নোমান মাহমুদঃ
”অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে দলের মধ্যে একতা গড়ে তুলে দলকে আরও সুসংগঠিত করে সবাইকে সাথে নিয়ে জনগনের সেবা করতে চাই”। আগামীর সময়কে দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাতকারে অকপটে কথাগুলো বলছিলেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন (সাভার-আশুলিয়া) থেকে আওয়ামীলিগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জনপ্রিয় যুবনেতা বর্তমান আওয়ামীলীগের অংগসংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন।
আগামীর সময়ের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এভাবেই নিজের মনের অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেন তিনি। সেই সাথে তিনি আরও বলেন, ”রাজনীতিতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যেই বিষয়টি তা হলো সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে একতা। রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহন করে ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে অংশগ্রহনের পর থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসরন করে পথ চলার চেষ্টা করেছি। বরাবর কাজ করেছি নিজের সংগঠনকে সুসংগঠিত রাখতে, নিজের এলাকার মানুষের পাশে থাকতে। আগামী দিনেও জনগনের পাশে থেকে কাজ করতে চাই”। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় আসতে এবারও মাঠে নেমেছে ১৪ দলীয় জোটের প্রধান শরিক আওয়ামীলীগ। তাছাড়া দলটির শতাধিক আসনে রয়েছেন বিকল্প প্রার্থীও। তবে কে কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন সে বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া গেলেও মনোয়ন প্রত্যাশীরা ইতিমধ্যে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে মাঠপর্যায়ে তোরজোর শুরু করেছেন। দলীয় সুত্রগুলো বলছে প্রার্থী বাছাইয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে দলের নীতিনির্ধারনী পর্যায় থেকে। মাঠপর্যায়ে প্রাথীদের জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই করে তবেই দেওয়া হবে মনোনয়ন। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশিরা। সাবেক ও বর্তমান প্রার্থীর পাশাপাশি রয়েছে বিকল্প প্রার্থীও। বিকল্প প্রাথী হিসাবে ঢাকা-১৯ আসনে শোনা যাচ্ছে রাজপথ কাপানো সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমান আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিনের নাম। তৃনমূল পর্যায়ে তরুনদের আস্থাভাজন এই ব্যাক্তি ছাত্রজীবন থেকে সক্রিয়ভাবে জড়িত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রেখেছিলেন বলিষ্ঠ ভূমিকা। আওয়ামীলীগ পরিবারে জন্মগ্রহন করা এই ব্যাক্তির পিতা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল গনিও সরাসরি জড়িত আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে। বর্তমানে তিনি সাভার পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। মূলত পারিবারিক সুত্রেই রাজনীতিতে পদার্পন ফারুক হাসান তুহিনের। ছাত্রজীবনে প্রথমে ছাত্রলীগের কর্মি হিসাবে যোগদান করলেও নিজ যোগ্যতায় খুবই অল্প সময়ে সংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মিদের মন জয় করে হয়ে উঠেন জনপ্রিয় ছাত্রনেতা।
সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যয়নের সময় ১৯৮৯ সালে দায়িত্ব পান কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে। তারপর পর্যায়ক্রমে ৯০ এর ছাত্র আন্দোলনের পর সাভার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯১-৯২ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত সহঃ সাধারন সম্পাদক (এজিএস), ১৯৯২-৯৩ সেশনে আবারো সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক (জিএস), ১৯৯৩ সালে সাভার পৌর ছাত্রলীগের নির্বাচিত সভাপতি, ১৯৯৬ সালে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৩ সালে ঢাকা জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক, ২০০৫ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে ঢাকা জেলা যুবলীগের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক ও ২০১২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বরাবরই বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোয়ন প্রত্যাশী এই ব্যাক্তির অর্জনের ঝুলিতে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা জমা থাকলেও মনোনয়নের পাওয়ার বিষয়ে তেমন কোন রাখঢাক নেই তার। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ” দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি। দলের প্রতি সম্পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস আমার রয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি বরাবরই শ্রদ্ধাশীল ছিলাম আর এখনো আছি। দল যাকেই মনোনয়ন দিবে, দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার জন্য, আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করবো”।