‘মিয়ানমারে ৭০০ শিশুসহ ৬৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে’

‘মিয়ানমারে ৭০০ শিশুসহ ৬৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে’

আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর ১ মাসের মধ্যে ৭০০ শিশুসহ ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেনেভাভিত্তিক ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক সাহায্য সংস্থা মেদসাঁ সঁ ফ্রোঁতিয়ের (এমএসএফ)। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ওপর জরিপ চালিয়ে এমএসএফ হত্যার শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের এ সংখ্যা জানিয়েছে। কিন্তু এর আগে মিয়ানমার সরকার দাবি করেছিল, সহিংসতায় ৪০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

‘মিয়ানমারে ৭০০ শিশুসহ ৬৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে’

যুদ্ধবিধ্বস্ত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রোগশোকের  বিরুদ্ধে কাজ করে নোবেল পুরস্কার পাওয়া এমএসএফ জরিপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের সহিংসতা ও হত্যার চিত্র তুলে ধরেছে। জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এখনো পর্যন্ত এটি হলো মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ব্যাপকভিত্তিক সহিংসতার স্পষ্টতম ইঙ্গিত।’

তবে মিয়ামনার সেনাবাহিনী এই সহিংসতার জন্য ‘সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছে’ এবং তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব ধরনের অন্যায়ের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

এমএসএফ জানিয়েছে, আগস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অলাভজনক এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জরিপের ভিত্তিতে জানিয়েছে, ২৫ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমারে ৯ হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। সর্বোচ্চ রক্ষণশীল পদ্ধতিতে গণনার পরও দেখা গেছে, ওই সময়ে শুধু সহিংসতায়ই নিহত হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু রয়েছে প্রায় ৭৩০ জন।

এর আগে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দাবি করেছিল, সহিংসতায় প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই মুসলিম সন্ত্রাসী।

পটুয়াখালী ঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, আলহজ্ব মিসেস লুৎফুন নেছা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীশেখ হাসিনারযোগ্যনেতৃত্বের ফলেদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’। তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রীদেশের শহর গ্রাম অঞ্চলের অসহায়, গরীব ও দুঃস্থ নারীদের বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, আর্থিক সাহায্য, ঋণ প্রদান ও বিনা মূল্যে বিভিন্ন সামগ্রী প্রধান করে তাদেরকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলছেন। তাই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়কে সুনিশ্চিত করতে হবে। ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলয়াতনে জেলা প্রশাসন ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর এর আয়োজনে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীশেখ হাসিনার অঙ্গিকার বাস্তবায়নে সংসদ সদস্য মিসেস লুৎফুননেছা এর সুপারিশে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ও কল্যাণ তহবিল হতে ২৫ জন দরিদ্র ব্যক্তির জন্য আর্থিক সহায়তা চেক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ১৯ জন দরিদ্র মহিলাদরে মাঝে ১৯ টি সেলাই মেশিন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। জেলা প্রশাসক ড.মোঃ মাছুমুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌরসভা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ্যাড. মোঃ সুলতান আহমেদ মৃধা, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী আলমগীর হোসেন, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান, জেলা পরিষদ সদস্য সালমা জাহান, প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী সামমুর রহমান ইকবাল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাসান সিকদার, হাজী হামেজউদ্দিন মৃধা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শাহলাম মৃধা, আব্দুল করিম মৃধা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ নজমুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দিলারা খানম, এসময় জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী রুহুল আমিন, জেলা যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সরদার সোহরাব হোসেন, জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রফিকুল ইসলাম খোকন মৃধা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাসান সিকদার ,সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ লুৎফুর রহমান রাসেল সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক আদালতে তোলার মতো অপরাধ কি?
সাংবাদিক ও গবেষকদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে, যা থেকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই, মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গারা ব্যাপকভিত্তিক মানবাধিকার হরণের শিকার হয়েছে। এসব প্রতিবেদনের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে ভয়াবহ ঘটনাগুলো উঠে এসেছে। তুলাতোলি নামে একটি গ্রামে গণহত্যার তথ্য পাওয়া গেছে কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে।

বিবিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক প্রতিবেদক জোনাথন হেড রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে বেশ কিছু প্রতিবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, এমন অনেক রোহিঙ্গার সঙ্গে তার কথা হয়েছে, যারা সরাসরি সহিংসতার শিকার না হলেও ভয়েই তারা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।

জোনাথন হেডের মতে, এমএসএফ সুন্দরভাবে গবেষণা চালিয়ে যে সংখ্যার উল্লেখ করেছে, তা থেকে বলা যায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে বর্বর অভিযান চালিয়েছে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার বিষয়ে কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো মিয়ানমার আন্তর্জাতিক আদালতের রোম স্ট্যাটুটে স্বাক্ষর করেনি এবং ফলে তা মেনে চলতে বাধ্য নয় তারা। তবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ যে একেবারেই নেই, তা নয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের সবাই সম্মতি দিলে মামলা করা যেতে পারে। কিন্তু চীন এখনো মিয়ানমার সরকারকে সমর্থন করে যাচ্ছে। ফলে বিষয়টি কঠিন।

তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment