বাংলাদেশে যে কারণে বেশী সিজার করা হয়

GizmoArena121

পটুয়াখালী ঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, আলহজ্ব মিসেস লুৎফুন নেছা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীশেখ হাসিনারযোগ্যনেতৃত্বের ফলেদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’। তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রীদেশের শহর গ্রাম অঞ্চলের অসহায়, গরীব ও দুঃস্থ নারীদের বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, আর্থিক সাহায্য, ঋণ প্রদান ও বিনা মূল্যে বিভিন্ন সামগ্রী প্রধান করে তাদেরকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলছেন। তাই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়কে সুনিশ্চিত করতে হবে। ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলয়াতনে জেলা প্রশাসন ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর এর আয়োজনে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীশেখ হাসিনার অঙ্গিকার বাস্তবায়নে সংসদ সদস্য মিসেস লুৎফুননেছা এর সুপারিশে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ও কল্যাণ তহবিল হতে ২৫ জন দরিদ্র ব্যক্তির জন্য আর্থিক সহায়তা চেক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ১৯ জন দরিদ্র মহিলাদরে মাঝে ১৯ টি সেলাই মেশিন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। জেলা প্রশাসক ড.মোঃ মাছুমুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌরসভা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ্যাড. মোঃ সুলতান আহমেদ মৃধা, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী আলমগীর হোসেন, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান, জেলা পরিষদ সদস্য সালমা জাহান, প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী সামমুর রহমান ইকবাল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাসান সিকদার, হাজী হামেজউদ্দিন মৃধা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শাহলাম মৃধা, আব্দুল করিম মৃধা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ নজমুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দিলারা খানম, এসময় জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী রুহুল আমিন, জেলা যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সরদার সোহরাব হোসেন, জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রফিকুল ইসলাম খোকন মৃধা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাসান সিকদার ,সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ লুৎফুর রহমান রাসেল সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সুস্থ মা সুস্থ শিশু। মায়ের সুস্থতাই নির্ধারণ করবে সন্তানের সুস্থতা। আর সেজন্য দরকার মায়ের সার্বক্ষণিক যত্ন।আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত।

বাংলাদেশ তথা এশিয়ার অন্যান্য দেশে সিজার এর মাধ্যমে সন্তান জন্ম দানের ব্যাপার টা স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিজার এর মাধ্যমে সন্তান জন্ম দানের ব্যাপারে সবাই সমর্থন প্রদান করে আসেন।

GizmoArena121

কেননা এতে করে সিজার এর আগে সন্তান জন্ম দানকারী মা হাসপাতালে কয়েকদিন পরিচর্যায় থাকেন। অনেকে ভাবেন সিজার এর মাধ্যমে সন্তান জন্ম দান হলে কোন সমস্যা থাকেনা। সন্তানের সুস্থতার বিষয়টি এখানে মুখ্য থাকে। কিন্তু সিজার এর পেছনে রয়েছে এক কঠিন বাস্তবতা।

সদ্যজাত সন্তানের সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা কিংবা গর্ভধারিণী মায়ের শারীরিক পরিচর্যা নয় মূলত ৩টি কারণে সিজার করাতে মানুষজনকে বাধ্য করা হয়।

১. টাকার জন্য।

২. মেডিকেল ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহারিক বা ইন্টার্নি করার জন্য।

৩. প্রাইভেট মেডিকেলে গাইনি ডাক্তাররা সিজার না করালে কর্তৃপক্ষ তাদের হাসপাতালে রাখেন না।

ইউরোপ ও আমেরিকায় সবচেয়ে কম সংখ্যক সিজার অপারেশনের ঘটনা ঘটে। প্রথমত তারা স্বাভাবিক ডেলিভারির সর্বাত্মক চেষ্টা করে।

কেউ একেবারে মৃত্যু ঝুঁকির দিকে না গেলে তারা সিজার অপারেশনে যায় না। ইতালি সহ ইউরোপের অনেক দেশে ইচ্ছাকৃত সিজার অপারেশনকে বেআইনি হিসেবে গণ্য করা হয়।

একটা নরমাল ডেলিভারির জন্য একজন ডাক্তারকে ২ থেকে ১৮ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়।

এর বিনিময়ে সে পায় মাত্র ৮০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। আর সিজার করলে ২৫-৩৫ মিনিটে পেয়ে যায় ৬ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। বর্তমান সময়ে সময়ের থেকে এই টাকার গুরুত্ব বেশী।

আর একারণেই হয়তবা স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন, ‘টাকা কামাইয়ের জন্য চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসব করাচ্ছে। ’

সর্বশেষ বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভে-এর হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ২৩% সিজার অপারেশন হয় এবং এর ৮০% হয় বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment