অগ্রহায়ণের বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমায় মুন্সীগঞ্জের আলু চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। নিম্নচাপের ফলে গত শুক্রবার বৃষ্টি শুরু হয়ে রোববার পর্যন্ত চলে। এতে জমিতে পানি জমে যাওয়ায় সদ্য বপন করা আলুর বীজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হুমায়ন কবির জানান, এ বছর ৩৯ লাখ ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু বপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু বপন সম্পন্ন হয়েছে।
“বৃষ্টির কারণে সদ্য বপন করা আলুর জমিতে পানি জমেছে। তবে কী পরিমাণ আলুর ক্ষতি হবে তা এসেসমেন্ট না করে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।”
কৃষকরা জানান, গত বছরের আলু এখনও বিক্রি করতে পারেননি তারা। দাম না পাওয়ায় অনেকেই এখনও হিমাগার থেকে আলু বের করেননি। তারপরও এ বছর ব্যবসা করে লাভের আশায় দেশের প্রধান আলু উৎপাদকারী অঞ্চল মুন্সীগঞ্জের কৃষকরা ফের আলু চাষ শুরু করেন।
টঙ্গীবাড়ি উপজেলার চাঠাতি পাড়া গ্রামের মো. জুয়েল তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই সপ্তায় তিনি চার বিঘা জমিতে আলু বপন করেছিলেন। এতে তার প্রায় আট লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
“তিন দিনের বৃষ্টিতে আলুর জমিতে এখন পানি জমে আছে। হয়ত তিন ভাগের এক ভাগ আলু ঠিক থাকতে পারে। বাকিগুলো বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।”
তিনি জানান, গত বছর তিনি ১১ বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছিলেন। খরচ হয়েছিল ২০-২২ লাখ টাকা। ফলনও ভালো হয়েছিল। আলু ওঠার ঠিক আগে বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে যায়। এ কারণে পচন ধরায় টাকা খরচ করে সে আলু আর গোলায় তোলেননি।
“এ বছর আবার আশা নিয়ে আলু বপন করলেও শুরুতেই হোঁচট খেতে হলো বৃষ্টির কারণে।”