোঃ এনামুল হক বেপারী জানান, তিনি এত ক্ষমতাধর যে গত ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে চাকুরীরত অবস্থায় কতৃপক্ষকে না জানিয়ে কয়েক বছর ধরে জাপানে গিয়ে মোটা টাকা কামিয়ে স্বদেশে ফিরে পুনরায় তার কর্মস্থলে স্বপদে যোগদান করে বহাল তবিয়তে রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো. তোপাজ্জল হোসেন জানান, লোকবল না থাকায় আমাকে বিভিন্ন কাজে উপজেলা সদর, মুন্সীগঞ্জ এমনকি ডিজি অফিস যেতে হয়। তাছাড়া নিয়মিত সরকারী ঔষধের বরাদ্দ না থাকায় রোগীদের দিতে পারি না। আমি বিদেশ যাইনি তবে বিগত দিনে অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ছুটি কাটিয়েছি। আমার কাছে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট আছে বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাজী মমতাজ বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব মেডিক্যাল অফিসার (মা ও শিশু) ডাক্তার বিলকিস বেগমের। ডাক্তার বিলকিস বেগম বলেন, তোপাজ্জলকে নিয়মিত অফিস করার জন্য একাধিকবার মৌখিক ভাবে সতর্ক করেছি। তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই।

	 brand bazaar

নিজের ফার্মেসীতে বসে দেড় যুগ ধরে রোগী দেখেন শ্রীনগরের এক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার। মাসে ৩-৪ দিন কর্মস্থলে গিয়ে রোগী না দেখে ১-২ ঘন্টা অবস্থানের পর ব্যাগে ভরে সরকারী ঔষধ নিয়ে তিনি চলে যান টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজারে তার নিজের ফার্মেসীতে।

প্রতিদিন তিনি ওই ফার্মেসীতে বসে সকাল সন্ধ্যা রোগী দেখেন ও ফার্মেসীতে থাকা ঔষধের পাশাপাশি সরকারী ঔষধ রোগীদের কাছে বিক্রি করেন। তিনি এতই প্রভাবশালী যে চাকুরী করা অবস্থায় তিন বছর বিদেশে চাকুরী করে পুনরায় স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন।

গতকাল বুধবার উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো. তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার কুকুটিয়ায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ইউনিয়ন পরিষদের স্বন্নিকটে অবস্থিত হওয়ায় হতদরিদ্র ও গরীব রোগীরা সেবা নিতে বেশি আসে। কিন্তু এখানে নিয়মিত ডাক্তার না আসার কারণে রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ডাক্তার তোফাজ্জল হোসেন দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। সপ্তাহের বুধবার একদিন আসলেও সর্বচ্চ ১-২ ঘন্টা সময়ের বেশি তিনি তার কর্মস্থলে বসেন না। ওই সময়ে কোন রোগীরা আসলে কোন ঔষধ নেই বলে তাদের বিদায় করে দেন এবং কর্মস্থল ত্যাগ করার সময় ব্যাগ ভরে সরকারী ঔষধ নিয়ে যায়।

স্থানীয় দিদারুল ইসলাম দিদার, রফিকুল ইসলাম সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, তার এই দায়িত্বহীনতার কারণে আমরা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এছাড়া তিনি এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী ঔষধ নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দেন।

মোঃ এনামুল হক বেপারী জানান, তিনি এত ক্ষমতাধর যে গত ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে চাকুরীরত অবস্থায় কতৃপক্ষকে না জানিয়ে কয়েক বছর ধরে জাপানে গিয়ে মোটা টাকা কামিয়ে স্বদেশে ফিরে পুনরায় তার কর্মস্থলে স্বপদে যোগদান করে বহাল তবিয়তে রয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো. তোপাজ্জল হোসেন জানান, লোকবল না থাকায় আমাকে বিভিন্ন কাজে উপজেলা সদর, মুন্সীগঞ্জ এমনকি ডিজি অফিস যেতে হয়। তাছাড়া নিয়মিত সরকারী ঔষধের বরাদ্দ না থাকায় রোগীদের দিতে পারি না। আমি বিদেশ যাইনি তবে বিগত দিনে অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ছুটি কাটিয়েছি। আমার কাছে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট আছে বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেন।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাজী মমতাজ বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব মেডিক্যাল অফিসার (মা ও শিশু) ডাক্তার বিলকিস বেগমের।

ডাক্তার বিলকিস বেগম বলেন, তোপাজ্জলকে নিয়মিত অফিস করার জন্য একাধিকবার মৌখিক ভাবে সতর্ক করেছি। তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment